জাল হইতে ছাঁকিয়া)
এক ভদ্রেলোক বউ নিয়া ডাক্তারের কাছে গেছেন, ডেলিবারী কেইস। এই ডাক্তার আবার একজন বৈজ্ঞানিকও। তিনি এমন একটা যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন যা দ্বারা স্ত্রীর প্রসব বেদনা নিয়ণ্ত্রিত ভাবে বাচ্চার বাবার দেহে পাঠানো যায়। তিনি ভদ্রলোককে প্রস্তাব দিলেন তার এই যন্ত্র পরীক্ষা করে দেখার জন্য। ভদ্রলোক স্ত্রীকে প্রচন্ড ভালোবাসতেন তাই তিনি কোন আপত্তি করলেননা বরং খুশীই হলেন। তারপর ডাক্তার স্ত্রীকে কেবিনে শুইয়ে দিয়ে তার মাথায় একটা যন্ত্র পরিয়ে দিলেন। যা দ্বারা ব্যাথাটা মেন্টালি তার স্বামীর কাছে চলে যাবে। এরপর ডাক্তার বললেন, যেহেতু পুরুষরা এধরনের কন্ডিশনের সাথে পরিচিত না, তাই আমি প্রথমে ব্যাথাটা ১০% ট্রান্সফার করছি। এরপর আপনি যদি সহ্য করতে পারেন তো বলবেন আমি আরো বাড়িয়ে দেবো। ১০% ব্যাথায় ভদ্রলোকের কোন সমস্যা হচ্ছিলনা, তাই তিনি ডাক্তারকে বললেন লিমিটটা আরো বাড়িয়ে দিতে। ডাক্তার যন্ত্রটার লেভেল ৩০% এ সেট করলেন। কিন্তু ভদ্রলোক এরপরও বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ করলেন এবং ডাক্তার কে অনুরোধ করলেন লেভেলটা আরো বাড়িয়ে দিতে। ডাক্তার ভদ্রলোকের ব্লাডপ্রেশার দেখলেন, নাড়ির অবস্হা দেখলেন বিস্মিত হলেন যে ভদ্রলোকের সবকিছু স্বাভাবিক। এরপর তিনি পেইন ট্রান্সফার লেভেল ৫০% এ সেট করলেন। এভাবে বাড়াতে বাড়াতে শেষ পর্যন্ত যন্ত্রে পেইন ট্রান্সফার লেভেল ১০০% এ সেট করা হল। অবেশেষে মহিলাটি একটি সুস্হ সবল বাচ্ছা প্রসব করলো কোন রকম ব্যাথা বেদনা ছাড়াই। তারা ডাক্তারকে ধন্যবাদ দিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করলো। তারা যখন বাসায় ফিরে এলো তাদের মালিকে বাগানে মৃত অবস্হায় ফেলো।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ ভোর ৫:৩৬