উত্ত্যক্তকারীকে ছিনিয়ে নিলো ছাত্রলীগ, গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ নেতারা হামলা চালিয়ে এক উত্ত্যক্তকারীকে ছিনিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দুই ছাত্রলীগকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে ওই হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত এক পুলিশ কর্মকর্তা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তাররা হলেন� ছাত্রলীগকর্মী মামুন ও শাহীন। বৃহস্পতিবার সকালে মহানগরীর বায়েজীদ থানার কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
যাদের নেতৃত্বে বুধবার রাতে উত্ত্যক্তকারীকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় তারা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক আরশাদুল আলম বাচ্চু, কোষাধ্যক্ষ আবু নাসের আজাদ ও ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী সাইফুদ্দিন।
হামলায় আহত বায়েজীদ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহির হোসেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, রাত ১১টার দিকে বায়েজীদ বোস্তামী এলাকার কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকায় কিছু বখাটে যুবক ওই এলাকায় যাতায়াতকারী মহিলা ও তরুণীদের উত্ত্যক্ত করছিল। খবর পেয়ে বায়েজীদ থানার ওসি আবদুস সবুরের নেতৃত্বে কিছু পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে মোহাম্মদ বাবলু (২৮) নামে এক যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যেতে চায়।
এ সময় আরশাদুল আলম, আবু নাসের ও সাইফুদ্দিনের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন ছাত্রলীগকর্মী ও বখাটে বাবলুকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান বায়েজীদ থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, "একপর্যায়ে ছাত্রলীগনেতা বাচ্চুর নেতৃত্বে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বাবলুকে ছিনিয়ে নেয়।"
বখাটেদের ইটের আঘাতে এসআই জহিরের কপালের একটি হাড় ভেঙে গেছে বলে জানান এসআই আরশাদুল।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীল হোসেন মালি�ক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মাথায় আঘাত পাওয়া পুলিশ সদস্য জহির হোসেনের জ্ঞান ফিরেছে বৃহস্পতিবার বিকালে। তার অবস্থা পর্যায়ক্রমে উন্নতি হচ্ছে।
বায়েজীদ থানার ওসি আবদুস সবুর জানান, কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকায় স্থানীয় কয়েকটি তৈরি পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকরা বাসায় ফেরার পথে তিন বখাটে উত্ত্যক্ত করার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বাচ্চু, আজাদসহ অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে পুলিশ। মামলার অন্য আসামিরা হলেন� সাইফুল ইসলাম, সাইফুদ্দিন, বাবলু, সরওয়ার আলম, সোহেল, বেলায়েত, আলী হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, বোরহান উদ্দিন দীন ইসলাম, মামুন, হুমায়ুন, মো. শাহীন, মো. বাবু, বশির, সৌরভ।
ওসি সবুর বলেন, "পুলিশের ওপর হামলাকারীদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।"
তবে পুলিশের ওপর ছাত্রলীগকর্মীদের হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এমআর আজিম।
তিনি দাবি করেন, "হামলাকারীরা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। ওই এলাকায় যুবলীগ নামধারী মেহেদী হাসান ও ওয়াসা বাবুলের নেতৃত্বে কিছু সন্ত্রাসী এ ঘটনা ঘটিয়েছে।"
View this link