
ট্রাম্প এবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই বলেছিলাম, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করবেন। তবে তা হবে রাশিয়ার ফেভারে। দেখুন তাই হচ্ছে। ইউক্রেনের যে বিশাল ভূমি রাশিয়া দখলে নিয়েছে, তা রাশিয়ারই থাকবে অথচ ইউক্রেনকে ছেড়ে দিতে হবে ক্রিমিয়া। যে ন্যাটোতে যোগ দেওয়া নিয়ে এত বড় যুদ্ধ, সেটাও হচ্ছে না। অর্থাৎ ইউক্রেনের আম-ছালা দুইই গেলো।
.
ডিপ স্টেট পরিচালিত ও আমেরিকার বাইডেন সরকার নির্দেশিত পথে এগিয়ে প্রতিবেশী পরাশক্তি রাশিয়ার 'অনুরোধ' উপেক্ষা করে ন্যাটোর সদস্য হতে গিয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে আজ ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় ভিলেইন হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তাঁকে এখন আরও বেশি মানুষ জোকার বলবে।
.
এতোদিন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অনেক অর্থ-অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইউরোপের মিত্র দেশগুলো। সামনে লড়ছিলো ইউক্রেন, কিন্তু আসলে সে ছিলো পশ্চিমাদের প্রক্সি। ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য বানানো গেলে রাশিয়ার মতো বড় সমাজতান্ত্রিক দেশেও পশ্চিমা পুঁজিবাদী ব্যবস্থা চাপানোর চেষ্টা হতো। একজন পুতিন সেটা পারফেক্টলি রুখে দিলেন।
.
বলেছিলাম ট্রাম্প সরকার এই প্রক্সি যুদ্ধের খরচে লাগাম টেনে ধরবে। তাই হতে যাচ্ছে। যুদ্ধের রসদ জোগানো বন্ধ হলে ইউক্রেন এমনতেই যুদ্ধ থামাতে বাধ্য হবে। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার খায়েশও মিটে যাচ্ছে। বিশ্বাস নাহলে আমার টাইমলাইনের লেখা ঘেঁটে মিলিয়ে নিন।
.
এজন্যই জ্ঞানী ও বিচক্ষণরা অন্যের উস্কানিতে যুদ্ধে জড়ায় না।
Please like: দেব দুলাল গুহ'র নিপুণ কথন (Facebook page)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



