বাংলাদেশের সেই দিনটি যেন এক নতুন ভোরের সূচনা। আকাশের নীলিমা আর সোনালী সূর্যের আলো প্রতিটি মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেছিল। দেশটি একসময় নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল—দারিদ্র্য, বেকারত্ব, জলবায়ু পরিবর্তন, এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। কিন্তু এক অবিচল সংকল্প আর অদম্য ইচ্ছাশক্তির ফলে বাংলাদেশ আজ দাঁড়িয়ে আছে এক নতুন যুগের দ্বারপ্রান্তে।
শহরগুলোতে আধুনিক ভবনগুলো গড়ে উঠেছে পরিবেশবান্ধব উপকরণ দিয়ে। প্রতিটি বাড়ির ছাদে সবুজ গাছপালা, সৌর প্যানেল, আর বৃষ্টির পানি সংগ্রহের ব্যবস্থা। রাস্তাগুলো প্রশস্ত, পরিষ্কার, আর যানবাহন চলে বিদ্যুৎ-চালিত শক্তিতে। ছোট ছোট পার্কগুলোতে শিশুরা খেলছে, আর তাদের পাশেই তরুণ-তরুণীরা উদ্ভাবনী প্রযুক্তির কাজ করছে।
পল্লী এলাকায় চিত্রটি আরেকটু ভিন্ন, কিন্তু ঠিক ততটাই সুন্দর। সেখানকার কৃষকেরা প্রযুক্তির সাহায্যে নতুন ফসলের চাষ করছে। মাঠে মাঠে ঘুরছে বায়ু টারবাইন, যা পুরো গ্রামকে বিদ্যুৎ দিচ্ছে। নদীগুলোর পানির ধারা এখন আগের মতোই নির্মল, মৎস্যজীবীরা মাছ ধরছে, আর ছোট ছোট নৌকাগুলোতে পর্যটকেরা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছে।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, মানুষগুলোর মধ্যে ভেদাভেদ নেই। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করছে দেশের উন্নয়নের জন্য। সরকার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, এবং সাধারণ জনগণ মিলিতভাবে পরিবেশ রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে, শিক্ষার হার বেড়েছে, এবং স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য হয়েছে। এই পরিবর্তন কেবল অর্থনৈতিক নয়, সামাজিক এবং নৈতিক উন্নতিরও এক অনন্য নিদর্শন।
একদিন সকালে, গ্রামের এক প্রান্তে থাকা বয়স্ক ব্যক্তি তার নাতিকে নিয়ে হাঁটছিলেন। তিনি দেখছিলেন দেশের এই অগ্রগতি। নাতিকে বললেন, "তুমি জানো, একসময় আমরা অনেক কষ্টের মধ্যে ছিলাম। কিন্তু আমরা হাল ছাড়িনি। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম একদিন সব ঠিক হবে, এবং আজকের বাংলাদেশ সেই দিনের ফল।"
নাতি জিজ্ঞেস করল, "দাদু, আমরা কীভাবে এতো উন্নতি করতে পারলাম?"
দাদু মৃদু হেসে বললেন, "এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের ঐক্য আর পরিশ্রমের কারণে। আমরা আমাদের দেশকে ভালোবেসেছি, তার জন্য কাজ করেছি, এবং সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করেছি।"
নাতি দাদুর দিকে তাকিয়ে বলল, "তাহলে আমরাও কি এমন কাজ করে যাবো?"
দাদু বললেন, "অবশ্যই। তোমরাই তো এই দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।"
এভাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে, বাংলাদেশের এই উন্নতির গল্প চলতে থাকবে।
ছবিঃ এআই জেনারেটেড বাই মুক্তা।