somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অল্প কিছু কথা!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক ছোটবেলা থেকে একটা কথা শিখে এসেছি , এই পৃথিবীর অর্ধেক করিয়াছে নর, আর অর্ধেক করিয়াছে নারী, টাইপ কথা। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই ধারনা টা মনে হয় পরিবর্তন করতেই হবে। ছেলে আর মেয়ে নিয়ে যেভাবে যুদ্ধ চলে সোস্যাল মিডিয়াগুলতে, মনে হয় মানুষ হিসেবে আমরা যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছি।
আপনি যেই হোন না কেনো, ভাবেন তো একবার, আপনি দুনিয়াতে আসলেন কিভাবে? ডাক্তারি ভাষায়, আপনার বাবার শুক্রানূ আর আপনার মায়ের ডিম্বানু ছাড়া এই দুনিয়া দেখার মত সোভাগ্য কারো হতনা। আপনার মা আপনাকে ৯ মাস পেটে রেখেছে, কিন্তু আপনার বাবা দিন রাত খেটে আয় করে এনেছে। কাল আপনার জীবনেও এমন কিছু হবে। দুনিয়াতে সব মানুষ ভালো এইটা তো আমি বলছিনা, আবার সব মানুষ খারপ সেইটাও আমি বলছিনা।
দেখা যায়, কোন একটা চান্স পেলেই মেয়েরা ছেলেদের দোষ দেয়া শুরু করে। শুধু একজনের জন্য পুরা পুরুষ জাতিকে দোষ দেয়া ধুম পরে যায়। মেয়ে হলে একবার ভেবে দেখেন, আপনার বাবা, ভাই, স্বামী, বন্ধু, সবাই কি খারাপ? আবার দেখা যায় একজন মেয়ে খারাপ হলে সব মেয়ে জাতিকে দোষ দেয়া শুরু হয়। ভাই থামেন, সবাই এক না। হাতের পাচ আঙ্গুল যেমন সমান না, তেমন মানুষ সবাই সমান না।
জাতিগত দিক থেকে বাংলাদেশিরা যেই লেভেলের সঙ্কর, সেইটার জন্য মনে হয় এমন হয়েছে। এখন নতুন ট্রেন্ড মেয়েরাই মেয়েদের বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করে দিয়েছেন। মুখ খারাপ করে কথা, গালি সবই হচ্ছে, যা হয়ত কোন ছেলে ছেলেকেও বলেনা।
নিজের একটা অভিজ্ঞতা বলি, আমি যেখানে চাকরি করি সেইখানে মেয়েদের সহজে নিতে চায়না ম্যানেজমেন্ট। বিশেষ করে ফ্রেশারদের, অবিবাহিত তো একদম নিষিদ্ধ। তাদের ধারনা, ওরা নাকি পরিবেশ নষ্ট করে। এই প্রতিষ্ঠানের আগে আমি একটা টেলিকমে কাজ করে এসেছি। সেখানে দেখেছি, মেয়েদেরকে কেউ মেয়ে হিসেবে ট্রিট করতোনা, সবাই কলিগ হিসেবে দেখতো। মেয়েরাও ছেলেদের সেইভাবেই ট্রিট করতো। এইকারনে সেইখানে কোনদিন কোন সমস্যা হয়নাই। আমি রীতিমত যুদ্ধ করে এই ধারনা পাল্টাতে দুইজন মেয়ে জয়েন করাই। মেয়েদেরকে মেয়ে হিসেবে না, কলিগ হিসেবে দেখতে বলি। দুই মাস হতে চলল, যে সমস্যা ম্যানেজমেন্ট ভেবছিলো সেই সমস্যা এখনও হয়নাই এবং আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, এইটা হবেওনা। শুধু পর্যাপ্ত সম্মান দিয়ে চললে এইসব হয়না।
এইভাবে অনেক ইউনিভার্সিটিতেও সমস্যা হয় ছেলে আর মেয়ে নিয়ে। বিশেষ করে পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে, কারন ওইখানে ছেলে সহপাঠী আর মেয়ে সহপাঠী হিসেবে ভাগ করে নেয়া হয় বেশিরভাগ সময়ে। যারা তার বাইরে যেয়ে ভাবতে পেরেছেন, তারাই কিন্তু পরবর্তীতে অনেক ভালো ভালো বন্ধুত্ব বজায় রাখতে পেরেছেন। এই সমস্যাটা কিন্তু প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে নেই, কারন তাদের চিন্তার ভঙ্গি ভিন্ন। একজন হিজাবি মেয়ে বা নামাজি ছেলেও সেই সম্মান বজায় রেখে ভালো বন্ধুত্ব রেখে গেছে।
এই কথা গুলার একটাই অর্থ, আমাদের মধ্যে সম্মান করার ব্যাপারটা চলে গেছে। মানুষকে সম্মান করতে জানিনা আমরা। অনেক পুরাতন একটা প্রবাদ আছে, “পাপকে ঘৃণা কর, পাপিকে নয়” কারো ভুল হতেই পারে, সেইটা শুধ্রাইয় দেয়াটাই আমাদের কাজ। মানুষ এমনি এমনি না আমরা। আমরা দোষ গুণ আলাদা করতে জানি এইজন্য মানুষ। আজ যদি আপনার ভাই বা বোন ভুল করতেন, তাহলে কি পারতেন তাদের ঘৃণা করতে? মুসলমান পরস্পর ভাই ভাই। এই কথাটা মেনে চলি। কাউকে হেয় করার মাঝে কোন আনন্দ নেই। ছেলে বা মেয়ে না, সবাইকে মানুষ ভাবি। দেশে অনেক সমস্যা, ছেলেরা খারাপ, মেয়েরা খারাপ, এইভাবে না ভেবে সবাইকে মানুষ এইভাবে ভাবি, সবাই মিলে দেশটাকে আগায় নেই। কেউ পিছিয়ে গেলে, ভুল করলে তাকে শুধরায়ে দেই। একজন মানুষ হিসেবে এইটুকু তো আমরা করতেই পারি।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×