আমার ছোটখাট কল্পনার জগতটা খুব অদ্ভুত ...
বৈশাখের কোন একদিন হঠাৎ করেই আমার কল্পনার ছোট খাটো আকাশটা ঘনকালো মেঘে ছেয়ে গেল ...অন্ধকার হয়ে গেল চারদিক ... রুদ্র মাতাল হাওয়ায় দাপটে আমাদের বয়েজ হোস্টেলের আধখোলা জানালাগুলো আর্তনাদ করে খুলে যেতে শুরু করল একের পর এক ... বজ্রের ঝলকানিতে অন্ধকার ঘরগুলো এক অপার্থিব আলোয় ভরে গেল ... আকাশের বুক ছিঁড়ে নামলো মুশুল ধারে বৃষ্টি
বাতাসে ভেসে বেড়ানো ভেজা মাটির অপূর্ব ঘ্রাণ আমাকে বের করে আনল রাস্তায় ... বন্ধগেটের জন মানবহীন চায়ের দোকান কোন এক ভাঙ্গা বেঞ্চে বসে আকাশের অপার্থিব সৌন্দর্য কিংবা টিনের চালে ঝুমবৃষ্টির অপূর্ব শব্দ ঠিক কতক্ষণ সম্মোহিত করে রেখেছিল , জানিনা ... হঠাৎ করেই অপ্রত্যাশিতভাবে তোমাকে আবিষ্কার করলাম , রেল লাইনের ওপর দিয়ে একমনে হাঁটছ আর দুহাতে বৃষ্টি ধরার চেষ্টা করছ ... শীতল জলে মিলে মিশে একাকার তোমার ঠোঁটের এক চিলতে অপার্থিব হাসি আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে
হঠাৎ করেই তুমি আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলে আর যেন সাথে সাথেই আকাশের চারদিকে আলো করে ছড়িয়ে গেল বজ্র
ধীরে ধীরে থেমে গেল বৃষ্টি ... আবছা আলোয় তোমার ধীর পায়ে চলে যাওয়ার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলাম ... মন থেকে বারবার বলছিলাম আর একবার ফিরে তাকাও , তুমি তাকাওনি ... একবারের জন্যও না
বৃষ্টি ঢেকে দিয়েছিল আমার চোখের জল , চারপাশের অন্ধকার সহসাই আড়াল করে রেখেছিল আমার আহত দুই চোখ
বর্ষা রাতের চাঁদ , হতে পারে তোমার অস্তিত্ব শুধু আমার কল্পনায় ... এমনি এক ঘনঘোর বর্ষার দিনে আবারো তোমার দেখা পাওয়ার প্রতিক্ষায় থাকলাম অনির্দিষ্টকালের জন্য ...
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৩