ভারতের কেরালার কোল্লাম এলাকায় পুতিঙ্গাল মন্দিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মুহূর্তে মুহূর্তে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এ পর্যন্ত শতাধিক নিহতের সংবাদ পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৩৫০ জন। এ ঘটনার পর এক টুইট বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কেরালার পথে তিনি। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কেরলার কোল্লামে পৌঁছানোর নির্দেশ দিয়েছেন মোদি। এরইমধ্যে বিশেষ বোম স্কোয়াড কেরালা রওয়ানা হচ্ছেন।
ঘটনাটি যেভাবে ঘটলো। রোববার ভোর ৩টা। কেরালা রাজ্যের রাজধানী থিরুভানান্থাপুরামের পুত্তিঙ্গল মন্দির। নববর্ষের উৎসব উদযাপন করতে বরাবরের মতোই এখানে অন্তত ১৫ হাজার মানুষের ভিড়। আতশ বাজীর বর্ণীল ছটায় ঝলমল করছিল কোল্লামের আকাশ। হঠাৎ বিষ্ফোরণ। ঘটনার আকষ্মিকতায় দিশেহারা, দিগ্বিদিকশুন্য মানুষের আর্তচিৎকার।
মন্দির প্রাঙ্গণে জমা করে রাখা বাজির স্তুপের উপর জ্বলন্ত আতশবাজির স্ফুলিঙ্গ পড়লে বিকট শব্দে বিষ্ফোরণ ঘটে এবং দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় আগুনে পুড়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। আতঙ্কে মানুষ দৌড়োদৌড়ি শুরু করলে পদপিষ্ট হয়েও প্রাণ হারান আরও অনেকে। এ পর্যন্ত ৪০ জন মৃতদেহের পরিচয় জানা গেছে।
এ ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। এছাড়া কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ চেন্নিথালা বলেছেন, ইরনাকুলাম ও ত্রিভেনদামে প্রয়োজনীয় সব ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
গুরুতর আহতদের থিরুভানান্থাপুরামের ১০টি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২ লাখ রুপি এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে সহায়তার ঘোষণা দেন মোদি। উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে দেশটির নৌ ও বিমান বাহিনী।
যদিও বাজি পোড়ানোর ব্যাপারে মন্দির কর্তৃপক্ষকে আগেই সাবধান করা হলেও তারা তা শোনেনি বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০৮