somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রলাপ বাক্য অথবা সত্য বচন কিংবা কিছুই না!

১২ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার একা কষ্টের দিনগুলো কেন জানি মনে হয় শুধুই আমার একার!
কেউ এটার ভার নিতে পারবেনা,কেউ নিতে প্রস্তুত ও না মনে হ্য়!
"আমার প্রচন্ড খারাপ লাগছে"- হয়ত এটা দু:খ বিলাস! "কেন খারাপ লাগছে সেটা এখন বলতে ইচ্ছা করছেনা,এটলিস্ট প্রশ্নোত্তরের মধ্যে না!" বললে-তখন হ্য়ত হেয়ালি!!
কেন জানি মনে হ্য়,আমাদের এই ধূসর রূপটা কেউ নিতে পারবে না,পারেওনা।আমরা-কিছু মানুষই বোধকরি দুর্বোধ্য!
কি জানি!
এত দিন যাবৎ যাকে যাকে আপন বলি,তাদের নির্লিপ্ততা, কিংবা তাদের নিজেদের মোহে আটকে থাকা দেখে মনে হ্য়, আদৌ কি আপন????
কারও ফোনালাপে প্রেমালাপ, আমার কান্নাকে খুব সহজেই পাশ কাটিয়ে যায়।
আমার অস্হিরতা বা বিষন্নভাব ও কারও বিরক্তির কারণ হ্য়,এবং জানো এই মানুষগুলোকেই আমি হ্য়ত আপন জানতাম!!
কি অদ্ভুত না???
আমার কান্নাগুলো তো আমার চোখ থেকেই পড়ে, কেন বল তা অন্য কাউকে ভিজিয়ে দিবে!!
কাউকে আসলে ভিজায়ও না!!
আমার কষ্ট বা অনুভূতি গুলো কেন কারও মনে হবে আমার মত করে?
কেউ তো আর "আমি" হয়ে যাবেনা!
জানি সবই!
তবুও কষ্ট হ্য়, নিজেকে আর সবার মাঝে ভাবতে ইচ্ছা হ্য় না তখন!
একটা জিনিস খেয়াল করেছি, আমার মন ভাল ব্যাপারটা সবাই খুব সহজে গ্রহণ করে, সবাই সেটা্য থাকতেও পারে, আমার হাসি, আমার কথা, আমার দুষ্টামি-এসব!
কিন্তু আমার কান্না, আমার জমে থাকা, আমার অস্হিরতা, আমার চাপ, আমার ক্ষোভ আমার অশ্রু কিংবা আমার এই বরফ হয়ে যাওয়া-অশ্রু নিতে কেউই প্রস্তুত না!
কেউ ই তখন আমাকে টেনে নিতে পারেনা।
চেনা মানুষগুলোকেও অচেনা লাগে।মনে হ্য়, আসলেই কি চেনা?
অপরিচিত লাগে খুব, কেমন যেন....
সবসময়ের হাসি খুশি টাই তো আমি না!
আমার কান্না আমার কষ্ট আমার রাগ আমার হাসি আর আমার শুন্যতা সব মিলেমিশেই কি আমি না?
দর্পণের আমার হাসিখুশি মুখটা কিন্তু ফ্রেমে বন্দি ছবির মত ! আমাকে যদি সত্যি দেখতে হয়, তবে তো শুধু ছবিতে আটকে থাকলে হবেনা, আমাকে দেখতে হবে আয়নায় ধরা পড়া প্রতিবিম্বের মত!!
যেখানে আমি হাসলে ঐ প্রান্তেও হাসি পৌছে যায়, আর কাঁদলে টলটল করে উঠে সেই আয়নাটাও, যেন কাঁপন ছুঁয়ে যায় তাকে!
কেন আমরা মানুষের শুধু ঝলমলে রূপটা নিতেই প্রস্তুত থাকি???কেন পারিনা কারও সেই বিচ্ছিরি অশ্রুসজল মুখটাকেও আপন করে নিতে??
তবে কি এটা হঠকারিতা না???
কেন পরে নিজেকে বুঝানো বা প্রবোধ দেয়া-তোমার এই কষ্টগুলো প্রকাশ করো না,এটা তোমার দুর্বলতা হয়ে ধরা দিবে!!কি আজব!!
আপন মানুষদের কাছে আবার দুর্বলতা কি??
তবে কি সেই সম্পর্কগুলোও স্বার্থের? যেখানে নিজের হাসিখুশি রূপের বাইরের মন খারাপের রূপটা ধরা পড়লেই "ইমেজ" নষ্ট হওয়ার ভয়??
"ইমেজ" তো অভিনেতারা ধরে থাকে, ভক্তকূল যেন কোন মতে টের না পায় যে তথাকথিত সেই "ইমেজ"-এর বাইরেও তার কোন রূপ থাকতে পারে!
এই ইমেজ তো একরকমের প্রলেপ, প্রসাধনের রং এর মত-এই কাঁদলেই-গেল রে লেপ্টে!!
আপন মানুষদের কাছে তবে কিসের এত সাজসজ্জা?
কিসের এত ইমেজ রক্ষা??
তবে কি আপন মানুষেরা আদৌ আপন হয়?
প্রকাশ করো না কাউকে-দুর্বল ভাববে তোমায়-কি হাস্যকর যুক্তি!!
কি হয় আপন মানুষদের কাছে দুর্বল হলে?
বাইরের মানুষকে তো কেউ কিছু বলে না,বলবেও না,তবে?
মুখোশ লেপ্টে থাকা!!
হুম, আমি যা বুঝি, মন খারাপ,কিংবা ভাল-দুটাই প্রকাশ করা উচিত। অন্তত যাদের আমরা কাছের ভাবি, কারণ আমরা তো অভিনয় করতে বসিনি।
যদি প্রাণখুলে হাসতেই না পারি,যদি চোখের জলে সিক্তই না হতে পারি,তবে কি জন্য এই কাছের মানুষ?
নিজেকে মেলে দেয়ার চেয়ে পূণ্য আর কিছু নাই!
যদি এটা দুর্বলতা হয়, হোক। অন্তত হঠকারিতার চেয়ে এই তথাকথিত"দুর্বলতা"ই শ্রেয়!!
যে আমার আনন্দ নিতে পারে, নিতে চায়, যে আমার হাসিতে নিজেও হাসতে চায়, তার উপর পূর্ণ অধিকার আছে আমার কান্না দেয়ার।সম্পর্কগুলোর জোর যেন এটাই হয়!!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:৩৯
৪৬টি মন্তব্য ৪৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×