এরকমই কোন এর বসন্তের দুপুরে তুমুল হাওয়ার হারিয়ে গিয়েছিল কিশোরের শাদা শার্ট , পাশের বাড়ির চিলেকোঠায়
সেই শার্ট খুজতে যেয়ে খুজে পেয়েছিল এক কিশোরী, ত্রস্ত বিষণ্ণ চাহনি , দীঘির মত কাল দুই চোখে কবেকার বিষাদ , কাল শরীরে কি যেন এক মায়া
তখন বিকেল সন্ধ্যার মাঝামাঝি সময় , ঝড় উঠি উঠি করেও উঠলনা
ধুসর মেঘের আড় দিয়ে ঠিকরে পড়ছিল শেষ সূর্যের আলোকচ্ছটা ,
ঠিক মেয়েটার লালচে চুলের ওপর ,
তার কিশোরী সুলভ অসহায় সৌন্দর্য জ্বলে উঠেছিল নিভৃতে, যে তখন শুকোতে দেওয়া কাপড় তুলতে ব্যস্ত
সেই সময় ঝড় কিন্তু উঠেছিল ঠিকই
কোন প্রান্তরে না, কিংবা কোন বন্দরে
ঝড় উঠেছিল সদ্য নাইনে ওঠা এক লাজুক কিশোরের হৃদয়ে
তার হারিয়ে যাওয়াটাও ছিল অনেকটা দমকা হাওয়ার মত
যে হাওয়া লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল কোন এক কিশোরের ভেতরটা
সারাদিন জুল ভার্ন আর হ্যাগার্ডের জগতে ডুবে থাকা কারো আচানক উপলব্ধি
চারপাশের পৃথিবীটার সহসাই বদলে যাওয়া রূপ ,
কিশোরের বুকের কোথাও একটা ব্যথা ,সেই
প্রথমবারের মত
সেই এক মুহূর্তেই সারা পৃথিবীর গণ্ডি অনেকটাই ছোট হয়ে এসেছিল দুজন মানুষের আড়ষ্টতায়,
ছোট ছোট নিঃশ্বাসে
অজানা কোন ভাললাগায় সারা পৃথিবীর কোলাহল থেমে গিয়ে শুধু বুকের ভেতরে আড়মোড়া ভেঙে জেগে ওঠা অন্য আরেক মানুষ
ঝড়ের মত এসে ঝড়ের মতই কোথায় যেন হারিয়ে গেছে কুচবরন কিশোরী
এরপর, আরও কত ঝড় এসেছে , গেছে , কিশোরের বুকে জন্মানো ভালবাসার চারাগাছ উপড়ে ফেলতে পারেনি কেও
সেই চারাগাছি আজ মহীরুহ
সেই লাজুক কিশোর আজ যুবক
আর কোনদিন দেখা হবে না , জানে সে
এখনও বৈশাখের বিকালে ছাদে যেয়ে দাড়ায় সেই ছেলেটা
বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা , সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত
মাটি দিয়ে গড়া কোন ভীত কিশোরীর চুল ওড়ে না কোন ঝড়ে
সদ্য যুবক তবুও অপেক্ষায় প্রহর গোনে
কোন এক হারানো মৃন্ময়ীর