ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) নির্বাচনের পরবর্তী কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আজ রোববার হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইন, ২০০৯-এর সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত ডিসিসি নির্বাচন স্থগিত রাখার ব্যাপারে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। আজ রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
মনজিল মোরসেদ বলেন, আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কোনো জবাব না পাওয়ায় নির্বাচনের পরবর্তী কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ চেয়ে রিটটি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন কার্যক্রম বন্ধ রাখতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ তিনজনের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ (আইনি নোটিশ) পাঠানো হয়। নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনের সব কার্যক্রম বন্ধ করে তা জানাতেও বলা হয়। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছিল।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের সম্পাদক আইনজীবী আসাদুজ্জামান সিদ্দিকীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ১২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ফ্যাক্স ও ডাকযোগে এই নোটিশটি পাঠান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার প্রতি পাঠানো নোটিশে স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইন, ২০০৯-এর তিনটি ধারা বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠান না করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া, নোটিশে করপোরেশনকে ওয়ার্ডে বিভক্তীকরণ, সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা নিয়োগ ও ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইন, ২০০৯-এর তিনটি ধারার কথা বলা হয়। ধারাগুলো বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠান না করতে অনুরোধ করা হয়েছিল।
নোটিশে বলা হয়, আইনটির ধারা ২৭ অনুসারে নতুন কোনো সিটি করপোরেশন হলে সীমানা নির্ধারণকারী কর্মকর্তার সুনির্দিষ্ট ওয়ার্ডের বিষয়ে সুপারিশ করতে হবে এবং করপোরেশনকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিভক্ত করতে হবে। ওই ওয়ার্ডের সংখ্যা গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। ধারা ২৮ অনুসারে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে। সীমানা নির্ধারণের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নতুনভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে। সুতরাং ওয়ার্ডের বিভাগ ও সংখ্যা নির্ধারণ, স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইন, ২০০৯-এর ২৭ ও ২৮ ধারা বাস্তবায়ন না করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো সুযোগ নেই।