somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নয়ন বিন বাহার
তোমাদের এ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি। দূরে! বহু দূরে! ঈগল চোখের আড়াল খুঁজে নিচ্ছি- যেখানে সমস্ত পাপী স্বীকারোক্তি দেয় তাদের আকন্ঠ পাপের। অন্তত তারা সত্যের আড়ালে পাপ করে না; পাপ নিয়ে করে না কোন মিথ্যাচার!

কুরআনিক জিন্দেগী

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভূমিকা:
সূরা আল আ'রাফ এর ১৭৯ নং আয়ােত আল্লাহ বলেন,'' বহু সংখ্যক মানুষ ও জ্বীন (আছে, যাদের) আমি জাহান্নামের জন্যে পয়দা করেছি, তাদের কাছে যদিও (বুঝার মতো) দিল আছে, কিন্তু তা দিয়ে তারা চিন্তা করে না, তাদের কাছে (দেখার মতো) চোখ থাকলেও তারা তা দিয়ে (সত্য) দেখে না, আবার তাদের কাছে(শোনার মতো) কান আছে, কিন্তু তারা সে কান দিয়ে (সত্য কথা) শোনে না, (আসলে) এরা হচ্ছে জন্তু-জানোয়ারের মতো, বরং (কোনো কোনো ক্ষেত্রে) তাদের চাইতেও এরা বেশী পথভ্রষ্ট, এসব লোকেরাই হচ্ছে গাফেল বা উদাসীন।''

সূরা আল আনআম এর ১৫৭ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, “তোমাদের কাছে তোমাদের মালীকের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট প্রমাণ, হেদায়াত ও রহমত এসেছে, তার চাইতে বড় যালেম আর কে- যে আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে এবং তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, যারাই আমার আয়াত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, অচিরেই আমি তাদের এ জঘন্য আচরণের জন্য নিকৃষ্ট শাস্তি দেবো।”

সূরা আল আনআম এর ৫০ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,“(হে নবী! তাদেরকে) বল, আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ধন ভাণ্ডার আছে। অদৃশ্য সম্পর্কেও আমি (পরিপূর্ণ) জ্ঞান রাখি না এবং আমি তোমাদেরকে একথাও বলি না যে, আমি ফিরিশতা। আমি তো কেবল সেই ওহীরই অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি অবতীর্ণ হয়। বল, অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা কর না?”


কুরআন কী?
সূরা আল ইমরানের ১৩৮ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,“এটি হচ্ছে মানব জাতির জন্যে (আল্লাহর বিধানের বিশেষ) বর্ণনা এবং আল্লাহভীরুদের জন্যে সুস্পষ্ট পথনির্দেশ ও সদুপদেশ”

সূরা ইউনুস এর ৫৭ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,“হে মানুষ! তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে এসেছে এক উপদেশ, অন্তরের রোগ-ব্যাধির উপশম এবং মুমিনদের জন্য পথনির্দেশ ও রহমত।”

মুসলমানের সংজ্ঞা
সূরা বাকারার ১৭৭ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, “তোমরা তোমাদের মুখমন্ডল পূর্ব বা পশ্চিম দিকে প্রত্যাবর্তিত করলেই তাতে পুণ্য নেই, বরং পুণ্য তার যে ব্যক্তি আল্লাহ, আখিরাত, মালাইকা/ফেরেশতা, কিতাব ও নবীগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাঁরই প্রেমে ধন-সম্পদের প্রতি আকর্ষণ থাকা সত্ত্বেও সে তা আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন, দরিদ্র, পথিক ও ভিক্ষুকদেরকে এবং দাসত্ব মোচনের জন্য ব্যয় করে, আর সালাত প্রতিষ্ঠিত করে ও যাকাত প্রদান করে এবং অঙ্গীকার করলে তা পূরণ করে এবং যারা অভাবে ও ক্লেশে এবং যুদ্ধকালে ধৈর্যশীল তারাই সত্য পরায়ণ এবং তারাই ধর্মভীরু।”

সূরা আলে ইমরান এর ১০৪ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,‘‘তোমাদের মধ্যে এমন একদল হউক যাহারা কল্যাণের দিকে আহ্বান করিবে এবং সৎকর্মের নির্দেশ দিবে ও অসৎকর্মে নিষেধ করিবে; ইহারাই সফলকাম।’’


সহজসরল পথ
প্রতি রাকাত নামাযে যে সূরাটি পড়তে হয় তা হলো সূরা ফাতেহা। এই সূরা ফাতেহা’র ৬ নং আয়াতে আমরা পড়ি,‘হে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে সহজ সরল পথে চালিত করো।”

সূরা আল ইমরান এর ৫১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,“অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আমার রব, তোমাদেরও রব, অতএব তোমরা তাঁরই ইবাদত করো; (আর) এটিই হচ্ছে একমাত্র সঠিক ও সোজা পথ।”

সূরা আল আনআম এর ১৫১, ১৫২ ও ১৫৩ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,“লোকদেরকে বলঃ তোমরা এসো! তোমাদের রাব্ব তোমাদের প্রতি কি কি বিধি-নিষেধ আরোপ করেছেন তা আমি তোমাদেরকে পাঠ করে শোনাই; তা এই যে, তোমরা তাঁর সাথে কেহকেই শরীক করবেনা, মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করবে, দারিদ্রতার ভয়ে নিজেদের সন্তানদেরকে হত্যা করবেনা। কেননা আমিই তোমাদেরকে ও তাদেরকে জীবিকা দিই; আর অশ্লীল কাজ ও কথার নিকটেও যেওনা, তা প্রকাশ্যই হোক কিংবা গোপনীয়ই হোক, আর আল্লাহ যার হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন - যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করনা। এসব বিষয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তোমরা অনুধাবন করতে পার।”
“আর তোমরা ইয়াতীমের সম্পদের নিকটবর্তী হয়ো না, সুন্দর পন্থা ছাড়া। যতক্ষণ না সে পরিণত বয়সে উপনীত হয়, আর পরিমাপ ও ওযন ইনসাফের সাথে পরিপূর্ণ দেবে। আমি কাউকে তার সাধ্য ছাড়া দায়িত্ব অর্পণ করি না। আর যখন তোমরা কথা বলবে, তখন ইনসাফ কর, যদিও সে আত্মীয় হয় এবং আল্লাহর ওয়াদা পূর্ণ কর। এগুলো তিনি তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।”
“আর নিশ্চয়ই এই পথই আমার সরল পথ; এই পথই তোমরা অনুসরণ করে চলবে, এই পথ ছাড়া অন্য কোন পথের অনুসরণ করবেনা, তাহলে তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দূরে সরিয়ে নিবে। আল্লাহ তোমাদেরকে এই নির্দেশ দিচ্ছেন, যেন তোমরা সতর্ক হও।”

ঈমান, সৎকর্ম, ধৈর্য
পবিত্র কুরআনের ৪ নং সূরা আন নিসা এ আল্লাহপাক বলেন,‘‘অপরদিকে যারা ঈমান এনেছে এবং ভালো কাজ করেছে, তাদের অচিরেই আমি এমন এক জান্নাতে প্রবেশ করাবো, যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হবে, সেখানে তারা থাকবে চিরকাল, তাদের জন্যে থাকবে পূত পবিত্র (সংগী ও) সংগীনীরা, আমি তাদের এক চির স্নিগ্ধ ছায়ায় প্রবেশ করিয়ে দেবো।’’

পবিত্র কুরআনের ১০৩ নং সূরা আল আসর এ আল্লাহপাক বলেন,‘‘ মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত, তবে তারা ছাড়া যারা ঈমানা এনেছে, সৎকর্ম করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।”
সূরা আল আনকাবুত এর ৫৮ ও ৫৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,‘‘যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, অবশ্যই আমি তাদেরকে জান্নাতের কোঠায় জায়গা দেবো, যার পাদদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহমান থাকবে, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে; কতো উত্তম পুরস্কার সেই সকল সৎকর্মশীলদের জন্য,’ ‘যারা ধৈর্য ধারণ করে এবং তাদের প্রতিপালকের উপর নির্ভর করে।’’’

সৎকর্ম
সূরা বাকারা এর ২৫ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,‘‘যাহারা ঈমান আনয়ন করে ও সৎকর্ম করে তাহাদেরকে শুভ সংবাদ দাও যে, তাহাদের জন্য রহিয়াছে জান্নাত-যাহার নিন্মদেশে নদী প্রবাহিত। যখনই তাহাদেরকে ফলমূল খাইতে দেওয়া হইবে তখনই তাহারা বলিবে, 'আমাদেরকে পূর্বে জীবিকা রূপে যাহা দেওয়া হইত ইহা তো তাহাই; তাহাদেরকে অনুরূপ ফলই দেওয়া হইবে এবং সেখানে তাহাদের জন্য পবিত্র সঙ্গিনী রহিয়াছে, তাহারা সেখানে স্থায়ী হইবে।’’

সূরা বাকারা এর 112 নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,‘‘হাঁ, যে কেহ আল্লাহ্‌র নিকট সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করে এবং সৎ কর্মপরায়ণ হয় তাহার ফল তাহার প্রতিপালকের নিকট রহিয়াছে এবং তাহাদের কোন ভয় নাই ও তাহারা দুঃখিত হইবে না।’’

চলবে...
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×