জনৈক সুসান্ত পালকে নিয়ে গনমাধ্যম থেকে শুরু করে অনলাইন সরগরম। ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো সম্পর্কে কুরুচিপুর্ন মন্তব্য করায় তাকে নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। বর্তমানে তাকে চাকুরি থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে।তার সনদ বাতিলের দাবীও তোলা হয়েছে। এই ঘটনার শাস্তি ও প্রতিবাদের বহর দেখে এটাই মনে হতে পারে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি অত্যন্ত পাক পবিত্র জায়গা যেখানে কোন ধরনের আজেবাজে কাজের নাম নিশানাও নাই! সুশান্ত পাল কি লিখেছেন তার বিষদ পড়ে দেখা হয়নি, রুচিও হয়নি। এটা তার একান্তই ব্যক্তিগত অভিমত। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়াশনা করেছেন বা এখনও করছে তাদের খুব ভাল করেই জানার কথা কতটা পাক পবিত্র এই শিক্ষাঙ্গন! রাজনৈতিক ক্যাডার নিয়ন্ত্রিত ছাত্রহলগুলোতে যা হয় তা নিয়ে মুখ খুললে বোধহয় বহু ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি ঊঠবে। রুম পাওয়া সত্বেও সেই রুমের দখল পেতে নতুন ছাত্রদের যে কি পরিমান র্যগিং এর শিকার হতে হয় তা কেবল নতুন ছাত্ররাই জানে।
সন্ধার পর টিএসসি এলাকা যে কি এলাকায় পরিনত হয় তা যারা জানেন না দয়া করে একবার সেখানে ঢু মেরে দেখবেন। বর্ষবরনে যে এলাকায় নারীর বস্ত্রহরন হয়, সে এলাকার পরিবেশ নিয়ে গর্ব করার কিছু নাই। একজন সুসান্ত পালের চাকুরি খেয়ে , ছাত্রত্ব বাতিল করে হয়ত অনেকের মুখ বন্ধ করে দেয় সম্ভব। কিন্তু তাতে সত্য বদলে যাবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের মেধাবী ছাত্র ছাত্রিরাই পড়ার সুযোগ পায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি উন্নত করতে হলে আগে সেখানকার পরিবেশ নিয়ে সচেতন হতে হবে। কতৃপক্ষের কাছে হলগুলোতে ভাল পরিবেশ সুনিশ্চিত করার দাবী তুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যলয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে এটাই আমার চাওয়া যেন শুধু মুখে মুখে নয় আক্ষরিক অর্থেই যেন এই প্রতিষ্ঠান একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয় যা নিয়ে বিনা দ্বিধায় গর্ব করতে পারে এই দেশ।