প্রত্যেকটি বাংলা অক্ষর বাঙালি জাতির প্রাণ। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের বর্ণমালা,পেয়েছি আমাদের মাতৃভাষা, পেয়েছি আমাদের মাকে-এই বাংলা মাকে।আমাদের এই বর্ণমালা, এই মাতৃভাষা, এই বাংলা মাকে পাবার জন্য ৩০ লাখ শহীদের সাথে সাথে ২ লাখ মাকেও দিতে হয়েছে তাঁদের সম্ভ্রম। অগণিত মা হারিয়েছেন তাঁদের ছেলেকে, সন্তান হারিয়েছে তাঁদের বাবাকে,স্ত্রী হারিয়েছেন তাঁদের স্বামীকে। অনেক নববধূ তাঁদের স্বামীকে হারিয়েছেন হাতের মেহেদীর রং মোছার আগেই। অনেক বাবাকে না ফেরার দেশে চলে যেতে তাঁর ছোট্ট নবজাতকের মুখটা না দেখেই; অথচ পৃথিবীতে আসার আগে এই নবজাতকে নিয়ে কত স্বপ্নইনা তিনি এঁকেছিলেন তাঁর নিজ মনের ক্যানভাসে।সেসব স্বপ্নের কথা হয়তো তিনি তাঁর নবজাতকে বলে যেতে পারেননি কিন্তু তাঁকে উপহার দিয়ে গেছে একটি স্বাধীন দেশ। যেই স্বাধীন দেশের স্বপ্ন ছিল কোটি বাঙালির প্রানের স্বপ্ন। এতো রক্ত,এতো প্রান,এতো ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে যেই বাংলা মাকে আমাদের বীর সন্তানেরা স্বাধীন করেছে আজ ৪২ বছর পরেও আমরা কি সেই স্বাধীনতার স্বাদ প্রানভরে নিতে পারছি? আমাদের বাংলা মা কি আদৌ ভালো আছে? বাংলা মায়ের বুকের রক্তক্ষরণ কি আজও বন্ধ হয়েছে? এইসব প্রশ্নের একটাই উত্তর; সেটা হল-"না"। উত্তরটা অবশ্যই ''হ্যাঁ'' হতে পারতো যদি ৭৫'এ আমাদের স্বাধীনতার মূল নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা না হতো, আমাদের জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা না হতো;এরপর গোলাম আযমের মতো রাজাকারকে এদেশের নাগরিকত্ব না দেয়া হতো,রাজাকারদের মুক্ত করে ওদের গাড়িতে এ দেশের পবিত্র পতাকা তুলে দেয়া না হতো।কিন্তু এইসব না হবার মতো ঘটনাগুলো ঘটেছে আমাদের দেশে। যার কারণে এখনো আমাদের বাংলা মায়ের বুকে রক্তক্ষরণ অব্যাহত রয়েছে। তারপরেও আমাদের দেশে এমন অনেক রাক্ষস-রাক্ষসী আছে যাদের রক্ত নিয়ে খেলা করবার নেশা এখনো কাটেনি। যাদের পশ্চিমা টান এখনো কমে নি। বরং ক্ষণে ক্ষণে এই টান আরও বেড়েই যাচ্ছে। আর এই পশ্চিমা টানের কারণে তারা একটার পর একটা হরতালের নাম করে মানুষ খুনের মেলায় মেতে উঠছে। কিন্তু এভাবে আর কত সহ্য করবো আমরা? আর কত মা তার সন্তানকে হারাবে? আর কত সন্তান তাঁদের বাবাকে হারাবে? আর কত রক্ত দিলে শান্ত হবে ওই হায়নারা? আর কত রক্তক্ষরণ হবে আমাদের বাংলা মায়ের বুক থেকে? এসব প্রশ্নের কোন উত্তর আদৌ কি কারো জানা আছে???
প্রত্যেকটি বাংলা অক্ষর বাঙালি জাতির প্রাণ
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
কে কাকে বিশ্বাস করবে?
করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।
সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়
গতকালের একটি ভাইরাল খবর হচ্ছে কয়েক মিনিটের জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হলো না ২০ প্রার্থীর !! অনেক প্রার্থীর কান্নাকাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান এর নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান বিতরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন
বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন
সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?
আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?
রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন