
বাল্যবেলাটা কেটেছে ম্যারাডোনা আর ম্যাকগাইভাইরের আবেশে। স্কুলের জন্য খাতা কিনতাম ম্যারাডোনার ছবি যুক্ত খাতা, একটাকা দামের গোল গোল একরকম 'বনবনি' পাওয়া যেত চকলেটের মত তাও ম্যরাডোনার ছবি যুক্ত।
এর মধ্যই '৯০ এর বিশ্বকাপ এলো। মোটামুটি আহত একটা মানুষ মাঝারি সারির একটা টিমকে একাই ফাইনালে তুলে দিল। জার্মানির সাথে সেই ফাইনালটি এখনো দাগ কে্টে আছে তীব্র ভাবে। হয়ত সচক্ষে দেখা প্রথম ফাইনাল বলে, হয়ত দুর্বল টিমের বিপক্ষে রেফারী [কোদেসাল] এর তীব্র বিতর্কিত সব কান্ডের কারনে। ক্লিন্সম্যানের সেই ডামি জাম্পের কারনে ৮৫ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি। ব্রেমার গোল, আর খেলা শেষে শিশুর মত ম্যারাডোনার কান্না। আমার ধারনা ওইদিন বাংলাদেশে কেউ না কাদলেও কষ্ট পায়নি এমন কোন মানুষ নেই, অন্তত যারা খেলা দেখেছিল। আর ঐ কারনেই জার্মানি ভালো খেল্লেও মন থেকে ওদের জেতাটা অভাবে কখোনোই উপভোগ করিনা।
২০ বছর পরে আবার সেই ম্যারাডোনা, সেই জার্মানী, সেই বিশ্বকাপ। অলৌকিক সেই ফুটবল যাদুকরের কাছে আর কিছুই চাইবার নেই, শুধু একবার '৯০ এর কান্নাটিকে জার্মানিকে ফিরিয়ে দেয়া ছাড়া। শুধু একবার।
ভামোস ভামোস ম্যারাডোনা

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




