আগষ্ট ০৩' ২০২৪ ইং তারিখে আমি একটি সম্ভাবনার গল্প প্রকাশ করেছিলাম এই ব্লগে। গল্পটি প্রকাশের পর অনেক ভয়ে ছিলাম, না জানি কখন গ্রেপ্তার হয়ে যাই, কারণ আমি সদাই সত্য এবং ন্যায়ের পক্ষে থাকি এবং যেকোন স্থানে যেকোন পরিস্থিতিতে পড়লে পারিপার্শ্বি অবস্থা বিবেচনায় না নিয়েই মন্তব্য করে ফেলি বা প্রতিবাদ করে ফেলি। গত ১৫ বছর এ নিয়ে অনেক ভোগান্তি আমাকে পোহাতে হয়েছে এই সত্য কথা বলার জন্য।
যাহোক, আবার ফিরে আসি গল্পের কথায়, গল্পটি নিছক একটি স্বপ্ন হিসেবেই আমি কল্পনা থেকে লিখে ফেলেছিলাম। তবে সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে সময়টা একটু পিছিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি যদি জানতাম হুবহু এমনি ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে এই দেশে মাত্র ২ দিনের মধ্যে, তাহলে হয়ত আরও কিছু বিস্তারিত লিখতাম।
এখন সময় বদলে যাবার, এখন সময় বদলে ফেলার। আসুন আমরা সবাই আমাদের নিজেদের বদলাই, আমাদের সমাজকে বদলাই। কেবলমাত্র সামান্য একটু সদিচ্ছাই পারে আপনার এবং আপনার পরিবারের সকল সদস্যের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে। জানি এত দিনের অভ্যাস হুট করে পাল্টানো যাবে না, সমস্যা কি ধীরে ধীরে পাল্টান, একটু একটু করে বদলান। প্রতিদিন ১টি করে অভ্যাস পরিবর্তন করুন। নিজের বিবেক জাগ্রত করুণ, যতটুকু সম্ভব পড়ালেখা করুন, নিজের জ্ঞানের স্বল্পতা ভুলে যান, চেষ্টা করুন ইনশাআল্লাহ হবেই হবে।
আমাদের চারপাশে এবার একটা পরিবর্তন আমরা দেখতে পাবো আশা করছি। আর সে লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। কে কি বলল, কে কি ভাবল তাতে কিছুই যাবে আসবে না। আমাদের সকল পজেটিভ বিষয় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। পৃথিবীর অন্যান্য সকল জাতির মত আমরাও সভ্য হবো, আমরাও আইন মেনে চলব, পারস্পারিক হানাহানি, রক্তারক্তি এড়িয়ে চলব। তাহলে একটা সুন্দর জীবন এবং একটি সুন্দর দেশ আমরা উপহার দিয়ে যেতে পারব আগামী প্রজন্মকে। আর পরবর্তী প্রজন্ম তার পরের প্রজন্মকে এগিয়ে দেবে আরও একধাপ। এভাবেই একদিন এ অসভ্য, বর্বর, মুর্খ জাতি একসময় জাতে উঠে যাবে ইনশাআল্লাহ।
আপনারা হয়ত 'অসভ্য, বর্বর, মুর্খ জাতি' কথাটা শুনে আমাকে গালি দিতে পারেন, কিন্তু গালিটা দেওয়ার আগে অন্তত চোখ বন্ধ করে গভীরভাবে চিন্তা করে দেখেন, আমি কি বলতে চাইছি, ঠিক বুঝে যাবেন।
আমরা কেউই এ দুনিয়ায় সবকিছু শিখে আসি না, দুনিয়ায় এসে মা-বাবার হাত ধরে প্রথমে হাটতে শিখি, এরপর তাদের কাছ থেকে দু'য়েকটা কথা শিখি, এভাবে চলতে চলতে পরিবেশ, প্রতিবেশ, বন্ধু-বান্ধব এদের মাধ্যমে একসময় মহাজ্ঞানী হয়ে উঠি। কিন্তু জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা করে ফেলি আমরা, যা ছোটবেলায় বা বড়বেলায় একবার শিখে ফেলেছি, তাকে কিছুতেই আর ফেলে দিতে মন চায় না। অন্যজনে করছে, আমি কেন করব না। সে উপরে উঠে যাচ্ছে, আমি কেন পারছি না, তার ২টা গাড়ি আমার কেন নেই, তার ২টা বাড়ি আমার কেন নেই, এই চাহিদা আমাদের চিরকালই থাকবে। কিন্তু তাই বলে আরেকজন অন্যায় করে বাড়ি-গাড়ি করেছে বলে সুযোগ পেলে আমাকেও তাই করতে হবে, এমন ভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন, আপনার যা রয়েছে তার দিকে তাকিয়ে দেখুন জীবনে সুন্দরভাবে বেচে থাকার জন্য আপনার যা কিছু প্রয়োজন তা আপনার রয়েছে। আপনি কেন শুধু শুধু আরেকজনের সঙ্গে প্রতিযোগীতা করে নিজের ও সন্তানদের জীবনা নষ্ট করে ফেলবেন। যেটুকু রয়েছে আপনার তা দিয়ে আপনি নিজেকে এবং আপনার সন্তানদের নৈতিকতাবোধ শেখান, ন্যায়পরায়নতা শেখান, সত্যবাদিতা শেখান, ভদ্রতা শেখান, ধৈর্য্য ধারণ করতে শেখান, হিংসা থেকে বিরত থাকতে শেখান, অহংকার থেকে দুরে থাকতে শেখান। দেখবেন সময়ই আপনার খেয়াল রাখবে, আপনার পরবর্তী প্রজন্মকে আপনার থেকে জীবনমান উন্নত করে দেবে।
যাহোক পোষ্টটি একটু বড় হয়ে গেল কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও একরাশ ফুলের শুভেচ্ছা। প্রতিটা জীবন হোক ফুলের মত সুন্দর।
আর হ্যা মন চাইলে আমার সেই প্রত্যাশার গল্পটা পড়তে পারেন এখানে।