যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তি প্রেমী মানুষ নিজের তাজা রক্ত দিয়েছিল দেশের জন্য, স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরে এসেও তাদের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। এখন ও মা-বোন স্বাধীন ভাবে পথ চলতে পারে না। নির্যাতন, হ্ত্যা, ধর্ষন এর মতো জঘন্য কাজগুলো এখন ও হয় প্রতিনিয়ত । যা এক সময় ১৯৭১ সালে হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস যে আজ ২০১৬ সালে এসেও আমাদের তা দেখতে হচ্ছে। তাহলে ১৯৭১ আর ২০১৬ এর মধ্যে আর তফাত থাকল কোথায়?
তখন যা হয়েছিল তা না হয় পাক বাহিনী করেছিল বলে মনকে বুঝ দেওয়া যায়। আজ তো বাংলার মাটিতে পাক বাহিনী নেই। কেন আজ নিজ মাতৃভুমিতে প্রতিনিয়ত এত নির্যাতন, নিষ্পেষন, যা মেনে নেওয়া যায় না। এমন স্বাধীনতা তো আমরা চাই নি? যেখানে হত্যা, ধষর্ন, খুন হয় প্রতিনিয়ত...
প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে প্রিয়জনদের চোখের পানি শুকিয়ে যায় বিচারের আশায় আশায়। প্রকৃত অপরাধীর বিচার হয় না। বিচারের জন্য মানব-বন্ধন, র্যালী, সভা-সমাবেশ করতে হয় বারে বারে। আইনের কাছে অপরাধের চেয়ে ক্ষমতা, রাজনৈতিক পরিচয় মুখ্য হয়ে উঠে। অপরাধী বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করে রাজনৈতিক আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে । ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি সর্বদা ভয়ে ঘরের মাঝে বন্ধী হয়ে থাকতে হয়।
মুখে মুখে নারীর ক্ষমতায়ন বলে চিৎকার সভা-সমাবেশ করি। বাস্তবে তার উল্টা চিত্র দেখি। নারী চলাফেরার নূন্যতম নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। আজ নারী কোথাও নিরাপদ নয়। ঘরে-বাহিরে, এমনকি সেনাবাহিনীর মতো সর্বোচ্চ সংরক্ষিত নিরাপদ এলাকার মধ্যে ও না। আমাদের নৈতিকতা, মূল্যবোধ কত কত নিচে নেমে গেছে। ভাবতে অবাক লাগে সরকার, বিরোধী দল, মাননীয় স্পিকার সহ আরো বড় বড় জায়গায় নারী আজ স্বমহিমায় অধিষ্ঠিত এর পরেও ধর্ষণ খুনের মতো জঘন্য অপরাধীর বিচারের জন্য, প্রকৃত অপরাধী ধরার জন্য প্রশাসনকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হয়......
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫