somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"ভিকারুননিসা"র গল্প!

০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৩:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পরীক্ষা পাশের খবরটা শোনার পর থেকেই তার মনটা বেশ উৎফুল্ল, আর এটাই স্বাভাবিক। আর মাত্র কয়েকদিন পরই কলেজে পা রাখতে যাচ্ছে। স্বাধীনতা আর স্বাধীনতা...! এত্তদিনের শৃঙ্খল ভেঙ্গে পাখির মতো ডানা মেলে উড়বে। নিয়ম না মানার এ বয়সে কিছু অনিয়ম সঙ্গী হবে।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


গ্রামের এক মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করার পরই মফস্বল শহরের মোটামুটি নামকরা এক কলেজে ভর্তি হতে গেলো রাসেল। ভর্তি হওয়ার সময় বেশ কয়েকজনের সাথে পরিচিত হলো। কিন্তু রাসেল হীনম্মণ্যতায় ভুগতে লাগলো যে সে গ্রামের ছেলে, মাদ্রাসায় পড়া একটা ছেলে, শহুরে এসব ছেলেপেলের সাথে কি করে মানিয়ে নেবে? এসব চিন্তা করতে করতেই ঘনিয়ে আসলো কলেজজীবনের প্রথম ক্লাসের দিনটি। মাঝেমাঝে পত্রিকা পড়ার অভ্যাসটা ছিলো বলে ঢাকার কিছু নামকরা স্কুলের নামও তার জানা ছিলো। কিন্তু জানা ছিলোনা ভিকারুননিসা স্কুলটা যে গার্লস স্কুল!

কলেজে গিয়ে ক্লাসে বসলো রাসেল। স্যার ক্লাসে ঢোকার পরপরই সবার পরিচয় (নাম, ঠিকানা, কোন স্কুল থেকে পাশ করেছে) জানতে চাইল। যথারীতি রাসেলের কাছেও জানতে চাইল। নাম ঠিকানা ঠিক মতোই বলল। "কোন স্কুল থেকে পাশ করেছো" স্যারের এই প্রশ্নের উত্তরে রাসেল বেশ ভাব নিয়ে জবাব দিলো, ভিকারুননিসা স্কুল!!!
পুরো ক্লাসে যেন হাসির বিস্ফোরণ ঘটলো। বিস্ময়ে হতবাক রাসেল, ভাবলো কেন হাসছে তারা? হঠাৎই পেছনের সারি থেকে এক ছেলে বলে উঠলো, না স্যার, আমি অর লগে একই মাদ্রাসা থেইক্যা পাশ করছি!
রাসেল ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো, এ যে তারই সহপাঠী কামাল!

( ....পুরোটাই সত্যি ঘটনা। এখানে বর্নিত দুজনের নামই বদলে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর বেশ কিছুদিন রাসেলকে দেখলেই তার সহপাঠীরা/পরিচিতজনরা সমস্বরে "ভিকারুননিসা" বলে ক্ষেপাতো।)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৩:০৮
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×