somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Joint Security Area : দুই কোরিয়ার মাঝের যুদ্ধ, থ্রিলার এবং হত্যারহস্যের মুভি

১৫ ই জুন, ২০১২ রাত ১২:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মুভিখানা দেখার আগে একটা কথা পড়ে যান যে পাগলা এবং বস পরিচালক, অতি বিখ্যাত এবং সবার ফেভারিট Quentin Tarantino মুভিটি দেখার পর এক সাক্ষাতকারে এই মুভিটিকে ১৯৯০সালের পর তার সবচেয়ে প্রিয় ২০টি মুভির মাঝে একটি বলে রায় দিয়েছেন।


North Korea এবং South Korea । অনেকদিন ধরেই একে-অপরের সাথে সাপে-নেউলে সম্পর্ক দুদেশের সেটা সবাই জানেন। কি এক অদ্ভূত কারণে একটি দেশ আরেকটি দেশকে কখনোই দেখতে পারেনা। South Korea কে একটু সহনশীল মনে হলেও North Korea একেবারেই বেপোরোয়া আচরণ করে।
অনেকবারই দুদেশ একেঅপরের সাথে তুচ্ছ কারনেও মুখোমুখি অবস্থানে চলে গিয়েছিলো। একবার তো ব্যাপক যুদ্ধই হয়ে গেলো দুদেশের মাঝে। আজ এই ২০১২সালে এসেও এই দুদেশের সম্পর্ক একটুও ভালো হয়নি। সবসময় একরকম টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে দুদেশের সীমান্তে।

সাধারণ জ্ঞানের ক্লাস শেষ। এইবার একটি মুভির নাম বলি। South Korean এই মুভিটির নাম J.S.A.: Joint Security Area। মুভিটির পরিচালক আমাদের সবার পরিচিত ক্লাসিক Oldboy মুভির পরিচালক Chan-wook Park । দারুণ লাগলো মুভিটি দেখে। দুদশের মাঝে যে এই সবসময়ের উত্তেজনা/একে অপরকে সবসময় শত্রু ভাবা যে মাঝে মাঝে কোন কারণে খুব বিপদজনক পরিস্থিতির দিকে চলে যেতে পারে তারই বর্ণনা মুভিতে। মুভির কাহিনী চিরবৈরী এই দুদেশের সীমান্তের এক ঘটনাকে নিয়ে। একে যুদ্ধের মুভি বলতে পারেন আবার থ্রিলারের মিশেলও আছে বেশ। দেখা শুরু করলে দারুণ মজা পাবেন। বেশ ভালো মুভি।

মুভির শুরুতেই দেখা যাবে দুজন North Korea এর সৈন্য Korean Demilitarized Zone তে তাদের সীমান্তের হাউজে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। সাথে সাথে দুদেশের সীমান্তেই জরুরী এলার্ম বেজে উঠে। দুদেশের সৈন্যরাই মুখোমুখি অবস্থানে এসে যায়। শুরু হয়ে যায় গুলাগুলি। এরই মাঝে South Korean একজন সৈন্যকে আহত অবস্থায় North Korea থেকে পালিয়ে আসার পর South Korean সৈন্যরা তাকে উদ্ধার করে।

আগেই বলেছি এই দুটো কোরিয়ান দেশ সবসময় একে অপরের মুখোমুখি অবস্থানে থাকে। যেকোন কারণেই দুদেশের মাঝে ভয়াবহ যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। আর সেখানে এই ঘটনা তো বেশ ভয়াবহ। এদিকে পালিয়ে আসা সেই সাউথ কোরিয়ান সৈন্য এই হামলার কথা স্বীকার করে।

যাইহোক দুদেশের এই মুখোমুখি অবস্থানের মাঝে এগিয়ে আসে Neutral Nations Supervisory Commission । দুদিন পরেই দুদেশের সম্মতিতে ঘটনা তদন্তে তারা সুইডিশ এবং সুইশ তদন্তকারী দল পাঠায়। দুদেশের ভবিষ্যৎ এখন এই তদন্তকারী দলের হাতে। যদি ঘটনা সত্য বলে প্রমাণিত হয়ে যায় তাহলে হয়তো বিশ্ববাসী আবার নতুন এবং ভয়াবহ একটি যুদ্ধ দেখতে পাবে।

সুইশ এবং সুইডিশ দল শুরুতেই হোচট খায়। তারা কাজটি খুব কঠিন সেটা আগেই ভেবেছিলো কিন্তু সেটা যে এতটা জটিল আকার ধারণ করবে সেটা বুঝতেই পারে নি আগে।

* ঘটনাটি নিয়ে দুদেশের গল্প দুরকম। তাহলে কারটা সঠিক ???
** সবকিছু আরো সবচেয়ে জটিল করে তুলতেই আসে মৃত সৈন্যদের অটপসি রিপোর্ট। কিছুই মিলোনা যাচ্ছে না এবার আর। হিসব মিলানো যাচ্ছে না কোন কিছুরই।

তাহলে ?? এখন কি করবে সেই তদন্তকারী দল ?? তারা কি আসল ঘটনাটি এবং আসল দোষীকে সবার সামনে নিয়ে আসতে পারবে ?? সত্যি করে কি হয়েছিলো সেইদিন ?? কারণটাই বা কি ?? আসল অপরাধীই বা কারা ??
অবশ্যই সব সত্য সবার সামনে সঠিকভাবে হাজির করতে হবে সেই তদন্তকারী দলকে। কারণ ব্যাপারটা ছেলেখেলা নয় আর। যদি চিরবৈরী এই দুদেশ নিজেদের সাথে যুদ্ধ লাগিয়ে দেয় ??

বাকিটা আর বললাম না। দেখে নিজে জেনে ফেলুন। অসাধারণ একটা মুভি। জমজমাট এবং টানটান থ্রিল পাবেন সেটা গ্যারান্টি। আরেকটি কোরিয়ান মাস্টারপিস এবং মাস্ট সি মুভি।

কিছু তথ্য:
* অনেক পুরস্কার পায় এই মুভিটি মুক্তি পাবার পর।
** কোরিয়ার সবচেয়ে ব্যবসাসফল ৫টি মুভির মাঝে এটি একটি।


মুভিটির ইংরেজী সাবটাইটেলসহ stagevu ডাউনলোড লিংক:
Joint Security Area stagevu link
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৮
৫৪টি মন্তব্য ৫৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×