প্রশ্ন বিশ্বের কোন ব্যাক্তি সবচেয়ে ধনী ও অর্থের অধিকারী?
উত্তর হবে আমাজনের জেফ বেজস, ফেসবুকের মার্ক জুকারবার্গ, মাইক্রোসফটের বিল গেটস, ম্যাক্সিকোর কার্লোস স্লিম!
কিন্তু অবাক করার বিষয় হইল এদের সম্মিলিত অর্থ সম্পদতো বটেই পৃথিবীর সকল বিলিয়নিয়াররা মিলেও একটা পরিবার ও ব্যাক্তির কাছে কিছুই না। সে হইল Nathaniel Charles Jacob Rothschild যে Jacob Rothschild নামে পরিচিত। বৃটিশ এই ইহুদী(তালমুদী/জয়নবাদী) ব্যাক্তি ও পরিবারের মোট সম্পদের পরিমাণ ৫০০ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশী। গুগলে দেখলাম পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ষ্টেডিয়াম হইল উত্তর কোরিয়ার Rungrado May Day Stadium যার ধারণ ক্ষমতা দেড় লক্ষ লোক। তবে এর জায়গার পরিমাণ ধরে যদি হিসাব করা হয় তাইলে এই রকম ২০টা ষ্টেডিয়াম লাগবে জ্যাকব ও তার রথসচাইল্ড পরিবারের সব অর্থ রাখতে। এই রথসচাইল্ড পরিবারই বিশ্বে স্বর্ণের বদলে কাগজের মুদ্রার ধারণা দেয় আজ থেকে কয়েক শতক আগে জার্মানীতে। আধুনিক ব্যাংকিং সিষ্টেমের প্রচলন এরাই করে! আর ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বর্ণের বদলে মার্কিন ডলারকে প্রতিস্থাপিত করে এই রথসচাইল্ড পরিবার। এই কারণেই জয়নবাদী ও ইসরাইলী লবির প্রচন্ড প্রভাব মার্কিন সরকারের উপর। প্রথমে ঘুষ দিয়ে ও পরে অজগর ও এনাকোন্ডার মত প্যাচিয়ে আছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট, সিনেটর ও কংগ্রেসম্যান এবং প্রশাসনকে। এখন অনেক মার্কিনি বুঝলেও কিছুইতেই রথসচাইল্ডের থেকে নিস্কৃতি পাচ্ছে না মার্কিনিরা। কারণ রথসচাইল্ডের সমর্থন সরে গেলেই মার্কিন অর্থনীতি তাসের ঘরের মত ধ্বসে পড়বে। যার থেকে আগামী ২০-৩০ বছরেও ঘুরে দাড়ানো মুশকিল হবে তাদের। সারা পৃথিবীতে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের মজুদ আছে তার বিপরীতে মার্কিন ট্রেজারীর কাছে সমপরিমাণ স্বর্ণের সাপোর্ট নাই। পৃথিবীর কিছু দেশ যেমন মালয়শিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া, ইরান, আইসল্যান্ড, ভেনিজুয়েলা, কিউবা, উরুগুয়ে সহ কয়েকটি বাদে সবাই বিশ্বব্যাংক ও আই.এম.এফের উপর নির্ভরশীল। কাজেই এত দেশের সাথে মার্কিনিদের পক্ষে ডলারের বদলে স্বর্ণ দেওয়া সম্ভব না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভিন্ন দেশের স্বর্ণ হস্তগত করা ও বর্তমান বিশ্বের স্বর্ণমূল্যও নির্ধারিত হয় রথসচাইল্ড পরিবারের নির্দেশে! মূলত রথসচাইল্ডের পরিবার ইলুমিনাটির একটা বড় অংশ। এটা ৬ হাজার বছরের পুরোনো ইতিহাস। বিষয়টা সাড়ে ৩ হাজার বছর আগের ঘটনা থেকে দেখলে অনেকটা পরিস্কার হবে। মিশর থেকে যখন মুসা(আঃ) ফেরাউন ও তার সেনাদের থেকে পালিয়ে লোহিত সাগর অতিক্রম করে প্যালেষ্টাইন/ইসরাইলে আসেন তখন তারই অনুসারীদের মধ্যে ফেরাউন, শয়তান ও মুশরিকের কিছু দল ঘাপটি মেরে ছিল। এরাই পরবর্তীতে বানী ইসরাইল সম্প্রদায়কে পাপের ও অভিশপ্ত পথে নিয়ে যায়। এদের কয়েকজনকে প্রাথমিকভাবে মুসা(আঃ) সরাসরি আল্লাহর আযাব দিয়ে খতম করেন। শয়তানী ও কাল যাদু ইত্যাদি অভিশপ্ত কার্যকলাপ ফেরাউন পরবর্তী যামানায় এদের মাধ্যমেই ছড়ায়। তারা পরবর্তীতে প্রচার করে যে সুলাইমান(আঃ) তার যমানায় যে মাযেজা দেখাইত সেটা নাকি শয়তানের অবদান(নাউজুবিল্লাহ)। এটা প্রায় ৬ হাজার বছর আগের ঘটনা।
যাই হৌক ইহুদীদের কয়েকজন রাব্বী বা রাবাই, স্কলার যারা এ সব বলত তাদের প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন;
"যখন তাদের নিকট আল্লাহ্র তরফ থেকে একজন রাসূল এসেছিলো, যে তাদের নিকট যা আছে উহার সমর্থক, কিতাবীদের একদল, আল্লাহ্র কিতাবটিকে পিছনে নিক্ষেপ করলো, যেনো [এটা এমন একটি ঘটনা যা] তারা জানে না।" (সুরা বাকারা: আয়াত ১০১)
"সুলাইমানের ক্ষমতার বিরুদ্ধে শয়তানেরা [মিথ্যা ম্যাজিককে] প্রকাশ করতো যার অনুসরণ তারা করতো। সুলাইমান আল্লাহ্র নিন্দা করে নাই, করেছিলো শয়তানগণ, তারা মানুষকে শিক্ষা দিত-যাদু এবং এরূপ জিনিষ যা বেবিলন শহরে হারূত ও মারূত ফেরেশতাদ্বয়ের উপরে অবতীর্ণ করা হয়েছিলো। 'আমরা পরীক্ষা স্বরূপ; সুতরাং [আমাদের নিকট থেকে এ ম্যাজিক শিখে] অবিশ্বাসী হয়ো না;'-এ কথা না বলে তারা কাউকেও [এসব জিনিষ শিক্ষা দিত না। তারা তাদের নিকট থেকে শিক্ষা লাভ করতো যা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করবে। কিন্তু আল্লাহ্র নির্দেশ ব্যতীত এভাবে তারা কারও ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। তারা শিক্ষা লাভ করেছিলো যা তাদের [নিজেদের] ক্ষতি সাধন করবে, কোন উপকারেই আসবে না। আর তারা জানতো যে, যারা [যাদুবিদ্যা] ক্রয় করে পরলোকের সুখ শান্তিতে তাদের কোন অংশ নাই। কত নিকৃষ্ট মূল্য যার বিনিময়ে তারা স্বীয় আত্মাকে বিক্রি করেছে-যদি তারা তা জানতো;।" (সুরা বাকারা: ১০২)
আপনারা যদি মার্কিন মুদ্রার এক ডলারের নোটের দিকে লক্ষ্য করেন তাতে পিরামিড, মানুষের একচোখ, তারা সমূহের বিশেষ ডিজাইনের মনোগ্রাম দেখেন তা সবই সেই মিশরী ফেরাউন আমলের কাল ও শয়তানী যাদুবিদ্যা। এই সব কিছুই মার্কিন রাষ্ট্রীয় ব্যাবস্থয় সাফল্যের সাথে প্রতিস্থাপন করছে এই রথসচাইল্ডের পরিবার। স্রেফ প্রকৃত ইসলামপন্থী ও কোরআনের উপর বিশ্বাসী এবং এর আমলকারীরাই শয়তানী গোষ্ঠীদের রুখতে পারে। এই বিষয়ে ১৯৭৯র ইরানী ইসলামিক বিপ্লবের কথা বলতে হয় যারা মার্কিনিদের পুতুল শাহ পাহলেভীকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এই শাহ গোষ্ঠীদেরেকে ১৯৫৩ সালে সিআইএ ও মার্কিনিরা চক্রান্ত করে ক্ষমতায় বসাইছিল। এতে রথসচাইল্ডের পরিবারও জড়িত! ইরান ছিল তখন ইউরোপের মতই খোলামেলা কিন্তু র্দূনীতিতে ভরপুর ও গরীব, মধ্যবিত্তদের চরম অবহেলা করত শাহর রাজবংশ ও তার প্রশাসন । মার্কিনিদের কথা মাথায় রেখেই শাহকে উচ্ছেদকালীন সংগ্রামে ইরানীরা মার্কিন দূতাবাসকে অবরুদ্ধ করে ফেলে যা এক বছরেরও বেশী সময়ের জন্য। এরই মধ্যে মার্কিনিদের বিশেষ কমান্ডো দল বিশাল পরিবহন বিমান, এ্যাটাক হেলিকাপ্টার নিয়ে গেলে ইরানের মরুভূমিতে অবস্থানের সময় প্রচন্ড ধূলিঝড়ে তাদের বেশীর ভাগই ঘায়েল হয়। বিমান ও কয়েকটি হেলিকাপ্টার পরস্পরের সাথে সংঘর্ষে ঘায়েল হয়। এই ঘটনার পর মার্কিন সামরিক বাহিনীর আর সাহস হয় নাই ইরানের উপর হামলা চালাতে। এই ঘটনার এখনও কিনারা করতে পারে নাই মার্কিনিরা। কিন্তু আমরা মুসলমানরা বিশ্বাস করি এটা আল্লাহর কুদরত। ঐ সময়ে আল্লাহ মার্কিনিদের চক্রান্ত ব্যার্থ করে দিছেন! আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন যারা প্রকৃত ইমানের পথে চলে শয়তান, আগ্রাসী মুশরিক ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ে তারা যেন জয়ী হয়, আমিন! ইলুমিনাত্তি
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪