দেশে যতটুকু উন্নতি হয়েছে, জিডিপি বেড়েছে এর কারণ হচ্ছে বড় বড় অবকাঠামো প্রজেক্ট গুলো হাতে নেওয়ায়। এসব অবকাঠামো প্রজেক্ট গুলোর কারণে দেশের মোট সম্পদ বেড়েছে কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ের যে মানুষগুলো আছে তাদের সম্পদ বাড়েনি। এখনো অনেক মানুষ আছে যাদের থাকার মত ঘর নেই, পুষ্টিকর খাওয়া খেতে পারেনা, বাচ্চাদের প্রাইমারি স্কুল থেকে হাইস্কুলে ভর্তি করাতে পারে না। এগুলো সার্বিক উন্নয়নের অবস্থা নয়।
শেখ হাসিনা তার দলের দুই তিনজনকে একটু বাজিয়ে দেখেছেন, এদের থলে থেকে যে পরিমাণ সম্পদ বের হয়েছে এগুলো থেকে আন্দাজ করা যায় কি পরিমান অর্থ, সম্পদ অলস পড়ে আছে। আপনি যেভাবেই অর্থ আয় করেন না কেন, সেগুলোকে যদি আপনি অতিরিক্ত সময় ধরে জমিয়ে রাখেন, হাত বদল না করেন তাহলে অর্থনীতিতে সুষম উন্নয়ন হবে না। যাদের কাছে অর্থ নেই তারা অর্থ উপার্জনের পথ খুঁজে পাবেনা।
জে.কে শামীম নামের একজনের কাছে যে পরিমাণ অর্থ পাওয়া গিয়েছে সেগুলো দিয়ে লক্ষ বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যেত। জে.কে শামীম টাকা রাখার মত জায়গা না পাওয়ার কারণে এক পর্যায়ে স্বর্ণ কিনা শুরু করে! কি ভয়ংকর ব্যাপার চিন্তা করতে পারছেন?
আরেকজন নজরদারিতে আছে, নাম সম্রাট। নাম যেমন কাজও ঠিক তেমন, উনি নাকি প্রতিমাসে সিঙ্গাপুরের ক্যাসিনোতে চার কোটি টাকার জুয়া খেলেন। সিঙ্গাপুরের ক্যাসিনোতে জুয়া খেলা অপরাধ নয়, কিন্তু উনি যে টাকাগুলো বাইরে নিয়ে যাচ্ছে এটা খুব বড় ধরনের অপরাধ। এভাবে দেশের টাকা যখন অবৈধভাবে বাহিরে চলে যায় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আস্তে আস্তে থমকে যায়।
শেখ হাসিনার নির্দেশে এইরকম অভিযান চালানোর পর থেকে আপনি দলের এমপি-মন্ত্রী, দলীয় নেতাদের কথাগুলো খেয়াল করেছেন? তারা খুব অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা শুরু করেছে। কোন দুর্নীতি ধরা পরলে এরা জামাত-বিএনপি ঢুকিয়ে দেয়, তারেক রহমানকে টেনে আনে, হাওয়া ভবনের কথা বলে। এগুলি বলে আসলে এরা পার পেতে চায়। এদের কথা থেকে আন্দাজ করা যায় এরা সবাই অবৈধভাবে অনেক সম্পদ জমিয়েছে!
জে.কে শামীম ও সম্রাট জুয়া,চাঁদাবাজি থেকে অর্থ উপার্জন করলেও বাকি এমপি মন্ত্রীরা সরকারি আমলাদের সাথে যোগসাজশে, বিভিন্ন প্রজেক্টের বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে অবৈধ উপার্জন করে থাকে। দেশের সাধারণ মানুষের হাতে নগদ অর্থের পরিমাণ দিন দিন কমে আসছে, এতে বুঝা যায় অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থের সিংহভাগ দেশে থাকছে না, বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৩