পুরষ্কার স্বরূপ শিক্ষক হয়ে ছিলাম প্রিয় বিদ্যাপীঠে।মৃত্তিকা বিগঞান বিভাগে।
বৃত্তি নিয়ে বৈদেশ গেছিলাম এম. এস পিএইচডি করতে। সে জা'গায় ও সাফল্য পেয়েছি। নামের অগ্রভাগে লাগিয়েছি ড:। '72 অধ্যাদেশের দেয়া অসীম স্বাধীনতা কাজে লাগিয়েছি।জাতীয়তাবাদী চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে চুটিয়ে করেছি রাজনীতি। ফলাফল আজ আমি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। প্রথম দিকটায় ক্ষমতা ছিল শূণ্য কিন্তুসম্মান অঢেল। ড্রইং রুমের সেীন্দর্যবাড়ানোর বস্তু ছিলাম অনেকটা।কিন্তু সময়, অবস্থা আর স্থান কাকে কখন কোথায় নিয়ে যায় কেউ জানে না। আজ বাংলাদেশের সমস্ত ক্ষমতা আমার এই দুই হাতে ।আমি চাইলেই রাজপথ রাঙাতে পারি জ্যান্ত মানুষের রক্তে। আমার ইশারায় রাজপথে পঙ্গপালের মার্চ করতে প্রস্তুত সৈন্যের দল। আমার আগমনে যানজটের পিচঢালা পথ মরুভূমির চেহারা নেয়।
একটা মানুষের জীবনে আর কি বাকী থাকতে পারে চাওয়ার! কিছুই না। কিন্তুআমার আছে।এত ক্ষমতার লোভ কে ই বা সামলাতে পারে। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া শরীর।চেয়ারে বসে ছাড়া নামাজ পড়তে পারি না।কথা বলতে গেলে জড়িয়ে যায়,যাকে বলি বুঝতে পারে না সে কিছুই। গিয়েছিলাম সিঙ্গাপুর সেখানকার হাসপাতালে ছিলাম অনেক দিন। ডাক্তার বলেছে বিশ্রাম নিতে। বলুন তো এ সময়ে এ অবস্থায় বিশ্রাম নেওয়া কি আমাকে মানায়? মোটেই না। তাই তো 15 জনের দায়িত্ব তুলে নিয়েছি নিজ কাধে।সামলাচ্ছি 15 টা মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব। পক্ষের লোক হয়েও প্রধাণ নির্দলীয় সরকারের। জনগনের জন্য কিছু করতে পারব কিনা জানি না তবে প্রাণের চেয়ে প্রিয় দলের জন্য যে কিছু করছি বা করতে পারছি তাতেই মনটা ভরে যাচ্ছে।
আমার জন্য দোয়া করবেন জীবনের বাকীটা সময় যেন এভাবে কাজের মধ্যে কাটিয়ে দিতে পারি।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:৫৩