মুক্তিযুদ্ধের মিত্রদেশ রাশিয়ার জন্য কষ্ট হচ্ছে। তারা এখন ভেতরে-বাইরে দুমুখী যুদ্ধে লিপ্ত। এতদিন তারা লড়াই করেছে শুধু ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তথা যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ ও মিত্র ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর বিরুদ্ধে। এখন তাদের ভাড়াটে যোদ্ধাদের দল ওয়াগনার গ্রুপও তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে! দুমুখী এই যুদ্ধে রাশিয়া কি সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো আরও কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে, নাকি অক্ষত থেকে বিশ্বের সেরা পরাশক্তি হয়ে উঠবে? আপনার কী মনে হয়?
রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করা এই ভাড়াটে যোদ্ধারা কেউ রাশিয়ার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য, কেউ অন্য দেশের সেনা সদস্য, কেউ আবার রাশিয়ার কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। এদেরকে কি প্রেসিডেন্ট পুতিন দমন করতে পারবেন এখন?
এদিকে, ভারতের যে প্রধানমন্ত্রী একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকাভুক্ত ছিলেন, অর্থাৎ আমেরিকাগামী যেকোনো যানবাহনে যাকে ওঠানো বারণ ছিলো, সেই রাজনীতিক বর্তমান পিএম নরেন্দ্র মোদীকে স্মরণকালের সেরা অভ্যর্থনা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা খুব কম রাষ্ট্রপ্রধানই পেয়ে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্র যে রাশিয়ার টেলের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সে রাশিয়ার তেল সস্তায় কিনে বেশী দামে বিক্রি করে ব্যাপক লাভবান হওয়া ভারতকে যুক্তরাষ্ট্র সাদর সম্ভাষণ জানাচ্ছে, অনেকের মতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভারতের কথাই নাকি আমেরিকার শেষ কথা, আবার অনেকে ওয়াগনারের এই 'বিদ্রোহ'-কে পশ্চিমা ষড়যন্ত্র হিসেবেও দেখছে। এই যখন অবস্থা, তখন বৈশ্বিক পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেবে? তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি ঠেকিয়ে দেওয়া গেলো রাশিয়ার ভেতরেই বিদ্রোহী তৈরি করে?
মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সমর্থন ও প্রত্যক্ষ সহায়তা দানকারী বন্ধুরাষ্ট্র ভারত ও রাশিয়ার মানুষের ভাগ্যে ভালো কিছু ঘটুক, আপাতত এই কামনা করে খবরের দিকে চোখ রাখা ছাড়া উপায় দেখছি না। খেলা জমে উঠেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:১৯