শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শাহপরান হলের নিয়ন্ত্রণ নিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন সুমন নামের এক ছাত্রলীগকর্মী। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিন জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিবন চক্রবর্তী ও সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় গ্রুপের সংঘর্ষের সময় চলে ককটেলবাজি ও গোলাগুলি। এতে সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় ও ছাত্রলীগকর্মী সুমনসহ গুলিবিদ্ধ হন চারজন।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম এর সিলেট প্রতিনিধি সাকির আহমেদ ঘটনাস্থল থেকে জানান, গুরুতর আহত সুমনকে (২২) আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সুমন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র।
সংঘর্ষের পরপরই ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। তবে শাবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় তারা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিবন চক্রবর্তীর সমর্থকরা ক্যাম্পাসে ঢোকেন। এ সময় শাহপরানের নিয়ন্ত্রণে থাকা সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য উত্তম কুমার দাশের সমর্থকরা তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। শাহপরাণ ও দ্বিতীয় ছাত্রহলের ভেতরে কমপক্ষে ২০টি ককটেল ফাটানো হয়। সশস্ত্র অবস্থায় হলের ভেতরে ও ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপের সমর্থকদের মহড়া দিতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ বাদেই শুরু হয় দুই পক্ষের ককটেলবাজি ও গোলাগুলি। এতে অঞ্জন গ্রুপের খলিল, সুমনসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হন।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৮ মে সঞ্জিবন চক্রবর্তীকে সভাপতি ও ইমরান খানকে সাধারণ সম্পাদক করে শাবি শাখা ছাত্রলীগ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কমিটি ঘোষণা করা হলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সঞ্জিবন চক্রবর্তী ও তার সমর্থকরা এতদিন ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি। ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণে ছিল সহসভাপতি অঞ্জন রায় ও উত্তম কুমার দাশ ও তাদের সমর্থকদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিমাদ্রি শেখর রায় জানান, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/প্রতিনিধি/আতে