গল্প লিখার অপচেষ্টা মাত্র
এক
-ঐ যে তোর মাল আসছে।
-হুহ! ওর কথা বলিসনা তো ভাল্লাগে না। ও একটা প্যারা। যতক্ষন থাকে ততক্ষন মাথায় মোচড় দিতে থাকে।
-ও ভালো লাগবে কেন? সে তো আর তোদের মত চাঁপাবাজ না।
-ফালতু কথা রাখ আমি গেলাম।
-গেলাম মানে?
-গেলাম।
-কৈ গেলাম?
-জাহান্নামে। খুশি? বলেই সৈকত চলে গেল।
কী অবস্থা কেমন আছিস?? পেছন থেকে এসে বলল বিন্দু।
-হুম ভালো। তুই?
একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে বলল! এই তো চলে যাচ্ছে। আজ আর দেরি করব না থাক চলে গেলাম। বলেই বিদায় নিল বিন্দু। সে যে আজকেই তাড়াতাড়ি চলে গেল তেমন কিন্তু না। ভাব কিছুটা অহংকারি টাইপের। তবে আদৌ অহংকারি কী না তা আমাদের কারোরই জানা ছিল না।
বিন্দু চলে যাবার পর আমারও একটা দীর্ঘ নিশ্বাস কোথা থেকে যে চলে আসলো সেটা বুঝতেই পারলাম না। কী এক আজিব মেয়ে! অনার্স ৪র্থ বর্ষে পড়ার পরও আবেগের চরম শিখরে বাস করে তার ভালোবাসা। বোকা মেয়েটা আজো বুঝল না যে এ বয়সে এসে একই বয়সের ছেলের সাথে সম্পর্ক হয় না। একই বয়সের দুটো ছেলে মেয়ের সম্পর্কের বয়স তো হল ইন্টার মিডিয়েটের সময় অথবা অনার্স ১ম বর্ষে কিন্তু এখন না। অথচ শীতকালে জলে নেমে বৃষ্টির পার্থনায় নিজেকে মশগুল করে রাখার মত পাগলামি করছে।
দুই[/sb
একদিন সৈকত আমাকে কল করে বলল আমি যেন তাড়াতাড়ি টুকিটাকিতে চলে আসি। কথা মত আমি যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি চলে আসলাম। এসে দেখলাম সৈকত বিষণ্য মনে বসে আছে।
-কিরে কী হইছে?
-না তেমন কিছুনা।
-তেমন কিছু না! তাহলে কেমন কী সেটা বল। আর কথার সাথে তো চোখের ভাষা মিলছেনা। যায়হোক ভাব না দেখিয়ে কি হয়েছে তা খুলে বল।
ইতির অ্যাবরসন করা লাগবে, ৫হাজার টাকা দরকার। কিন্তু এত টাকা কোথায় পাব সেটা বুঝতে পারছিনা। সৈকত কথা শেষ না করতেই তন্ময় পেছন থেকে কথাগুলো শুনে বলল- ও কাজ করার সময় মনে ছিলনা, তাইনা? কিন্তু এখন! তখন তো খুব বলেছিলি যে, ও মাম্মা সেই সাইজ! একটা হিজড়াও যদি দেখে তবে তারও কামভাব এসে হাজির হয়ে যাবে আর এখন কিনা অ্যাবরসন? বাহ ভালো তো। যায়হোক এতো দুশ্চিন্তা করার কী আছে? তোর মালারণ্য মালের তো আর টাকার অভাব নেই, তাকে বল সেই তোকে টাকার ব্যাবস্থা করে দিবে। মালারণ্য কথাটা এসেছে বনারণ্য থেকে। অনেকগুলো বনকে যেমন বনারণ্য বলা হয় তেমনি অনেক টাকা ওয়ালাকে তন্ময় মালারণ্য বলে। তার যুক্তি কতখানি সঠিক তা আমার জানা ছিল না।
তন্ময়ের কথা শুনে সৈকতের মুখেও যেন দুশ্চিন্তার অবসান ঘটা হাসি দেখা গেল। সৈকত হাতে ফোন নিতেই আমি নিষেধ করে বললাম যে- আমি টাকা দিচ্ছি। বিন্দুর কাছে নেয়ার দরকার নেয়। কিন্তু কে শুনে কার কথা। উলটো আমকে বলল- তোর কাছে টাকা নিলে ফেরত দিতে হবে কিন্তু বিন্দুর কাছে নিলে এককালিন হয়ে যাবে। আর যদি তোর খুব মায়া লাগে তাহলে দে, তুই দে এককালীন। সৈকতের কথা শুনে আমি আর কিছু বলার ভাষা খুঁজে পেলাম না।
যেমন কথা তেমনি কাজ। ফোন হাতে নিয়ে বিন্দুকে কল করে বলল- আমার ৫হাজার টাকা দরকার। আমি টুকিটাকিতে বসে আছি তুই তাড়াতাড়ি টাকা নিয়ে চলে আই। আর টাকা দিয়ে কী করব সেটা সামনে আসলে বলব। কথা কয়টা বলেই কল কাটল সৈকত। আধা ঘন্টা পর বিন্দু এসে বলল- এত টাকা দিয়ে কী করবি?
-তুই তো জানিস যে ইতির সাথে আমার সম্পর্ক আছে। আর এখনকার সম্পর্ক মানে তো বুঝিস, সেটা বলার আর দরকার নেই। সৈকতের কথার মাঝেই তন্ময় বলল- বুঝিসনা! এখনকার প্রেম মানেইতো বধ্যভুমিতে, চারুকলাতে কপোত-কপোতিনি সেজে বসে থাকা, সাথে তো লিটনের ফ্লাট ফ্রী আছেই। থামবি? আচ্ছা থামলাম বাবা থামলাম। ইতির একটা ছোট অপারেসন করা লাগবে। ভাবলাম তুই থাকতে আর কার কাছে টাকা চাইবো তাই তো তোকেই টাকার কথা বললাম।
-হুম বুঝলাম কিন্তু এত টাকা আমি এখন কোথায় পাব?
-এই তোর ভালোবাসা? এ ভালোবাসা নিয়ে তুই…………হুহ!
-রাগ করছিস কেন? রাগ করিস না আমি কাল তোকে টাকা দিয়ে দিব।
-আচ্ছা ঠিক আছে। কথাটা যেন মনে থাকে।
মনে থাকবে। বলে চলে গেল বিন্দু।
বিন্দু চলে যাওয়ার কিছুক্ষন পর সৈকতও চলে গেল। তাদের চলে যাবার পর তন্ময় বলল- সালা মানুষ কত খারাপ হতে পারে তা দেখেছিস??
-তুই বা কিসে কম?
-আরে আমি তো মজা করে বলেছিলাম কিন্তু সে যে সত্যি নিয়ে নিবে তা তো কল্পনাই করিনি।
-একজনের সাথে আকাম কুকাম করে এসে আরেকজনের কাছ থেকে টাকা নেয় অপারেসন করার জন্য। কত মজার দৃশ্য ভাবতেই ভালো লাগছে! ছি!
-তবে যায় বল এরকম একটা মালারণ্য মাল থাকা সবারই দরকার।
-তোরা সবাই এক। থাক চলে গেলাম।
রুমে যাচ্ছিলাম প্যারিস রোড হয়ে। হাঁটতে হাঁটতে গাছের ফাঁক দিয়ে আকাশের দিকে চোখ পড়তেই অবাক দৃষ্টি নিয়ে সাদা মেঘের ভেলাকে ক্ষনিকের মাঝেই ভালোবেসে হারিয়ে যেতে মন চাইলো দূর অজানায়। সাদা মেঘের ছুটাছুটি দেখে ভালোলাগা ক্ষনে, হঠাৎ মনে হলো কীভাবে সম্ভব এতটা ভালোবাসা! বিন্দু কি পৃথীবির মানুষ নাকি অন্য কোন গ্রহের মানুষ? তাহলে কোন গ্রহের? কোথায় তার বাস? হৃদয় কত বড়? সে হৃদয়ে কত ভালোবাসা জমা আছে? এই হাজারও প্রশ্নের ভিড়ে একটিও উত্তর পেলাম না। উত্তরগুলো পাওয়া খুব দরকার ছিল কিন্তু পেলাম না।
তিন
মাঝে মাঝে ইচ্ছা করেই ফোন বন্ধ রাখি, কেন জানি ভাল লাগে। আজো ফোন বন্ধ রেখে একা একা হাঁটতে হাঁটতে বধ্য ভুমির দিকে যেতেই দেখলাম বিন্দু আর সৈকত বসে আছে। তাদের বসে থাকতে দেখে একটু অবাকই হলাম আবার ভালোও লাগলো যে যাক হয়তো সৈকতের সুবুদ্ধির উদয় হয়েছে। তবুও মনে খটকা লাগল যে কাহিনি কী। তবে মনকে সান্তনা দিলাম যায়হোক জানতে পারব বলে চলে গেলাম। কিছুক্ষন পর যখন ফিরে আসি তখন তাদের দেখতে না পেয়ে একটু ঝোপ ঝাড়ের দিকে এগিয়ে যেতেই তাদের দেখা পাওয়া গেলো ঠিক কামুক কবুতরের মত।
অস্থিরতা নিয়ে অনেক ভেবে সন্ধার দিকে সৈকতকে কল করলাম কিন্তু ফোন বন্ধ। রাত ১০টার দিকে সৈকত কল করে আমার এখানে আসতে চাইলো। কিছুক্ষন পর আমার রুমে আসতেই জিজ্ঞাসা করলাম- কিরে তোর ফোন বন্ধ ছিল কেন?
-আর বলিস না। বিন্দু কার কাছে যেন শুনেছে যে আমার সাথে রুম ডেট করলে নাকি তাকে আমি ভালোবাসব। তাই আমাকে রুম ডেটের কথা বলেছিল। আমি প্রথমে রাজি হইনি কিন্তু তার পিড়াপিড়িতে আর না করতে পারিনি। কি করব বল একেতো ছেলে মানুষ তাতে দয়ার শরীর। এ অবস্থায় নারী দেহের ঘ্রাণ পেয়েও কেমন করে স্থীর থাকি? তাইতো তাকে নিয়ে হোটেলে গিয়েছিলাম।
-ভালো! খুব ভাল কাজ করেছিস। তোরা পারিসও বটে। তবে এটা মানতেই হবে যে, সত্যি তোদের দয়ার শরীর তাইতো পোষাক বদলানোর মত মেয়ে বদলিয়ে তাদের পেটে মাসে মাসে বাচ্চা উপহার দিস।
-থাক অনেক বলেছিস আর বলতে হবে না। সব দোষ আমার। আমি মহাভারত অশুদ্ধ করে ফেলেছি আর বাকিরা সব দুধে ধোয়া তুলসি পাতা। রাগে গরগর করতে করতে কথাগুলো বলেই সৈকত চলে গেল।
আরে মাম্মা, সালা সৈকত তো ঘটনা ঘটাই ফেলছে। জানিস নাকি কিছু? হঠাৎ ঘরে এসে বলল তন্ময়। না কিছু জানিনা। সালা এতদিন শুধু শুধু সৈকতকে খারাপ ভাবতাম কিন্তু এখন তো দেখছি বিন্দুই সবচেয়ে বড় খানকি। সৈকত বিন্দুকে বিয়ে করবে না যেনেও তাকেই সবকিছু উজাড় করে দিয়ে দিল। পারেও বটে। এই যা তো এইসব আজাইড়া প্যাচাল ভালো লাগেনা। বলে রুম থেকে বেরিয়ে ছাঁদে গেলাম চাঁদ দেখব বলে কিন্তু আকাশে যে চাঁদ নেই সে খেয়াল একটুও ছিল না। তাই তো নিরাশ হয়ে ফিরে আসলাম নিজ রুমে।
চার
ফাইনাল পরিক্ষা শেষ করে যে যার মত নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাই। রাজশাহী ছেড়ে আমি আর সৈকত ঢাকা চলে যাই। তাই সৈকতের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ থাকলেও বিন্দুর সাথে কোন যোগাযোগ ছিল না।একদিন সকালে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলাম আইবিএ তে ভর্তির জন্য খোঁজ নিতে, এমন সময় সৈকতের কল- কৈ আছিস রে? উত্তর দেওয়ার সময় না দিয়েই বলল যে, যেখানেই থাক তাড়াতাড়ি রুমে চলে আই। চট্রগ্রাম যাওয়া লাগবে। হাজার বার প্রশ্ন করার পরও বলল না কেন চট্রগ্রাম যাওয়া লাগবে। সব কিছু ছেড়ে তাড়াহুড়া করে রুমের পথে রওনা হলাম। তাড়াতাড়ি বললেই তো আর তাড়াতাড়ি যেতে পারবনা, এটা রাজশাহী না, ঢাকা। তাই জ্যামের কবলে পড়তেই হল। রুমে যেতে যেতে দুপুর ১টা। রুমে গিয়ে জানতে পারলাম যে, বিন্দুর বাবা মারা গেছে। ট্রেনে যাব বলে খাওয়া দাওয়া না করেই রওনা হলাম কমলাপুর রেল স্টেশনের দিকে। কাউন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গেল যে বিকাল তিনটায় সূবর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেন আছে কিন্তু সিট খালি নাই । সেটা জানার পরও ট্রেনেই রওনা হলাম।
চট্রগ্রামে পৌঁছার পরে ট্রেন থেকে নেমেই খাওয়া দাওয়া সারলাম। রওনা দিলাম বিন্দুর বাড়ির উদ্দেশ্যে। যদিও চট্রগ্রামে এর আগে আরেকবার এসেছিলাম কিন্তু তখন বিন্দু কে চিনতামই না। শুধু জানতাম বিন্দুর বাসা অক্সিজেনের মোড়ের আশে-পাশে। সে মোতাবেক সেখানে নেমে কল করলাম বিন্দু কে। কল রিসিভ করে পাঁচ মিনিট দাঁড়াতে বলল আমাদের। পাঁচ মিনিট পরে এক ছেলে এসে আমাদের নিয়ে গেল। কথা বলে জানতে পারলাম, এ ছেলেটি বিন্দুর চাচাতো ভাই। আরও জানতে পারলাম যে বিন্দুর বাবার দাফন কাফন অনেকক্ষন আগেই সম্পন্ন হয়ে গেছে।
বাসাই ঢুকতেই চোখ পড়ল নিথর নিস্তব্ধ নিশ্চুপ এক অন্য রকম বিন্দুর দিকে। যার চোখ ফ্যালফ্যালিয়ে চেয়ে রয়েছে বিস্তর কোন খোলা মাঠের দিকে যেখানে উদাস মনে কিছু একটা খুঁজে ব্যাকুল। হয়তো সে তার বাবা কে খুঁজতে খুঁজতে এতটাই ব্যাকুল হয়ে পড়েছে যে, আমরা যে তার ঘরের দুয়ারে এসেছি সেটা সে খেয়ালই করতে পারেনি। হঠাৎ আওয়াজ আসলো- এই সৈকত ভাইয়ারা এসেছে, তুই কি নিশ্চুপ দাঁড়িয়েই থাকবি নাকি ভাইয়াদের সাথে কথা বলবি?? বলেই সালাম দিল মিমি। মিমি বিন্দুর ছোট বোন। মিমির কথা শুনে বিন্দু এমন ভাবে চমকে উঠল যেন মনে হোল- ভয়ানক এক দুঃস্বপ্নের শেষ পরিণতি দেখার আগেই বাস্তবে ফিরে আসলো। এক পা দুপা করে বিন্দুর দিকে এগিয়ে গেলাম আমি। মাথায় হাত রাখতেই কান্নাগুলো রাগে-ক্ষোভে, দুঃখে চাপা গর্জনের বিস্ফোরন ঘটিয়ে ক্ষান্ত হোল। তাকে সান্তনা দেয়ার ভাষা আমার অভিধানে খুঁজে পেলাম না। চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে পড়তেই বলল কখন রওনা হয়েছিলি?? তিনটার ট্রেনে উত্তর দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম কিছু খেয়েছিস? কোন উত্তর আসেনি ।
পরিবেশের সাথে কেমন যেন খাপ খেয়ে আমরাও নিশ্চুপ! এমন সময় বিন্দুর মা আসলো দেখে উঠে দাড়ালাম। দাঁড়াতেই বললেন বসো বাবারা। কীভাবে কী হয়েছে জানতে চাওয়াতে তিনি বললেন- হার্ট এ্যাটাক করেছিল।
-হাসপাতালে নেওয়ার সময় পাননি?
না বলেই আহাজারির সুরে রাগ আর ক্ষোভগুলো গরগর করে বের হতে লাগলো। রাগ শুধুই বিন্দুর উপর। বাবা অবসরপ্রাপ্ত প্রাইমারির অধ্যক্ষ ছিলেন এবং পেনসনের টাকা যা ছিল তার সবই বিন্দুর পেছনে খরচ করেছেন। যখন যেটা চেয়েছে তখন সেটাই দিয়েছে। এক কথাই বলতে গেলে বিন্দু ছাড়া কিছুই বুঝতেন না তার বাবা।
আন্টির সাথে কথা বলে বিষয়গুলো জানতে পারলাম। কথাগুলো যখন বলছিলেন তখন কানে কেউ হাথুড়ি মারছে মনে হচ্ছিলো। কী অন্যায়টা না হয়েছে বিন্দুর সাথে! আমরা আর বসে থাকতে পারছিলাম না। মনে হচ্চিলো কেউ পাশে থেকে আগুনের তাপ দিচ্ছিলো তাই উঠতে চাইলাম। বিদায় নিয়ে চলে আসার জন্য বিন্দুকে খুঁজতে লাগলাম কিন্তু দেখতে পাচ্ছিলাম না। একটুপরে পাওয়া গেলো তার বাবার রুমে। ঘরের এককোণে। সে যে একা সেখানে বসে আছে চুপচাপ সেদিকে কারো খেয়ালই নেই। তাকে একা বসে থাকতে দেখে আন্টির বলা কথাগুলো আরো জোরে জোরে কানে বাজতে লাগল। আর স্থীর থাকতে পারলাম না। থাক বলেই আমরা বিদায় নিলাম। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় একবার আড় চোখে সৈকতের দিকে তাকালাম। সৈকতের চোখে পানি! তার মত কঠোর মনের একজন মানুষের চোখে পানি দেখে একটু অবাকই হলাম!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩০