
বিপ্লব, গণভূর্থ্যান, আন্দোলন—এসব শব্দে যতই উত্তেজনা থাকুক, বাস্তবতা বুঝতে না পারলে বিপ্লব ব্যর্থ হবেই। বিপ্লবীদের ব্যর্থ করতে প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে " বিপ্লবীদের মোটাতাজাকরণ প্রকল্প"।
না, এটা কোনো প্রাণী পালন বিভাগের উদ্যোগ নয়। এটি হলো ক্ষমতার ভেতর থেকে বিপ্লবীদের নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার সবচেয়ে কার্যকরী ও পরীক্ষিত ফর্মুলা।
ধাপ ১: পুষ্টিকর খাবার, আদর্শ-হীন জীবন।
বিপ্লবীদের সবার আগে সরবরাহ করা হয় চর্বিযুক্ত, সুস্বাদু, দামী দামী খাবার।
দিনে তিনবেলা মাংস, মাঝে মাঝে বিদেশি কফি, এয়ার কন্ডিশনড অফিস, বাসা, আরামদায়ক চেয়ার ও ডাইনিং টেবিল বসে তৃপ্তি সহকারে খাওয়া।
এক সময় যারা গলা ছেড়ে বলতো, “এটা আমাদের অধিকার!”, তারাই বলা শুরু করে “দেখেন, সবকিছুরই একটা প্রসেস আছে।”
ধাপ ২: সাপ্লিমেন্টরি ক্ষমতা: একটু একটু করে শাসক বানিয়ে ফেলা।
এরপর দেওয়া হয় সিম্বলিক অথরিটি।
পদ-পদবী দেওয়া হয়, ঘাড়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ‘মাননীয়’ তকমা, দেওয়া হয় নজিরবিহীন নিরাপত্তা। তারা ভাবা শুরু করে আমাদের কথাতেই এখন দেশ চলছে!” কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো—তাদেরকে সিস্টেমের অংশ বানিয়ে ফেলা হচ্ছে।
এবং সিস্টেমের অংশ হয়েই বলতে থাকে,
“আমরা তো চেষ্টা করছি... কিন্তু বাস্তবতা কঠিন!”
ধাপ ৩: হানি ট্র্যাপ – শেষ পেরেক
যদি কেউ এখনও সচেতন থাকেন, তাকে দেওয়া হয় হানি ট্র্যাপ।
এখানে মধু যেমন থাকে, তেমনি থাকে বিষাক্ত ফাঁদও। এই ফাঁদে পড়ে অনেক বিপ্লবী হারিয়ে ফেলেন নিজের সম্মান, পরিবার, আদর্শ, ইতিহাস সব!
তাদের ফাঁসিয়ে রাখা হয় নানা ভিডিও, স্ক্যান্ডাল, দুর্নীতির প্রমাণে। আর তারপরে তারা হন “নিরব বিপ্লবী”, যারা নখ দন্তহীন বাঘের মত।
এবার আমাদের ২৪-এর বিপ্লবীদের সাথে মিলিয়ে নেন, তৃতীয় ধাপ অর্থাৎ হানি ট্র্যাপ পর্যন্ত মনে হয় আসা লাগবেই না!
আমাদের সাম্প্রতিক ইতিহাসে যাঁরা সামনে ছিলেন—তাঁদের দেহের দিকে তাকান, কিছু কি মেলানো যায়?
বিপ্লবীদের শরীরে মেদ জমেছে, কথাবার্তা সিস্টেমের অংশের মতোই শুনায়, দেশের ইতিহাস ভুলে যাওয়া, কঠোর নিরপত্তা নিয়ে চলাচল, প্রসাশনিক ক্ষমতার ব্যবহার, দুর্নীতি সবই তাদের ঘিরে ফেলেছে এখন শুধু নাটাই টান দেওয়ার অপেক্ষায়!
(পোষ্টটি শুধু যারা ২৪ এর জুলাই/আগষ্টকে বিপ্লব মনে করেন তাদের জন্য)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


