
৮ আগস্টের পর থেকে দেশজুড়ে নানা ধরনের অপরাধ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যা আমরা প্রত্যক্ষ করছি, তার জন্য আমি কেনো বিএনপিকে প্রশ্ন করবো? বিএনপি এখন ক্ষমতায় নেই, রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বও তাদের হাতে নেই। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন করবো আমি তাদের প্রতি, যারা আজ সরকারে আছে, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে।
যেদিন বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবে, সেদিন যদি এ ধরনের অনিয়ম, অপরাধ, কিংবা জনজীবনে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেয়, তখন আমি তাদেরকে এসব নিয়ে প্রশ্ন করবো বিনা একই ভাবে। কিন্তু আজ যারা রাষ্ট্রযন্ত্রের কর্তৃত্বে, প্রশাসনের নিয়ন্ত্রক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডে, তাদের দ্বারাই তো এখন দেশের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত হওয়ার কথা।
চীনা কৌশলবিদ সানজু তাঁর 'আর্ট অব ওয়ার' বইয়ে লিখেছে,
"যদি সৈন্যরা কমান্ডারের আদেশ না মানে, তবে সেটিও কমান্ডারের ব্যর্থতা।"
এই কথার মানে বুঝতে পারছেন? যুদ্ধক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য না এলে এর দায় পড়ে জেনারেলের ওপর, সৈন্যদের ওপর নয়। কারণ নেতৃত্ব ব্যর্থ হলে, পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়, নির্দেশনা ভেঙে পড়ে, এবং সে ব্যর্থতা পুরো কাঠামোকে নতজানু করে। এজন্য দেখবেন যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ব্যর্থতার জন্য জেনারেলকে সরিয়ে দেওয়া হয় সৈন্যবাহিনীকে নয়।
আমাদের সমাজও আজ এক ধরনের যুদ্ধক্ষেত্র মাদক, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, দুর্নীতি, সহিংসতা—সবই একেকটা যুদ্ধ। আর এই যুদ্ধের জেনারেল হলো ড. ইউনুস ও তার সঙ্গীরা। তারা যে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করছে না অথবা দক্ষতা দেখাতে পারছে না, তার দায়ভারও তাদেরই নিতে হবে।
সব দলের বিরোধিতা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ ১৫ বছর ক্ষমতার টিকতে পেরেছে কিন্তু সব দলের সমর্থন পেয়েও ড. ইউনুস কেনো ১০ মাসে সব তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে!
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


