৬৫ টাকা থাকা অবস্থাতেই সরকারী দল থেকে এক সপ্তাহেই পেয়াঁজের দাম স্থিতিশীল হওয়ার খবর শুনেছিলাম। তারপর একান্ত ভক্তদের পোস্টে সেই নিউজের শেয়ার। এছাড়া ফেসবুক, নিউজপেপার, টেলিভিশন সবগুলো সেই ৮০-৯০ টাকার সময়ে মুর্হুমুর্হু খবর দিয়েছিলো। আপাতত সেটা বন্ধ। ফেসবুকে তেমন গরম নেই। নিউজপেপারে এক কোণায় প্রতিদিন অবশ্যই থাকে। লীড নিউজ হয় না। এক নিউজ আর কত? তো আলাপ আলোচনা, বা শেয়ারের বন্যা বন্ধ হলেও যেটা বন্ধ হয়নি সেটা হচ্ছে পেয়াঁজের দাম।
গত পরশু দেশপ্রধাণ আবার ঘোষণা দিলেন কই থেইক্যা জানি পেয়াঁজ আসতেছে (মিশর থেকে)। যদিও তেল ঢেলে দেওয়ার লোকেরা এই নিউজকে তেমন শেয়ার দেয়নি বা আমার চোখে পড়েনি।
তো কালরাত রুমমেটকে ১২০ টাকা পেঁয়াজ বাবদ দিয়ে আজ সকালে শুনলাম ১৬০.
স্থিতিশীল বলতে কি বুঝায় এসব মূর্খরা কি তা জানে? আবার এদেরকে আমরা একেকজনে ১০ টা ভোট দিয়েছি এবং তাদের ক্রমাগত মিথ্যে শেয়ার দিচ্ছি।
এদের এখন দেখা না গেলেও যখন দাম কমবে সেটা ছয়দিন পর হোক বা ছয় বছর পর হোক "এই দেখেন আমরা দেশের জন্য কি করছি? আস্থা রাখেন নাই" নামক পোস্ট দেখবো।
অবশ্য মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী রসিকতা করে বলেছেন "তরকারীতে পেঁয়াজ না দিলে কি হয়?" আমাদের সেই রসিকতাকেই সত্য মেনে নিয়ে চট্টগ্রামের একটা সংগঠনের (নাম মনে নেই) সাথে "পেয়াঁজ ন কিন্ন্যুম, ন খাইয়্যুম" ব্যানারে মিছিল করে দেশের প্রতি নাগরিক দ্বায়িত্ব পালন করা উচিত।
২) আগস্ট সেপ্টেম্বর এর দিকে ডেঙ্গু নিয়ে হুলুস্থুল পড়ে গেছিল। দুই সিটি কর্পোরেশনের দুর্নীতি অবহেলা বেরিয়ে পড়ছিলো। সরকার থেকে নানা ঘোষণা, হাস্যরস জন্ম দেওয়া নানা উদ্যোগ। হলিউড একশনের মত মশা মারার কামান দিয়ে জনগণের ফুঁটোতে গ্যাস দেওয়া। সাথে সেই সোশ্যাল মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া, আকাশ মিডিয়ায় ফ্রন্ট পেজে নিউজ। নানা অবহেলার
, ফাঁকিবাজির নিউজ, বিভিন্ন গলাবাজির নিউজ। তারপর ধীরে ধীরে সব হাওয়া।
তবে যেটা হাওয়া হয়নি সেটা হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর। গতকাল পর্যন্ত দেশে এক বছরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।
তো হম্বিতম্বিগুলো কই গেলো?
এক জিডিপির গল্প, আর পাঁচগুণ বাজেট বাড়িয়ে বছরের বছরের পর বছর পদ্মাসেতুর জন্য ব্যানার,লিফলেট লাগানো আর কত?
-এন জে শাওন
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৮