চারদিকে কয়েকটি দোদুল্যমান পৃথিবী
স্থির ইঙ্গিতে মুখের কাছে কতগুলো ছবি জুড়ে দেয়
পরিপার্শ্বে ঝুলে আছে আঁধারের দঙ্গল।
আমার মতো আরও একটি তামাটে সন্ধ্যা জলের দিকে
মুখ রেখে তাকিয়ে আছে; আমি দুবাহু ছড়িয়ে দেই
রদ্দি বিছানায় আগামীকাল এসে যায়।
আমি লিখে দেই রাতারাতি বেচাকেনা, ঝাড়পোছ
ধীবরের একাগ্র শয়ান।
ভোররাতে মিনারের চূঁড়াটি আরো ঊর্ধ্বে উঠে ডাক দেয়
ফেলে আসি কথার কল্লোল
বাহুমুলে আটকে থাকা রোদন ও রতির আস্বাদ ।
পাখিরাও পাহাড়ে পাহাড়ে উদ্ভাহু
যেন মাত্র আলিঙ্গন ছেড়ে উঠে এসেছে এই সপ্তপদী স্নানে
নিরঙ্কুশ আলো জ্বলে, হাঁসের ধুসর ঠোঁটগুলো মিশে থাকে কাঁদায়
সৌভাগ্যের বৃষ্টি এসে ভরে যায় নদী
বুকের কাছে তবু জেগে থাকে চর, উষর ধুলি, খড়িমাটি
শরীরের বেতস গুহায় লক্ষ মূষিকের গান।