বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ৩ নাম্বার গেট। পাশেই দামী একটি রেস্তোরাঁ 'সুরুচি'। ঠিক এর সামনেই প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বসে ে"ভাতের হাট"। আশপাশের রিকশাচালক, টোকাই, ভ্যানগাড়িচালকরা হলেন ছোট্ট এই হাটটির ক্রেতা। হাটের বিক্রেতার অধিকাংশই হলেন কাজের বুয়া। তারা প্রতিদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর বিভিন্ন হোটেল-রেস্তেরাঁ থেকে পচা, বাসি ও ফেলে দেয়া ভাত-তরকারি এবং রুটি নিয়ে এসে জড়ো হন এখানে। তারপর শুরু হয় বিক্রি। মাত্র ২০ টাকাতেই পেটপুরে খাওয়া যায় এখানে
ওখানে গেলেই চোখে পড়ে ভাতের হাটটি-যেখানে ১৫/১৬ জন নারী-পুরুষ একসঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া করছিল। রিকশাচালক মোস্তফা, থাকেন কাপ্তানবাজার এলাকায়। ২২ বছর ধরে রিকশা চালান। প্রতিদিন মহাজনকে জমা দিতে হয় ২০০-২৫০ টাকা। বাকি যে ক'টা টাকা থাকে তা দিয়ে ভালো কোথাও খাবার চিন্তাও করতে পারেন না। তাই এখানে আসেন রাতের খাবার খেতে। ভাত, মাছ, তরকারি মাত্র ২০ টাকা।
মান্ডার ভ্যানগাড়িচালক রহিম বলেন, "ফুটপাতের হোটেলে খেতে ৫০/৬০ টাকা লেগে যায়। এখানে ২০ টাকায় পাচ্ছি তাই খেলাম।"
ভাতের হাটের এ সব খাবার কোত্থেকে আসে-এ বিষয়ে বিক্রেতা কাজের বুয়া ফাতেমা প্রথমেই কথা বলতে চায়নি। নিজের মতো করে কথা বলে চলেন অনবরত। স্বামী রিকশা চালায়। সে আয়ে সংসার চলে না। ঘর ভাড়া ৩ হাজার টাকা দিলে, আর কি থাকে? আমরা হোটেলে কাজ করি। সেখানে ফেলে দেয়া খাবারগুলো নিয়ে এসে এখানে বিক্রি করি।
মাত্র ২০ টাকায় তৃপ্তিসহকারে পেট ভরে খেয়ে স্বস্তির ঢেকুর তুলতে দেখা যায় এখানকার ক্রেতাদের।