খুব জরুরী একটি মিটিং সেরে মাত্রই বের হয়েছি!
দীর্ঘক্ষণ কোন কল রিসিভ করতে পারিনি তাই ফোন বের করে শিমুলের সাথে একবার কথা বললাম! কল লিস্টে দেখলাম ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন ফোন করেছে। একে একে আমি আবার সবাইকে কল ব্যাক করলাম।
একটি নাম্বার ছিল আন নোন।
কল ব্যাক করার পর ফোন ধরে একটি মেয়ে কণ্ঠ বললো, আচ্ছা আপনি কি একজন লেখক?
আমি বললাম, হু
কি লিখেন?
আমি ভাবলাম এ আবার কে? ফোন করেছে আমাকে অথচ জানে না আমি কে? কি করি? কি লিখি।
যাইহোক তাকে একটু গম্ভীর কণ্ঠে জানালাম-
আমি একজন কবি!
ওহ আচ্ছা। সে খুবই খুশি। সাথে হেসে জানালো, আমিও লিখি।
তারপর কিছুটা থেমে আবার প্রশ্ন-
আপনার নাম কি?
আমি ভাবলাম, বেশ! ভালো বিপদ হল দেখি! আমাকে ফোন করে আমার নামই জানতে চায়? এসবের কী মানে!!
আমি ঠাণ্ডা স্বরে বললাম, নীলসাধু! ততোক্ষণে আমি হাল্কা বিরক্ত।
সে আবার এমার এই বুঝে না।
এ আবার কেমন নাম?
আমি তাকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করলাম নী ল সা ধু!
মনে হচ্ছে সে ঠিক বুঝতেই পারছে না! কিছুক্ষণ পর তাকে বোঝানো গেলো আমার নাম।
আমি আসল আলাপে গেলাম। জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কে? কাকে চাইছেন?
তখন জানা গেলো মুল কাহিনী-
সে একটি বইয়ে পড়েছে বই পড়ে ভালো লেগে যাবার পর কোন এক বইয়ের নায়িকা বই থেকে প্রকাশকের নাম্বার নিয়ে ফোন করে লেখকের সঙ্গে কথা বলেছিল এমন কিছু!
সে আমাদের এক রঙা এক ঘুড়ি প্রকাশনী হতে প্রকাশিত একটি বই পড়ে সেখানে আমার নাম্বার পেয়ে ফোন করেছে!
বইয়ে প্রকাশক হিসেবে আমার নাম্বারই দেয়া থাকে। এবং সেই গল্পের মতোই একজন লেখকের সঙ্গে কথা বলতে পেরে সে আনন্দিত!
সব শুনে আমি অবাক হলেও খুব একটা বিস্মিত হলাম না।
হুমায়ূন আহমেদ এর বই পড়ার ইফেক্ট! এদের কার মনে কি আসে। সে কি করতে চায় কে বলতে পারে? মজা পেলাম।
কিছুক্ষণ তার সাথে কথা বলে ফোন রেখে দিলাম। তাকে মেঘফুল এ লিখতে বললাম, ঘুড়ি গ্রুপের কাজে যোগ দিতে বললাম, যা আমি প্রায় সবসময়ই করি
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪৩