একদম প্রাথমিক পর্যায়ে যাঁরা ইসলাম গ্রহণ করেছেন, খাববাব (রাঃ) তাঁদের একজন। বোধ হয় ইসলাম গ্রহণের ক্ষেত্রে পাঁচ ছয় জনের পরই তাঁর স্থান হবে। তিনি একজন মহিলার ক্রীতদাস ছিলেন। মহিলাটি ছিল নিষ্ঠুরতার জ্বলন্ত প্রতিমূর্তি। যখন সে জানতে পারল খাববাব (রাঃ) ইসলাম গ্রহণ করেছেন, তখন তাঁর উপর নির্মম অত্যাচার শুরু হল। অধিকাংশ সময় তাঁকে নগ্নদেহে তপ্ত বালুর উপর শুইয়ে রাখা হতো। যার ফলে তাঁর কোমরের গোশত গলে পড়ে গিয়েছিল। ঐ নিষ্ঠুর মহিলা মাঝে মাঝে লোহা গরম করে তাঁর মাথায় দাগ দিত।
অনেক দিন পর হযরত উমারের রাজত্বকালে হযরত উমার একদিন তাঁর উপর নির্যাতনের বিস্তারিত বিবরণ জানতে চাইলেন। খাববাব (রাঃ) তখন বললেন,“আমার কোমর দেখুন।” হযরত উমার কোমর দেখে আৎঁকে উঠে বললেন, “এমন কোমর তো কোথাও দেখিনি!” উত্তরে খাববাব (রাঃ) খলীফাকে জানালেন, “আমাকে জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর শুইয়ে চেপে ধরে রাখা হতো, ফলে আমার চর্বি ও রক্তে আগুন নিভে যেত।”
এই নির্মম শাস্তি ভোগ করা স্বত্ত্বেও ইসলামের যখন শক্তি বৃদ্ধি হল এবং মুসলমানদের বিজয় সূচিত হলো, তখন খাববাব (রাঃ) রোদন করে বলতেন, “খোদা না করুণ আমার কষ্টের পুরষ্কার দুনিয়াতেই যেন লাভ না হয়।”
মাত্র ৩৬ বছর বয়সে হযরত খাববাব (রাঃ)-এর মৃত্যু হয় এবং সাহাবাদের মধ্যে সর্ব প্রথম তিনিই কুবায় কবরস্থ হন। তাঁর মৃত্যুর পর হযরত আলী (রা) একদিন তাঁর কবরের পাশ দিয়ে যাবার সময় বলেছিলেন, “আল্লাহ খাববাবের উপর রহম করুন। তিনি নিজের খুশিতেই মুসলমান হয়েছিলেন। নিজ খুশিতেই হিজরত করেছিলেন। তিনি সমস্ত জীবন জিহাদে কাটিয়ে দিয়েছিলেন এবং অশেষ নির্যাতন ভোগ করেছিলেন।
সৌজন্যেঃ আমির হোসেন।
উৎসঃ আমরা সেই সে জাতি।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




