সাত দোষে বান্দা মরে আল্লাহর হয় দোষ
সর্ব দয়ার শরীরেও কিছু আক্রোশ
অবশিষ্ট ছিল মনেহয় ।
যাইহোক, পাট কেলানোর সময়
আর ভুট্টা বেচনের প্রহরে
টেংরাকান্দির টকটকা রইদের চরে
শ্যাম রঙ্গা এক বেটা ছইল
নাম আতারুল
মায়ের নাকে হলুদ নাকফুল
পাতলা চোপা আর ঢালুয়া খোপা
খেপে আকাশের পানে কইল
'মরার বেটা, একনা বৃষ্টিও হয় না।
ঝাঁটা মারম তোর কপালত।'
সেদিন রাইতত
কাহারের আর ঘুম হল না।
পরদিন সকালে আলো ফুটল না একটুও ।
ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে গেলো চকচকা টিনের চাল।
দিনভর বৃষ্টি হল।
রেণু আর ধানীতে ভরে উঠল ব্রহ্মপুত্রের বুক
ভেদাই মাছের ঝোল তরকারি
আর ডাটা কচুর চচ্চরি খেয়েদেয়ে
আজিমুদ্দি তাম্বুল গুবাকে ভরিয়ে নিল গাল
আর এনডিয়ার জল বেসামাল
কলকল ছলছল
মিশে গেল তিস্তার পানিতে।
মিশে গেলো ব্রহ্মপুত্রে।
মিশে গেলো সাহাবুদ্দিনের মুতের সাথে।
তারপর সেই জল ছুইয়ে দিলো বলদী বাধের বট পাকুড়ের চরণ।
আকলিমার কোমরে জোঁক
চারপাশে ছোট ছোট দুমুখো
এর চে' ভালো মরণ
'আল্লাহগো বাচাও।'