হঠাত করেই অনেক সময় রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম থেকে উঠে অনেক সময় লাগে নিজেকে বুঝে উঠতে কোথায় আছি। অনেক সময় বিশ্বাস করতেও কষ্ট হয় ঠিক এক বছর আগেও এই সময়টা দেশে ছিলাম। নানান দিনের কথা মনে হয়, নানান গল্প নানান আনন্দের স্মৃতি মনে পড়ে। এরপর ই মনের ভেতরে একটি আশা দানা বাধে, কবে দেশে যাব কিছু দিনের জন্যে।
শীতকাল এই প্রথম এত ঠাণ্ডা উপলব্ধি করলাম। কিন্তু এখন মাইনাস এর তাপমাত্রা খুব ই সাধারন ঘটনা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দেশের ঠাণ্ডায় যে মজাটা ছিল তা এখানে পাওয়া সম্ভব হয়নি সঙ্গত কারনেই। তবুও চালিয়ে নেয়া দিনের পর দিন।
চলাফেরায় আজকাল বাড়তি নজরদারি করতেই হয়। আশেপাশের মানুষের চোখ কেমন সন্দেহের, কিংবা কখনও উদ্বেগের। বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারনে প্রবাস জীবন সঙ্কীর্ণ হতে পারে কিছুটা হলেও ভাবনায় ছিল না। বিশাল টুর বাদ দেয়া এ কারনেই ছিল। এছাড়াও ঠাণ্ডায় শরীরের শক্তিও প্রায় ম্রিয়মান।
একটা টুর দেয়াটা আবশ্যক হয়ে গেছে। দেখা যাক কোথায় দু চোখ যায়।
মাথায় আপাতত রাজ্যের চিন্তা। প্রেসেন্টেশান এবং থিসিস এর যুগপৎ চাপে আজ এখানেই ইতি।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:১৫