প্রায় কিছুই হলো না- এই রাত নিয়ে গেছে শীত
একটু আগে এই বাঁক খাওয়া সন্ধ্যার গভীরাগভীর বৃত্তান্ত
জেনে গা ঘেঁষে গুঞ্জন করেছিল দু’টি সোনালী হরফ
তারপর সিঁড়ি ভেঙে গেছে নির্ভার।
এই ব্যাথিত ক্ষুধা-ঘুম
তারপর এই রাতের কোলে আফিম যন্ত্রণা
দীলিপের স্নায়বিক ধুপ
দক্ষিণে কি ঝড় উঠেছে ভীষণ? যদি তা না হয়
তবে দ্যাখো; এই দীপাবলি কুয়াশা আঁকড়ে ধরে
কী নিবিড়!
যে তুমি আঁক রঙের তল মেপে মেপে
জীবনের তীব্র আকাঙক্ষার প্রগাঢ় রেখামালা
উঠোনে খড়কুটো জ্বালো প্রচন্ড শীতে
আর ক্ষয়ে ক্ষয়ে প্রচুর জল হয়ে পড়ো বৃষ্টিধারায়...
কী সেই বোধ-উদ্দিপ্ত স্লোগান!
শুনেই রাস্তায় লোক জড়ো হয়
দানবের মতো গুড়িয়ে দেয় অসংখ্য দালান
অথবা সারারাত্রির চুম্বনে ঝলসে গিয়ে
নুয়ে পড়ে জলহীন চারার মতো
পরিত্যাক্ত মাটিতে
এমন ভেঙে দিতে পার তুমি; ছুঁয়ে দিতে পার সুখ!
কে এমন ধনী, যে প্রশান্তির জন্য এতটুকু করুণা না চায়?
কে এমন গরীব, ভোররাতে কার ঘর খুড়ে খুড়ে কান্না করে কলরোল?
আর আমি ভাবি; এই শীতকাল
এই হলুদ অবয়বে ক্লান্তির রেখা ধরে
কী দীর্ঘ ছায়া নামে
কী অবাক!
এখনো ঘাসে মুদ্রিত হয় শিশিরের ছাপ
হাওয়া এলে পাতাগুলো লুকোচুরি খেলে
মগ্নতা দাবী করে সারা সন্ধ্যা শাসায়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯