somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এটাই কি কর্মমুখী কৃষি শিক্ষা??

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কৃষিতে স্নাতক / উচ্চতর ডিগ্রি এক গবেষনা মুলক শিক্ষার নাম। যে শিক্ষার মূল লক্ষ্য "Learn to Feed the Nation"।সেই লক্ষ্য কে সামনে রেখেই বিজ্ঞান ভিত্তিক কৃষি শিক্ষার যাত্রা আমাদের দেশে।সেই লক্ষ্যকে পুজি করে আমাদের দেশের অনেক শিক্ষার্থী কৃষিতে স্নাতক লাভের জন্য ভর্তি হয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর যথারিতি ক্লাশ করতে থাকে এবং হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় গাদা গাদা লেকচার শিট!! শিট গুলো হাতে পেয়ে ভাবে এটা হয়তো গবেষনার ধারণার উপকরন তাই অতি আগ্রহের সাথে শিট গুলো মুখস্থ করতে থাকে এবং নিজেকে ভবিষ্যৎ এর কৃষি গবেষক হিসেবে কল্পনা করে।।আমি মনে করি তার কল্পনা যথার্থ।।কিন্তু দিন যত যায় তার কল্পনা তার কল্পনাতে শক্ত হয়ে বসে রয়। কল্পনা থেকে সেটা বাস্তবে রূপান্তরিত হয় না।আমার জানা মতে উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর কৃষি শিক্ষা ঠিক এমন "চার বছর মেয়াদি শিক্ষার প্রথম ১ম বছর শিক্ষার্থীরা বিষয় ভিত্তিক তাত্ত্বিক শিক্ষা লাভ করে। পরে২য় বছর তারা তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষা লাভ করে আর ৩য় বছর থেকে তাদের তাত্ত্বিক শিক্ষা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি চলে আসে, তাদের সারাক্ষণ গবেষনাগারে পরে থাকতে হয়। এভাবে ৪ বছর পার করার পর শিক্ষার্থী কে নিজের গবেষনা জ্ঞানের উপর একটা পরিক্ষা দিতে হয় তার পর সেখানে পাশ করলে তাকে স্নাতক ডিগ্রী প্রদান করা হয়।আমার মনে হয় এই শিক্ষাকেয় প্রকৃত গবেষনা মূলক শিক্ষা বলা হয়া।পক্ষান্তরে আমাদের দেশে গবেষনা মূলক শিক্ষা লাভ করতে আশা শিক্ষার্থীরা গবেষনার বদলে তাদের দেয়া এক গাদা লেকচার শিট মুখস্থ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা কাগজ ভর্তি করতে।তার পর আরো চাপিয়ে দেয়া হয় ব্যবহারিক খাতা লিখতে যা লেখা হয় তা হচ্ছে গবেষনাগারে যে পরিক্ষা করা হয় তার রিপোর্ট!!!কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে আমাদের শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক খাতায় যা লেখে তার অনেক গুলা পরিক্ষাগারে কোন পরিক্ষা না করেয় তা আবার শিক্ষকের দেওয়া হ্যান্ড নোট হুবহু কপি করে।এর পর টানা ছয় মাস যাবৎ অনেক কলমের কালি, সময় কাজে লাগিয়ে খাতা গুলো পুর্ন করে হাজির হয় পরিক্ষকের সামনে। পরিক্ষা শেষ হয় এবং সেই কষ্টের লেখা খাতা গুলো ঠাই পায় কোন এক কাগজ দিয়ে ঠোংগা বানানোর কারখানায়।হায়রে গবেষনা মুলক শিক্ষা!!!!!!!এভাবে পার হয়ে যায় ৪ টি বছর। প্রতিটি শিক্ষার্থী লাভ করে কৃষিতে স্নাতক।।কিন্তু গবেষক আর হয়ে ওঠে না, কেমনে গবেষক হবে?? তাদের তো গবেষনার কোন উপায় দেখানো হয় নাই। গবেষনা কিভাবে করতে হয় তা তো তাদের শিখানো হয় নি!!!তাহলে গবেষনায় যদি না শিখাতে পারেন তবে "Learn to Feed The Nation " এই কথাটির অর্থ কিভাবে মিলাবেন??একবার ভাবুন সে ছেলেটি/মেয়েটি কৃষি গবেষক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কৃষি পড়তে এসেছিল তার স্বপ্ন পূরনের জন্য আপনারা কত টুকু সহয়তা করেছিলেন??হয়তো বলতে পারেন বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এই দেশের সাথে উন্নত দেশের তুলনা করে লাভ নাই। আমি বলবো এই দেশের কৃষি গবেষনার জন্য যে পরিমান বাজেট দেওয়া হয় তা উন্নত বিশ্বের তুলনায় কম না।তাই স্বপ্ন বাচাতে এবং কৃষি গবেষনা শিক্ষার লক্ষ্য ঠিক রাখতে কৃষি শিক্ষাকে গবেষনা মূলক শিক্ষায় বাস্তবায়ন করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×