somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজনৈতিক সহিংসতা

১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে মাত্র কিছু দিন। বিজয়ী দল দায়িত্ব গ্রহণও করেছে মাত্র কয়েক দিন। অথচ মাত্র এই কয়েক দিনের মধ্যে আমরা বলা চলে প্রতিদিনের পত্রিকাতেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নির্বাচনোত্তর সহিংসতার খবর পাচ্ছি। সহিংতার কারণে বিভিন্ন জায়গায় অনেক মানুষ আহত এবং নিহত হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন বাস স্টান্ড ,খালি জায়গা ইত্যাদি সব দখল দারদের হাতে চলে যাচ্ছে।দেশের বাইরে পালিয়ে থাকা সব বড় বড় সন্ত্রাসীরা আবার দেশে ফিরতে শুরু করেছে বলে খবরে প্রকাশ। কেও কেও নাকি আবার দলীয় হাই কমান্ডের অনুমতির অপেক্ষায় আছে। সিগনাল পেলেই তারা নাকি দেশে চলে আসবে। এই ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে দেশের বড় বড় শিক্ষাঙ্গানে বিজয়ী দলের ছাত্র -নেতাদের আধ্যিপত্য বিস্তার এবং সহিংসতা ও সংঘর্ষ। যেটা সাধারণ জনগণের কারও কাছেই কাম্য নয়। এই মাত্র কদিন নির্বাচনের আগে দলীয় সভানেত্রী কি কথা বলে রাষ্টীয় ক্ষমতায় অদিষ্ট হয়েছেন সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্ত তারপরও আমাদের কে এতসব মারামারি,হানাহানি, দখল,সন্ত্রাসী নানা রকম অপ্রীতিকর খবর শুনতে হচ্ছে। যাতে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত। রাজনীতি মানেই যদি হয় সন্ত্রাস, দখল দারিত্ব,দূর্নীতি মারামারি,মৃত্যু,বিরোধী দলকে জব্দ করা, জবর দস্তি করে আন্দোলন মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গান বন্ধ করে একজনের পদত্যাগ দাবি করে নিজের দলের লোককে ঐ স্থানে বসিয়ে দেওয়া তাহলে অব্শ্য আমাদের বলার কিছু নেই। আমরা শুধু বলতে চাই নির্বাচনের আগে যে সন্ত্রাসমুক্ত , দারিদ্র মুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ছিল তা গড়ার ক্ষেত্রে এই সমস্ত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কি মোটেই অন্তরায় নয়? দখল দারিত্ব, মারা-মারি, চাঁদা বাজি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় ধর্মঘট ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এগুলি কি সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের আওতায় পড়ে না ?একটি জাতিকে ধ্বংস করার জন্য সর্বপ্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা এটা কি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে প্রধান অন্তরায় হতে পারে না? তাই মানণীয় প্রধান মন্ত্রির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, এত বড় বিজয়ের পর যদি দলের নেতা কর্মী দ্বারা সৃষ্ট এসব তান্ডব দেখতে শুনতে হয় তাহলে আমাদের দুঃখের শেষ কোয়ায় ? তাহলে কি আমরা ধরে নেব যে, জনগণের আশা-আখাঙ্খাকে পদ দলিত করে রাজনীতিতে কোন গুনগত পরিবর্তন রাজনীতি বিদরা চান না। মাত্র এই কয়দিনে যদি এত মারামারি দখল, সন্ত্রাসের খবর পাই তবে বাকি পাঁচ বছর আমাদের কি দেখতে-শুনতে হবে তা আল্লাই জানে। নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের একটা ভাবনা সব সময় কাজ করতো। সে ভাবনা ছিল কি হবে নির্বাচনের পর? আবার কি সেই চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস,হানা-হানি,দলীয়- করণ, দখলদারিত্ব আমাদের দেখতে হবে? নাকি কিছু পরিবর্তন হবে।যাই হোক , আমাদের প্রত্যাশা আমরা পূর্বের সেই হরতাল, ধ্বংস, লাশ, দখলদারিত্ব,সন্ত্রাস, মারামারি-হানাহানি আর দেখতে চাই না। আমাদের প্রত্যশা ,সময় থাকতে এসব দল বল বিবেচনায় না রেখে কঠোর হস্তে দমন করা।কারণ সময় থাকতে সময়ের কাজ সময়ে না করলে তাতে পঁচন ধরলে সারানোর ওষধ পাওয়া যাবে না। তাই আবারও বলতে চাই, জনগণ রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন চাই, রাজনীতিতে গণতন্ত্র চাই, দেশে গণতন্ত্র চাই,সুস্থ স্বাধীন ভাবে কাজ করতে চাই,ভয়-ভীতিহীন ভাবে পথ চলতে চাই, চাই সুস্থ ধারার রাজনীতি।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:২৩
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×