পর্ব-৫
Click This Link
-এই চল।আর ভেজার কুনো ইচ্ছা নাই আমার!
আমি উঠে দাঁড়াই।
মনির আর আজাদও উঠে দাঁড়ায়।আমার কাছে ছাতা আছে।কিন্তু একজন ভিজবে না,অন্য দুইজন ভিজবে,আবার তিনজনে ছাতার নিচে ঢুকলে সবাই কমবেশি ভিজবই।তাই ছাতা বের করার ঝামেলায় গেলাম না।
হাঁটতে হাঁটতে কার্জনে গেলাম।
-আরে!আমার মনে হইতেছে কেমব্রিজে চইলা আসছি!
আজাদ চিল্লায়ে কইল।
-সে আজকাল একটু বেশিই ভাবতেছে।
আমারে গুঁতা দিয়া মনির বলে।আমি মাথা নাড়লাম।
-তাড়াতাড়ি ছবি উঠা বান্দর।
তাড়া দিলাম আমি।
-কিভাবে শুরু করব?মাথা আউলায় গেসে।
-ওরে পাগল!আগে কয়েকডা না হয় প্রকৃতির ছবিই তোল!নেন নেন শুরু তো করেন বেয়াই!
-আমি তো পারি না রে।
আজাদ মুখ কাঁদো কাঁদো কইরা ফেলে।
-ওহ জ্বালা!দে তুইলা দেই!
ক্যামেরাটা হাতে নেই। টুকটাক ছবি তুলি।বেশ কিছুটা সময় ঘুরি-ফিরি।মাঠে বসে থাকা জুটিগুলা নিয়ে গবেষণা করি।আবার আমরাই নকল করে দেখাই,আমরাই হাসতে হাসতে গড়ায় পড়ি।
হাতের ঘড়ি দেখি।সর্বনাশ! গাড়ি নিশ্চয়ই ডিপার্টমেন্টে চলে আসছে।পা চালিয়ে ডিপার্টমেন্টের দিকে রওনা হই।
চলে আসার সময় বলি,
-তো দোস্তরা,তোমাদের আজকের বিদায়ী-বার্তা?
-একটা রিকোয়েস্ট,তুই কখনও কারও প্যাট্রিসিয়া হবি না!
মনির আর আজাদ-দুজনেই একসাথে বলল।
(ওরা জানত আরও অনেকের মতই থ্রি কমরেডস বইটা আমার ভীষণ প্রিয়)
কাছেই কোথাও বাজ পড়ল।তবু কেন জানি চমকালাম না,কথাটা শুনে যতটা চমকালাম।চোখ নামায় নিলাম।তারপর আবার ঠোঁটের কোণে আলতো হাসি টেনে জিজ্ঞেস করলাম
-হঠাৎ এ কথা কেন রে?
-তোকে হারাতে চাই না।
ছোট্ট একটা নি:শ্বাস নিলাম।তারপর বললাম
-ভয় পাস না। প্যাট তো তবু সত্যিকারভাবে কাউকে ভালবাসতে পেরেছিল,আমি তো তা কখনোই পারব না,হয়ত সেই ক্ষমতাই আমার নাই!
আমাদের পেছনে গাড়ি এসে থামে।ওদের জবাবের অপেক্ষা না করেই উল্টো দিকে হাঁটা ধরি।আমি জানি জবাব দেবার মত ওদের কিছু নেই।আর ওরাও খুব ভালভাবেই জানে,কথাটা আমি কেন বলেছি. . .
(আসলে এই সিরিজটা আমাদের তিন বন্ধুর হাসি-ঠাট্টা-খুনসুটি আর আমার জীবনের মনে রাখার মত কিছু চরিত্র নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম,তেমন কোন গল্প বা কাহিনী নেই এতে।আমরা তিন বন্ধু ত্রিভুজের তিনটা বিন্দুর মত।ইচ্ছে করলেই তাতে সীমারেখা টানা যায়,কিন্তু আমরা টানতে চাই না কখনোই...
হতে পারে,ডায়েরী লেখার চাইতে ব্লগেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি বেশি-এটা তার একটা কারণ।সময় সুযোগ পেলে আর মনে চাইলে আবার হয়ত লিখব।কোন কাহিনী বা গল্প মনে করে কেউ হোঁচট খেয়ে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী)
যে সম্পর্কের কোন সীমারেখা নেই,যাকে বাঁধতে চাই না কোন সংজ্ঞা বা শিরোনামেও-৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...
অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা
আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************
যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=
০১।
চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন
কুড়ি শব্দের গল্প
জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!
সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন