
পুতিন সম্প্রতি তার এক ভাষণে বলেন:
"আমি ইউক্রেনের জনসাধারণের কান্না দেখে মোটেও বিচলিত নই। কারণ আমি ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়ান বৃদ্ধ নারী শিশুদের বিবস্ত্র কান্না দেখে দেখেই বড় হয়েছি। ধিক্কার জানাই ইউরোপ তথা পশ্চিমা বিশ্বকে তখন কোথায় ছিলো তাদের মানবিক নিষেধাজ্ঞা"। -পুতিন।
পুতিনের এই ভাষণের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছে এ কথা সত্য। এজন্য যারা মানবতার খোড়া যুক্তি দেখিয়ে মায়া কান্না শুরু করছেন তাদেরকে বলছি;
ইউক্রেন অতীতে বা সাম্প্রতিক সময়ে এমন কোন উদাহরণ রাখেনি যাতে তার প্রতি মায়া জন্মাবে। যদি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ না করতো তবে কিছুদিন পর ইউক্রেনের মাটি ব্যবহার করে ন্যাটোর ছদ্মবেশে আমেরিকা রাশিয়া ধ্বংস করত। তবে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন জীবিত থাকলে আমেরিকা ইরাক ধ্বংস করার সাহস পেত না।
তাই পৃথিবীতে ক্ষমতার ভারসাম্য দরকার। গরীব এবং কমজোর দেশগুলির জন্য একটা না একটা জায়গা থাকা দরকার। রাশিয়া সেই জায়গা। কাজেই রাশিয়ার পক্ষে কথা বলা মোটেই মানবতার বা বিবেকের খেলাপ নয়। পৃথিবীটা শক্তের ভক্ত নরমের যম। অন্য কথায় সারভাইভ্যাল অব দ্যা ফিটেষ্ট বা জোর যার মুল্লুক তার। মানবতার ফাঁকা বুলি এখান্র নীরবে নিভৃতে গুমরে কাঁদে। মানবতার দোহাই দিয়ে কুম্ভিরাশ্রু বিসজ'নকে মাছের মায়ের পুত্র শোক বলেই প্রতিয়মান হয় বোদ্ধাদের কাছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



