আজকের এই লেখা লিখছি সুধী সমাজের উদ্দশ্যে। ইদানিং দেশের খুব আলোচিত কিছু সমস্যা নিয়ে আপনারা চিন্তিত। যেমন-দুর্ণীতি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, ইভ টিজিং, অপরাধপ্রবনতা ইত্যাদি। আপনারা বলছেন এসব সমস্যার সমাধান হতে পারে সামাজিক আন্দোলন , পুলিশ প্রশাসনের সদিচ্ছা ও আইন প্রণয়নের মাধ্যমে। আপনারা কখনই এভাবে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন না এবং তা সম্ভবও না। এর ব্যাখ্যা আমি দিচ্ছি -
আইন প্রণয়নের মাধ্যমে কি আপনি একটা মানুষের জীবন দর্শন পরিবর্তন করতে পারবেন ? আর যদি তাই হতো তহলে বিগত দিনগুলোতে যে দুর্ণীতি বিরোধী অভিযান হল তাতে তো সব দুর্ণীতি বন্ধ হয়ে যাবার কথা ! তা তো হয়নি বরং দুর্ণীতিবাজরা দুর্ণীতি করার পদ্ধতি সম্পর্কে আরো সাবধান হয়েছে এবং নব উদ্যমে দুর্ণীতি করছে। কারণ, এদেশের বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে এই প্রবণতা রয়েছে। কারণ, দুর্ণীতিবাজদের দুর্ণনীতির বিষয় নিয়ে বাবা-মা, ভাইবোন, আত্মীয়স্বজন কারো মাথাব্যাথা নেই।
আমাদের সমাজে একজন ভালো মানুষের বদলে একজন সন্ত্রাসী বেশি কদর পায়। সেটা মানুষ ভয়ে হলেও করে। আর আমাদের দেশের বেশির ভাগ সন্ত্রাসীর বাবা-মা , ভাইবোন এজন্য লজ্জিত হয় না। যদি তাই হতো তা হলে তো তারা রাতের বেলায় নিজের বাসায় জায়গাই পেত না।
যারা ইভ টিজিং এর জন্য দায়ী তাদের দিকে নজর দিলে দেখা যাবে এরা উঠতি বয়সী কিছু বেকার ও বখে যাওয়া যুবক। এসব ভাইদের ব্যাপারে মা ও বোনদের কোন চিন্তাও নেই , ভূমিকাও নেই। তারাও এজন্য পরোক্ষভাবে দায়ী।
যারা উল্লেখিত অপরাধ করে যাচ্ছে তারা দেশেরই উৎপাদিত অনুর্বর ও বিপজ্জনক মানুষ। এর একমাত্র কারণ হল চরম ত্রুটিযুক্ত শিক্ষাপদ্ধতি। যতদিন শিক্ষাপদ্ধতি পরিবর্তিত না হবে ততদিন পর্যন্ত মানুষ সুন্দর কোন জীবনদর্শন লাভ করবে না এবং সমস্যারও স্থায়ী কোন সমাধান হবে না। এ ব্যাপারে সবাইকে বিশেষভাবে বিবেচনা করার ও নজর দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি ।