আমি এখানে ধারাবাহিক ভাবে ৩৫৯ টি আমের বর্ননা বিশদভাবে (জন্ম কথা, খাদ্যমান, রং, আকার, চামড়া, আঠিঁ, গাছ, পাতা, গড় ওজন, পাকার সময় ইত্যাদি) তুলে ধরবো। সাথেই থকুন আর নো মেন্ট প্লিজ বাট সাজেশন
আজকের বিষয়ঃ লখনা
প্মধ্য মৌসুমি জাতের আম। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পাকা শুরু করে। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত পাওয়া যায়। বাংলাদেশে যে, কয়েকটি অভিজাত শ্রেনীর অতি উপকৃষ্ট আম রয়েছে,
লক্ষনাভোগ নিঃসন্দেহে এগুলোর মধ্যে একটি। আমটি লখ্না নামেই সমধিক পরিচিত লক্ষনভোগ পোক্ত অবস্থায় হালকা সবুজ। পাকলে টটকে হলুদ রং ধারন করে (লালচে হলুদ)। দেখতে অত্যান্ত আকর্ষণীয়। ফলটি ছোট থেকে মাঝারি ওজনের হয়ে থাকে। গড় ওজন ২৭৫ গ্রাম, ফলটির আকৃতি লম্বাটে, চ্যাপ্টা অনেকটা উপবৃত্তকার, ঠোট স্পষ্ট, ত্বক মসৃন, খোসা সামান্য পুরু। শাঁস লালচে হলুদ, একটু শক্ত। অত্যন্ত সুগন্ধযুক্ত, ভাল স্বাদের আমটি খেতে মিষ্টি। মিষ্টতার পরিমান ৭৫%। লক্ষণভোগ প্রতিবছর প্রচুর পরিমানে ধরে। আমটির সংরক্ষণ ক্ষমতাও বেশ ভালো। ফল কেটে ফালি করে খেতে ভাল। জাতটি রাজশাহী জেলার চারগাট, বাঘা, পুঠিয়া থানাএলাকায় সবচেয়ে বেশি জন্মে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সকল থানাতেই জন্মে থাকে। তবে সদর, শিবগঞ্জ, নাচোল থানাসমূহে বেশি জন্মে। নাটো জেলাতেও লক্ষনভোগ প্রচুর পরিমানে জন্মে থাকে। দেশের সকল এলাকাতেই চাষউপযোগী। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে রপ্তানির জন্য এই আমটি সবচেয়ে উপযোগী। ইউরোপীয় ইউনিয়োন বাংলাদেশ থেকে এই আম আমদানি করার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। আঞ্চলিক উদ্যান তত্ত্ব গবেষনা কেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এই জাতটি বহুপূর্বে নির্বাচিত হয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট বারি থেকে ১৯৯৫ সালে ছাড় করা (মুক্তায়িত/........) হয়েছে। সরকারি ভাবে জাতটির নামকরণ করা হয়েছে বারি আম-২। অত্যান্ত বাণিজ্যিক সফল এই আম। ২০১০ সালে আমের মৌসুমে, রাজশাহী মহানগরী সাহেব বাজরে প্রতি কেজি লক্ষণভোগ আম ২৫ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রী হয়েছে। এর অপর নাম - লক্ষণভোগ ,বারি আম-২ ।
তথ্য গুলো "ফজলি.কম " খেকে সংগ্রহ করা । পোষ্ট টি ছবি ও ভিডিও সহকারে জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
বিষয় ভিত্তিক ট্যাগ: আম , Mango , Mango Rajshahi, Mango Bd