somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লালরঙের নীলকুঠি

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





সেদিন দুপুরে বৃষ্টি পড়ছিল খুব। চারিদিক ঘন কালো মেঘে আচ্ছন্ন। এই ঘোর দুর্যোগেও দুটো সাদা-কালো দেহ-- হাতে হাত-চোখে চোখ। দুজনে সাঁতরে পার হবে ইছামতি। নদী পেরোলেই ওপারে ঘন জঙ্গল। পারমাদন ফরেস্ট। বিষাক্ত সাপ, হরিণ, পাইথন, চিতাবাঘ, ছোট হায়না, শেয়াল, বুনো মুরগি'র পায়ে-পায়ে চলাচল। ছেলেটির নাম সিজান। বাবা- স্বল্প অত্যাচারী-নীলকর সাহেব --ষ্টিফেন এডিনো। টিঁকালো নাক, হালকা নীল রঙের চোখ, সাদা চামড়া, হালকা বাদামি চুলের মোহময় চেহারা। মেয়েটির নাম মামড়ী। মামড়ী ওরাং। জাতিতে সাঁওতাল। ওর বাবা সাঁওতালদের নেতা,-বিশু সর্দার। কিছু না বুঝেও একডাকে হাজার সসস্ত্র সাঁওতাল জড়ো করা মুহূর্তেই সম্ভব। মেয়েটির ঘাড় অব্দি কোকড়া কোকড়া ঘন চুল। সহজে জল ছোঁয় না মাথার চাঁদি । যৌবনের বাঁধ না মানা টানটান চেহারা। কাঁচবাদামী রঙের উজ্জ্বল চোখ। নাক শুরু হয়েছে দুই ভুরুর ঠিক মাঝখান থেকে। টিকালো । কুচকুচে কালো সরু ভুরু। পাতলা ঠোঁট। ঠিক সাঁওতালদের মেয়ের মতো নয়। কালচে বাদামী চামড়ায় তেলচোঁয়ানো উচ্ছল যৌবনবতী। হাসলে,- বাগানের গাছগুলোতে আরো বেশি ফুল ফোটে। নদীর জল আরো শব্দ করে বয়ে চলে। মাটিতে নুপুরের রুম ঝুম ঝুম ধ্বনি চলতে থাকে অবিরাম। মাঝে মাঝে ওর চঞ্চলতায় বাতাস শন শন শব্দ করতেও যায় ভুলে। ওপারে নদীর কাছে জল খেতে আসা হরিণগুলো ওর হাতের আদর পেতে চায় একান্তে । পরম মমতায় চুলকে নেয় পিঠ-তলপেট। মামরী এক ডুবে দুরন্ত ইছামতী পার হতে পারে। গাছে উঠে পেড়ে আনতে পারে রসালো চালতে। নিজের হাতে বৈঠা বেয়ে নৌকা চালাতে পারে অনায়াসে। অনেক পালিয়ে আসা রাতে ও আর সিজান ,--মাঝরাত্তিরে নৌকা বেয়েছে পূর্ণিমার আলোয়। সিজানের মায়ালু চোখে কতবার নিজের মরণ দেখেছে মামরী। প্রাণের সইয়েরা কতবার বারণ করেছে,- এ মরণপ্রেম খেলায় না মাতার জন্য। ও, কথা শোনেনি কারো। ওর বাবা বিশু সর্দার নীলকর সাহেবদের প্রধান শত্রু। গোলার মতো চোখ । এক মোচড়ে ষাড়ের ঘাড় ভেঙে দিতে পারে। তীরের ফলায় মাটিতে দাঁড়িয়ে, গাছের সবচেয়ে উপরের কাঁঠাল পেড়ে আনতে পারে। একগুয়ে লড়াকু। মান বাঁচাতে জান দিতেও প্রস্তুত।

সেদিন দুপুরে মামরী আর সিজান, নদী সাঁতরে ওপারের বড় পাকুড় গাছের তলে সবে দাঁড়িয়েছে। ব্লাউজ-হীন শ্যামলা বেতের মত চেহারাটা কাঁপছে তিরতির করে। সিজানের বাদামী চুল বেয়ে নামছে- চুনী। চোখ বেয়ে-নীলা। বেহিসেবী হাওয়া আর ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি ভিজিয়ে দিচ্ছে দুটি টাটকা তনুমন। দূরে,-সন্ধ্যাশেয়াল ডাকছে নিয়ম করে। হঠাৎ পিঠের পেছনে কিসের কামড়! রক্ত ছুটছে ফিনকি দিয়ে। এরপরেই কানের পাশে তারপর বুকে তারপর মাথার ঠিক পেছনে একের পর এক বিষাক্ত তির মৌমাছির মত ঘিরে ধরতে থাকে। তলপেটের তিরটা প্রাণপণে বের করতে চায় সিজান। রক্ত ,--একি রক্ত !! বিকেলের হালকা আলোয় গোধূলির স্বর্ণরাগে এতো লাল, আগে কখনো দেখেনি মামরী। শরীর অবশ হয়ে আসতে চায়। মামরী,- দুহাতে ভেজা কালো শরীরে জাপটে ধরে সাদা চামড়ার সিজানকে। ঘিয়ে রঙা লাল পেড়ে শাড়ি নিমেষে লাল ছোপে ভরে যায় এদিক্ সেদিক্। অবাক অসহায় দুচোখে শেষবারের মত পরম আবেশে তাকিয়ে থাকে সিজান নীল দুই চোখ মেলে । শেষবারের মতো জাপটে ধরতে চায় আষ্টেপৃষ্টে। তারপরেই জ্ঞান হারায় -তারপর প্রাণ। চিল চিৎকারে কাঁদতে থাকে মামরী। এ তার কেমন সর্বনাশ হল ! কেন হল এমন নিষ্ঠুর ছন্দপতন! এরই মধ্যে তুমুল বৃষ্টি সব লাল ধুয়ে দিতে চায়। ধুয়ে দিতে চায় সব পাপ। প্রকৃতিও অঝোরে কাঁদতে চায় দুই নিষ্পাপ প্রেমিকের সাথে। তারপরেই ছ-সাত জন কালো চেহারার সর্দার যুবক মামরীর হাত ধরে টানতে টানতে তাকে নৌকায় তোলে। ওপারে কুকরি হাতে দাঁড়িয়ে বিশু সর্দার। নৌকাতেই জ্ঞান হারায় মামরী। ওপারে অঝোর বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে সিজানের নিথর দেহ। এপারে ভিজে নদীপাড় বেয়ে টেনেহেচড়ে মামরী কে নিয়ে আসা হয় ওর নিজের বাড়িতে। এরপর থেকেই ওর দুচোখ বেয়ে শুধুই শূন্যতা। সারা জীবনের জন্য কথা হারিয়েছে সে। ফ্যালফেলে চোখ চেয়ে তাকিয়ে থাকে। শূন্য হাতরায় মাঝে মাঝে নিষ্ঠুরতার নিষ্ফল হতাশে। বুক বেয়ে নামে বোবা কান্না। অজানা মন বেয়ে ইছামতীর পার বরাবর ছুটতে থাকে মামরী-সিজান---অজানা দেশে যাবে বলে! সেখানে ঘর বাঁধবে দুজনে! যেখানে সাদা কালো চামড়ার কোনো বিভেদ থাকবে না। খ্রিস্টান ইংরেজ এবং হিন্দু সাঁওতাল জড়াজড়ি করে সংসার পাতবে, শুধু ভালোবাসাকে জেতাতে।

এ পর্যন্ত দেখেই গলা শুকিয়ে ধরফর করে উঠে বসেছিলাম সে রাতে। বাইরে দীপাবলির আগে অকাল বৃষ্টি। ভোর হচ্ছে সবে। সবাই যে বলে ভোরের স্বপ্ন সত্যি কথা বলে,----
তবে কী এ গল্প আমার জীবনের! নাকি দুটো জীবনকে মনমুঠোয় একান্তে ধরেছি তাই !
কদিন আগেই নির্বোধ কালো মানুষেদের দ্বারা নিগৃহীত হয়েছি পূর্ব পরিকল্পনায়। জীবনের অঙ্কের নির্ভুল প্রতিচ্ছবি! অবোধ্য অবাক সমাপতন। ঘেমে যাচ্ছি-শরতের বৃষ্টির শীতলতার মাঝেও।
কদিন আগেই বনগাঁ'র অদূরে নাটাবেড়িয়ার কাছে মঙ্গলগঞ্জের ঐতিহাসিক 'নীল কুঠি' দেখতে গেছিলাম। সন্ধের মুখে, ঐ জরাজীর্ণ দোতলা পুরোনো বাড়িটি আমায় পেছন থেকে ডেকেছে অনেকবার। বড়বড় খিলানগুলো আদর করতে চেয়েছে। পাতালের গুম ঘরের চাঁপা আর্তনাদ কান্না হয়ে ফিরেছে গোপনে। একতলা- দোতলার লোহার রেলপাতির আঁড়কাঠি,--মুচকী হেসেছে । দোতলার ভাঙা করিডর মুখ ঘুরিয়ে থেকেছে ,-জড়াজড়ি করে থাকা শাল-পিয়ালের আগাছায় জর্জরিত সবুজ সমারোহে। আলো-আঁধারিতে কথা হয়নি ভালো করে ! ছোঁয়া হয়নি অন্তরঙ্গতায়। নোনা ধরা পিলারগুলো কে জড়িয়ে ধরে বলা হয়নি এতদিন আসিনি কেন! কোন্ অভিমানে! বিনা কারণে নদীপাড়ে গিয়ে ওপাড়ের ঘন জঙ্গলে তাকিয়ে থেকেছি অনেকক্ষণ। ঘাটে তখন একটাও নৌকা ছিলো না অপেক্ষায়। বাতাস বয়নি শব্দ করে আগের মতো। স্মৃতির বন্ধ কুঠুরী আগল খুলেছে একটু একটু করে। মনকেমনের ঘুর্ণিঝড় গুমরে উঠেছে আপন খেয়ালে। এপারে নাটাবেড়িয়ার মঙ্গলগঞ্জ---ওপারে পারমাদনের ঘন তারঘেরা জঙ্গল। মাঝে জীবন্ত শোক ,বুকে বয়ে চলা সন্ধ্যাকালো ইছামতি।
সাথে হানিফ নামের এক উচ্ছল যুবক সেই স্বল্পসময়ে শুনিয়েছে সুজান-মামরী'র জীবন্ত লোককথা। উদাস ঝাঁপসা চোখে মামরির কাঁধঝাঁপানো কোঁকড়ানো ঘন চুলে বিলি কেটে দিয়েছি পরম আদরে। নীরব ছায়াশরীরে শান্ত ঘোড়ায় চেঁপে, ধীর পায়ে হেঁটে গেছি নদীপাড়ের সবুজ তীরপথ ধরে। বৈকালিক ভ্রমনে--দুজনে --অনেকদুর---

সে,--আদুরীমনে বলেছে,-আমাকে ছেড়েই কুথাক যাবি না তু---কুথাক দে-। --তুর বাপঠো, নীলকর সাহেব।---পাট-ধান ছেড়ে নীলি চাষে লাগায় মুদেরকে---জোর করে। চাবুক চালায়। বন্দুকের ভয় দিখায়। তবু তুকে আমি ই-ই-ইত্তো ভালোবাসি। সি কালের কালা কিসনো,- রাধা'র সাদ্দা রূপে হিংসা করি , এ জীবনে, তোরে ধলা,-- আর আমারে কালা করি পাঠাইছে । তোর জন্যই ভুগোবান আমায় আনছেক্ রে--সুজন---- এই পিত্থিবিতে। কুতো কষ্টক দেয় উরা- --নীলি চাষে জমি বাজা হইয়ে যায়--উরা বূঝেক লাই ।---এ চাষ আর বেশিদিন চইলবেক লাই---- আমরা যেদিন সবি স্বাদীন হোবো--সেদিন তুইও মোদের সাথে এক্কিসাথে স্বাদীন হবি রে--সুজন সখা-----
আমাগো বাপঠো,----অবুঝ সান্তাল সমাজ সব্বাই মোদের মিনে লিবেক-রে---
আচ্ছা , সিদিন তুই যদি আমাক্ ছেড়ে তুদের দেশ----ঐ কালাপানি পারের ইঙ্গল্যান্ডে চইলে যাস্ ----তখুন এই টাঙ্গি, তুর বুক চিরবেক---মুনে রাখিস্-!- আর, আমার চিইরবেক--এই কালা কপাল---
রাগ কইরলি রে--সুনাপাখি---!!! দেকো, মুকে কুনো কথা নাই--এক্কেবারে বুবা বানি গেলি--!!বুলছি--আর বুলবোনি---
তুই তো ইদেশেই জন্মেছিস্---
ইঙ্গল্যান্ড, তুর বাপের দেশ---তুর দেশ নয় রে-- সুনাপাখি----
এ দেশ তুর আমার--এদেশ আমাদের---আমাদের সন্তানের---আমাদের পিরানের---বড় সাধের ইদেশ ।আমরা ইদেশে জন্মাইছি---ইদেশেই মরতে চাই রে-----
আবার ফিরে ফিরে আসতে চাই--
এই কাদামাটির গিরামে--নদীতে--জঙ্গলে----

আরে, তখুন থিক্যে হাঁ করে দেখছিস্ কী! জড়াই ধর ভালো করে---তোর ঐ সাদ্দা চামড়ার ফাঁক দিয়া--পাঁক্কাল্ মছলির মতো যেন কক্খুনো পিছলাইয়া না যাই রে ---সুনাপাখি-----ধরি থাক্ সপাটে---জো-ও-ও-রে চিইপা দম আটকাই দে এক্কেবারে------ -----সুনাপাখি----ছাড়িস্ না কক্খুনো-----লেপটে থাক্ জীবনভোর-------

সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৪
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×