
নিষিদ্ধ নয়, রাজনৈতিক কার্যক্রম আপাতত স্থগিত হওয়া আওয়ামী লীগ ১১ মাস পর রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন করলো গতকালের ঘটনার মধ্য দিয়ে, পুণ্যভূমি ফরিদপুরের গোপালগঞ্জ মহকুমা থেকে।
একই সাথে তারা নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করলো। বুঝিয়ে দিলো, তারাও এখনও একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল এবং দেশব্যাপী তাদেরও অনেক ভোটার আছে।
শুধু কি তাই? তারা এটাও খুব স্পষ্টভাবেই বুঝিয়ে দিলো যে তাদের মহান নেতা শেখ মুজিব সম্পর্কে বাজেকথা বললে, উস্কানিমূলক শ্লোগান দিলে তারা ঘরে বসে থাকে না, এই দুর্দিনেও। এমনকি দলের জন্য নিজেদের জীবন দিয়েও তারা সমর্থনের প্রমাণ দিয়ে গেছে।
সুতরাং, এটা খুব ক্লিয়ার একটা ম্যাসেজ দিলো সবার কাছে যে, আওয়ামী লীগকে ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
বল এখন বিএনপির কোর্টে। যতই নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিক, সাম্প্রতিক সময়ে তাদের সম্পর্কে নতুনদের 'সরকারি দল'টি ভালো মন্তব্য তো কিছু করেনি! কে জানে, বিএনপির ঘাঁটি ফরিদপুর থেকে আবার হেলিকপ্টারযোগে পালাতে হয় কিনা!
ফরিদপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার দুটি পথই পদ্মা হয়ে, স্থলপথ আটকে দেওয়া খুবই সহজ। আটকে দিলে একমাত্র হেলিকপ্টারই ভরসা। আজ যদি বেসরকারি হেলিকপ্টার দিতে না চাওয়ার গুজবটি সত্যি হয়ে থাকে, তবে কাল সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের বিকল্প নাও থাকতে পারে!
এটা এখন বিএনপিও বুঝতে পারার কথা যে, যারা মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করে চব্বিশকে বড় করে দেখায়, তারা শুক্রবার টুঙ্গিপাড়ার গ্রামে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধি ভাঙতে পারলে দুদিন পর ঢাকার প্রাণকেন্দ্র সংসদ ভবনের পাশেই মহাগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মহান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক প্রেসিডেন্ট মেজর জিয়াউর রহমানের সমাধিও ভেঙে গুড়িয়ে দিতেই পারে। ইতিমধ্যেই অনলাইনে এমন দাবি চাউর হয়েছে।
তাই, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছাড়া 'জাতীয় নেতা'দের আপাতত ওখানে না যাওয়াই ভালো।
দেব দুলাল গুহ -- দেবু ফরিদী
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




