**দেখবো দেখবো করে কাল দেখেই ফেললাম।**
পারমানবিক ধ্বংসযজ্ঞে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া পৃথিবীর বুক চিরে ছুটে চলেছে এক মুসাফির । গন্তব্য তাঁর পশ্চিমে । যে পৃথিবীতে সভ্যতা ধ্বংস হয়ে গেছে,সেই পৃথিবীতে প্রাণে বেঁচে যাওয়া মানুষগুলো প্রাণ বাঁচিয়ে রাখতে গড়ে তুলেছে লুটের রাজত্ব । চারপাশে লুটেরাদের হিংস্র থাবাকে সমান্তরালে রেখে মুসাফির তাঁর গন্তব্যে যাচ্ছেন এক অতীব গুরুত্বপুর্ণ বই সাথে করে,যেটা পৌঁছে দিতে হবে যোগ্য ব্যক্তির হাতে । মুসাফির তাঁর গন্তব্যের শেষ আসলে কোথায় জানে না । তাঁর ভেতর কোন দৈবশক্তি যেন তাঁকে পশ্চিমে যেতে বলছে । তাঁর মুখ থেকে শোনা সে আদেশের কথা-
“One day,I heard a voice. The voice told me to carry the book out West. Told me I’d be protected against anyone or any thing that stood in my path.”
Hughes brothers পরিচালিত “The Book of Eli” এমনই এক মুসাফিরের কাহিনী । মুভিটি যেদিন দেখার সুযোগ হয় সেদিন পুরোটা দেখে বোধ হল, এই মুভিটি আলোচনার দাবি রাখে । ইদানিং আমাদের দেশে ধর্ম নিয়ে আলাপ আলোচনা তুঙ্গে । নিজেদের সুশীল,সচেতন এবং সমাজের বিজ্ঞ বুদ্ধিজীবী দাবী করা অংশটি ধর্মীয় রীতি নীতি বাস্তব জীবনে চর্চাকারী অংশের যে কোন তৎপরতাকে মৌলবাদ,জঙ্গীবাদ এবং সহিংস সন্ত্রাসের উত্থান হিসেবে দেখতে পাচ্ছেন । আমাদের বাঙ্গালী সংস্কৃতি,বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এবং প্রতিষ্ঠিত সভ্যতার ধ্বংস দেখতে পাচ্ছেন তারা প্রতিনিয়ত । দেশে যেহেতু মুসলমানের আধিক্য বেশী, তাই তারা বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে পাকিস্তান,আফগানিস্তানের প্রতিরুপ বাংলাস্তান হওয়ার আশংকাও করছেন । এসব ব্যাপারে এইজন্য আলোচনা করছি যে,ধর্মকে সন্ত্রাসবাদের স্রষ্টা এবং মুক্তচিন্তা, মুক্ত বুদ্ধিচর্চার অন্তরায় হিসেবে দেখা হচ্ছে বহুবছর ধরে । আর “The Book of Eli”-তে এই দৃষ্টিভঙ্গির জবাব দেওয়া হয়েছে ।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫