somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আত্মজীবনী ১ - একজন সুপাঠক হিসাবে বেড়ে উঠা

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সবাই একদিনই ভালো পাঠক/পাঠিকা হয়ে গড়ে উঠে না। সবার বই পড়ার আগ্রহ তৈরি হওয়ার পেছনের কাহিনীও এক হয় নয়। হওয়ার কথাও না। এই কাহিনী একেকজনের একেক রকম হয়। ছোটবেলা থেকেই সেইসব বাচ্চাদের বই পড়ার সুন্দর অভ্যাস গড়ে ওঠে, যাদের পারিবারিক আবহে বই পড়ার উপযুক্ত সুযোগ থাকে। আমাদের বাসায় পড়ার জন্য বইয়ের কোনো অভাব ছিল না। আমার বাবা নিজেই প্রচুর বই পড়তেন। বাসা ভর্তি অনেক, অনেক বই ছিল। বিভিন্ন জনরার, বিভিন্ন লেখকের। নিয়মিত বই পড়ার ব্যাপারে বাবা নিজেই প্রচুর উৎসাহ দিতেন আমাদের।

আব্বু আম্মুর বিয়ে হয়েছিল অনেকবছর আগে। তখন বিয়ের উপহার বলতে অনেকেই বই উপহার দিত। আমার বাসায় আমি একটু বড় হওয়ার পর থেকে দেখছি বিখ্যাত সব লেখকদের বই বিয়েতে উপহার হিসেবে পাওয়া। ‌রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কিংবা কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কিছু উপন্যাস ছাড়াও যাযাবরের কয়েকটা বইও পেয়েছিলাম আমি। ‌এছাড়াও ছিল প্রচুর ধর্মীয় বই। ধর্মীয় অনেক দুষ্প্রাপ্য বই ছিল বাসায়। যাদের অনেকগুলোই পূর্ব পাকিস্তান আমলে প্রথম প্রকাশিত ছিল। তাযকিরাতুল আউলিয়া, তাযকিরাতুল আম্বিয়া ইত্যাদি ধর্মীয় গল্পের অনেক বই পড়েছি ছোটবেলায়।

এছাড়াও আমার ছোটবেলায় পাড়ায় বেশকিছু পাঠাগার ছিল। আমার বই পড়ার এত আগ্রহ দেখে ছোটবেলায় আমার মেঝভাই আমাকে নিয়ে স্থানীয় একটা পাঠাগারের সদস্য করে দিয়েছিলেন। ভাইয়া ছিলেন এই পাঠাগারের একজন নির্বাহী কমিটির সদস্য। একতলার বিশাল একটা পাঠাগারে শত শত বই ছিল। সবাই নিজের নাম লিখে সেখান থেকে বই নিয়ে আসতাম। তবে বয়সের অনুপাতেই সবাইকে বই দেওয়া হতো, চাইলেও যে কেউ যে কোনো বই আনতে পারতো না। সেখানেই আমি প্রথম আবুল আসাদ সাহেবের লেখা বিখ্যাত সাইমুম সিরিজের সাথে পরিচিত হই। ধরতে গেলে আমি প্রায় টানাই সাইমুমের অনেকগুলো বই পড়েছিলাম সেইসময়। আমি তখন ক্লাস সিক্স বা সেভেন পড়ি। ‌সেই সময় পরিচিত হই তিন গোয়েন্দা সিরিজের সাথে।‌ কিন্তু সেই সময় তিন গোয়েন্দা সিরিজের চাইতেও আমার কাছে বেশি আকর্ষণ লাগতো কিশোর ক্লাসিক সিরিজের বইগুলোর প্রতি। বিদেশী ভাষার বিখ্যাত সব বইগুলো সেবা প্রকাশনী সেই সময় কিশোর ক্লাসিক হিসেবে বের করতো। অনুবাদগুলো ছিল ঝকঝকে। পড়তেও খুব মজা লাগতো। এছাড়াও তখন আরেকটা বিখ্যাত প্রকাশনী ছিল অবসর। ‌তাদেরও প্রচুর অনুবাদের ক্লাসিক বই ছিল। ‌পাড়ার আরেকটা পাঠাগার থেকে আমি নিয়মিত এইসব অনুবাদের কিশোর ক্লাসিক বইগুলো বাসায় নিয়ে এসে পড়তাম। সাপ্তাহিক চাঁদার পরিমাণ ছিল খুবই নগণ্য। ‌স্কুলের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে এই পাঠাগারের সাপ্তাহিক চাঁদা দিতাম আমি।

এখনও মনে পড়ে সেই সময় কত গভীর আগ্রহ নিয়ে টারজান সিরিজের বইগুলি পড়তাম। স্কুলের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে গোপনে টারজানের বইগুলো কিনে নিয়ে আসতাম। ‌এছাড়াও তখন নীলক্ষেতে প্রচুর পুরনো বই অদল বদল করা হতো। পড়া শেষ হলে আমার পড়া বইগুলো বড় ভাইদেরকে দিয়ে দিতাম বদল করে নতুন বইগুলো নিয়ে আসতে। ‌এছাড়াও সুযোগ পেলেই ভাইয়েরা আমার জন্য নীলক্ষেত থেকে অনেক বই কিনে নিয়ে আসতেন। ‌

ছোটবেলা থেকেই স্কুলে খুব ভালো রেজাল্ট করার কারণে আমার নিয়মিত বই পড়া নিয়ে বাসায় কখনোই সমস্যা হয়নি। তখন আসলে টিভি এত বেশি প্রচলিত ছিল না, চ্যানেল বলতে ছিল শুধু বিটিভি, তাও আবার শুধু নির্দিষ্ট সময় বাচ্চাদের জন্য কার্টুনের অনুষ্ঠান হতো।‌ ছোটবেলায় পড়াশোনা চাপ এত বেশি ছিল না, যার কারণে পড়াশোনা শেষ করেই প্রচুর বই পড়ার জন্য সময় ঠিকই আমি বের করে নিতাম।

আমার বাসা ঢাকা হলেও আমার খালারা থাকতেন নারায়ণগঞ্জে। ‌প্রায় কয়েক মাস পর পরই আমার আম্মু আমাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে বেড়াতে যেতেন। ‌ নারায়ণগঞ্জে বেড়াতে যাওয়া ছিল আমার জন্য রীতিমতো একটা অ্যাডভেঞ্চারের ব্যাপার। ‌বড় খালা ও মেজ খালার বাসায় ছিল দুর্দান্ত সব বইয়ের কালেকশন। ‌আমরা সময় নিয়ে যেতাম সেখানে।

বড় খালার বাসায় বিভিন্ন বইয়ের ছিল বিশাল সংগ্রহ। আমার খালাতো দুই ভাই Shajahan Shamim ও Nazim Reja ছিলেন বইয়ের পাঠক। ‌ওই বাসায় গেলেই আমি প্রথম বেছে বেছেএকগাদা বই নিয়ে বসতাম। ‌দিনের বেশিরভাগ সময় কাটতো এই বইগুলি পড়ে। এই বাসায় প্রথম আমি হেনরি রাইডার হ্যাগারের লেখার সাথে পরিচিত হই। শি ও রিটার্ন অফ শি এই দুইটা বই আমি এই বাসায় পড়েছিলাম।

মেজ খালার বাসায় ছিল দুষ্প্রাপ্য বইয়ের বিশাল এক কালেকশন। আমি এই খালার বাসায় আসলেই আমার খালাতো ভাই Fida Hasan Khan Tushi ও খালাতো বোন Shayla Parveen Shilpi বইগুলো রাখার একটা আলমিরা খুলে দিতেন আমার জন্য। যে কয়টা দিন থাকতাম, এই বইগুলো পড়ে পড়ে সময় কেটে যেত আমার সেখানে। আমার যতটুকু মনে পড়ে এই বাসায় প্রথম আমি কুয়াশা সিরিজ ও মাসুদ রানা সিরিজের বইগুলো পড়তে শুরু করি। কুয়াশা সিরিজ ছিল বেস্ট। আমার ওই সময়ের জন্য এইধরনের এডভেঞ্চারের বইগুলো ছিল দুর্বার আকর্ষণের বস্তু। আমার যতটুকু মনে পড়ে কুয়াশা সিরিজের প্রায় অনেকগুলো বই ওই বাসায় আমি ধাপে ধাপে পড়েছিলাম। ‌
বয়স বাড়ার সাথে সাথে পাঠকের রুচির বিস্তৃতি ঘটে এবং আরো ব্যাপকভাবে পাঠকরা বই পড়তে চায়। আমার বেলাও তার কোনো ব্যতিক্রম হলো না। অল্প কিছুদিন পরেই স্কুল জীবনের শেষের দিকে এসে এবং কলেজ জীবনে আমি ভারতীয় সাহিত্যে বিখ্যাত লেখকগুলোর বই পড়া শুরু করলাম। বুদ্ধদেব গুহ, সমরেশ মজুমদার, নীহার রঞ্জন গুপ্ত, শংকর, সত্যজিৎ রায় ও শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর যে বইগুলো পেতাম সেটাই গোগ্রাসে পড়ে ফেলতাম। এর মধ্যে শুরু হলো আবার নতুন এক আকর্ষণ, হুমায়ূন আহমেদ। ‌ভারতীয় বইগুলোর চাইতে হুমায়ূন আহমেদের বইগুলোর প্রতি আকর্ষণ দিনে দিনে অনেক বেড়ে যেতে লাগলো। এক সময় অনুভব করলাম হুমায়ূন আহমেদের বইগুলো ভারতীয় বইগুলোর চাইতেও বেশি আকর্ষণ করে আমাকে। ধীরে ধীরে হুমায়ূন আহমেদের বই টানা পড়ে যেতে লাগলাম। মিসির আলি কিংবা হিমুর সিরিজ প্রায় টানাই পড়ে গেলাম আমি ভার্সিটি জীবনে।

চরম বিস্ময় ব্যাপার হচ্ছে বই পড়ার প্রতি আমার প্রচণ্ড আগ্রহ এত বছরেও এতটুকুও কমেনি। বরং টেকনোলজির বিস্তারের সাথে সাথে আমার বই পড়ার মাধ্যম বদলে যেতে লাগলো। ভার্সিটি জীবনে ইন্টারনেটে এত বেশি সুযোগ না থাকলেও পরবর্তীতে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার জন্য খুব সহজেই এখন ইচ্ছে করলে সারা বিশ্বে যে কোন জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় যে কোন ডকুমেন্ট বা বই নামিয়ে নিয়ে পড়া যায়। আগে ছাপার কাগজে বই পড়লেও, এখন সুযোগ হয়ে উঠলো দেশ বিদেশের বিভিন্ন জনরার ই-বুক পড়ার।

তুলনামূলক ধর্মীয় আলোচনা হচ্ছে আমার সবচেয়ে প্রিয় এবং ইন্টারেস্টিং একটা টপিক। খ্রিস্টীয় ধর্ম, ইহুদি ধর্ম সহ প্রাচীনকালের বিভিন্ন ধর্মগুলোর উপর বইগুলো আমার সবচেয়ে ভালো লাগে পড়তে। সত্যি কথা বলতে কি, এসব টপিকের উপরে বাংলায় বই পাওয়া আসলে খুব কঠিন। অনুবাদের বইগুলো বেশিরভাগ সময় পড়তে বিরক্ত লাগে অনুবাদকের কাজের দুর্বলতার কারণে। ইংরেজিতে বই পড়তে বরং আমি বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। একজন লেখক তার লেখার প্রকৃত আকর্ষণ যে ভাষায় ফুটিয়ে তোলেন সেটা অনুবাদ করে যত চেষ্টাই করা হোক না কেন, সেই আকর্ষণটা রেখে দেওয়া খুব কঠিন একটা কাজ। এখন আবার গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করে কিছুটা পরিবর্তন করে বই প্রকাশের একটা প্রবণতাও দেখা যায়, যেটা অপছন্দ করি। আক্ষরিক অনুবাদ কখনো ভাবানুবাদে মতো আকর্ষণীয় হতে পারে না বলেই আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

আগে ইচ্ছে থাকলেও গাদা গাদা বই কিনতে পারতাম না। আল্লাহর রহমতে এখন সেই সুযোগ তৈরি হয়েছে। ‌প্রায় নিয়মিতই পছন্দের বইগুলো কেনাকাটা করি আমি। তবে আমি সবচেয়ে পছন্দ করি নতুন যারা লেখক, প্রথমবার বই বের করেছেন তাদের বই কিনতে। কারণ আমার মনে হয় পাঠকদের এই নতুন লেখকদের প্রতি সহানুভূতিটা সবচেয়ে বেশি থাকা উচিত। ‌একজন নতুন লেখক প্রচণ্ড আগ্রহ নিয়ে এবং অনেক আশা নিয়ে তার প্রথম বইটা প্রকাশ করেন। তার পাশে যদি পাঠকরা না দাঁড়ায় তাহলে তার পক্ষে লেখালিখিকে কন্টিনিউ করা খুব কঠিন হয়ে যায়। আমি নিজের চোখে দেখেছি খুব ভালো কয়েকজন লেখক লেখিকার পাঠকের সহায়তার অভাবে হতোদ্যম হয়ে বই প্রকাশ থামিয়ে দিয়েছেন।

তবে যাই হোক, যে একবার বই পড়ে মজা পেয়েছে তার চাইতে মজাদার অন্যকোন কিছু হতে পারে না। ফেসবুক ও ইন্টারনেটে অবাধ বিচরণের সুযোগ বর্তমানে নতুন জেনারেশনের পাঠকদের বই পড়ার আগ্রহকে অবশ্যই বাঁধাগ্রস্থ করে। তবে বই পড়ার প্রকৃত আনন্দ যারা একবার পেয়েছেন তাদের কাছে ফেসবুক কিংবা ইন্টারনেটে অবাধ বিচরণ করার চাইতেও যে বই পড়া অনেক মজাদার তারা ঠিকই সেটা উপলব্ধি করতে পেরেছেন।

বাংলা ভাষার সকল পাঠক পাঠিকা, লেখক লেখিকা, প্রকাশক এবং সংশ্লিষ্ট শুভানুধ্যায়ীদের শুভকামনা রইলো। আশা করছি বাংলা ভাষায় সাহিত্য চর্চা অনন্তকাল ধরে এভাবেই পাঠকের হৃদয় বেঁচে রইবে নিরন্তর

অফটপিক:
হুট করেই ইচ্ছে হলো নিজের জীবনের সেরা কিছু কাহিনী লিখে রাখি। ব্লগের চেয়ে ভালো জমিয়ে রাখার জায়গা আর কী বা হতে পারে! এই সিরিজের আরো লেখার ইচ্ছে আছে।
সামান্য একটু জায়গা নিয়ে নিজের জন্য একটা মার্কেটিং করছি। বিগত বইমেলা়গুলোতে আমার তিনটা বই প্রকাশিত হয়েছে।
কেউ আগ্রহী হলে বইগুলোর ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন!




সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, মার্চ ২০২৩

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৫৬
২৩টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৬



ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে

একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×