somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চাঁদগাজী/সোনাগাজীর সফল ব্লগিং এর রহস্য কী!

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


তাঁর আসল নাম কি তা জানি না। তবে কিছুদিন আগেও উনার নাম ছিল চাঁদগাজী! এখন উনার নাম সোনাগাজী।
উনি একজন সফল ব্লগার। উনি যা লিখে সবই আলোচিত পাতায় হুড়মুড়িয়ে চলে আসে।
উনার এ সফলতার পেছনে এমন কিছু ফ্যাক্ট আছে যা আপনি হয়তো জানেন না। কিংবা জানতেও পারেন, আর পুরোপুরি না জানলেও কিছুটা অনুমান তো নিশ্চয়ই করতে পারেন। যাকগে, আসুন তাঁর সফলতার ফ্যাক্ট নিয়ে আজ আমরা কিছু আলোচনা করি।
এই লোকটার একদমই ইউনিক কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। উনার এসকল বৈশিষ্ট্য ফলো করলে আপনিও উনার মত সফল ব্লগারে পরিণত হতে পারেন!

সোনাগাজী ইগোমুক্ত মানুষ
মাঝে মাঝে উনার "আমি যা বলি তা ঠিক, বাকি সব বেঠিক" মার্কা মন্তব্য দেখে আপনার মনে হতে পারে উনি খুব অহংকারী এবং উনার ইগো অনেক। এটা ভুল ধারণা! এটা কেন ভুল তাও বুঝিয়ে বলছি।
ব্লগে উনি আসার পর অনেক ব্লগার এলেন গেলেন। কেউ কেউ সামুর বিধি বহির্ভুত মন্তব্য করার কারণে একবার ব্যান খেয়ে ব্লগ ত্যাগ করেছেন। কেউ কেউ অন্য ব্লগারদের কথায় রাগ করে অভিমানী হয়ে ব্লগ ত্যাগ করেছেন। এক্ষেত্রে সোনাগাজী সাহেব একমাত্র ব্যতিক্রম। উনাকে সামুর মডুগণ এই পর্যন্ত কতবার ব্লগ থেকে ব্যান মেরেছে উনি নিজেও জানেন না। কিন্তু উনি মোটেও লজ্জা পাননি। আবার ফিনিক্স পাখির মতো গজিয়ে উঠেছেন নতুন নিক নিয়ে!
আপনি যদি এরকম লজ্জাহীন ও ইগোমুক্ত মানুষ হয়ে থাকেন, নিশ্চয়ই ব্লগে আপনিও সফলতা পাবেন।

সোনাগাজী ব্লগে প্রচুর টাইম দেন
দিনে চব্বিশ ঘণ্টার মাঝে যতবার আপনি ব্লগে ঢুকবেন ততবার উনাকে অনলাইনে দেখবেন!
এটার একটা কারণ আছে। উনি আসলে একজন বৃদ্ধ লোক। উনি এতটাই বয়স্ক লোক, যেরকম বয়স্কদের দেখলে সবাই বলে উঠে, "লোকটার দুই পা কবরে চলে গেছে।" সাধারণত এই বয়সে উপনীত হলে লোকেরা পরকালমুখী হয়ে যায়। সব কাজ ফেলে মানুষ তখন নিয়মিত নামায কালামে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু সোনাগাজী সাহেব নামায কালাম পড়েন না। কারণ আসলে তিনি ধর্ম এবং আল্লাহ খোদাতে মোটেই বিশ্বাস করেন না। এদিকে এই বুড়ো বয়সে উনার অন্য কিছু করারও নেই। তাই তিনি পুরোপুরি ব্লগমুখী হয়ে আছেন।
আপনি যদি উনার মতো সব কাজ কর্ম ফেলে ব্লগে সময় দিতে পারেন তাহলে নিশ্চিত আপনিও সফল হবেন।



ভিন্নমতাবলম্বীদের প্রতি তিনি খড়গহস্ত
সোনাগাজীর বিশেষ আরেকটা গুণ হলো, নিজের মতের সাথে মিল না হলে তিনি অত্যন্ত কঠোরভাবে সবাইকে হেয়জ্ঞান করতে পারেন। সাধারণত বেশি বয়সীরা এধরনের হয়ে থাকে। মানুষ বেশি বয়সে উপনীত হলে অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করতে পারার গুণটি হারিয়ে ফেলে। উনিও হারিয়ে ফেলেছেন। তবে এটা আবার তিনি বুঝেন না; ঐ যে, বেশি বয়স হয়ে পড়লে যা হয়।
এটা অবশ্য আপনারা চাইলেও হয়ত পারবেন না। এই জিনিসটা সামুতে একমাত্র উনার মাঝেই দেখা যায়।


তিনি ধৈর্যশীল পাঠক
হাতে কোন কাজ না থাকায় তিনি বিস্তর মনোযোগ দিয়ে ব্লগের লেখাগুলো পড়ে থাকেন।
আগেই বলেছি, এই বয়সের মানুষ সাধারণত কুরআন হাদিস, তাসবিহ, নামায ইত্যাদি পড়ে সময় ব্যয় করে থাকেন। তবে আল্লাহ/ঈশ্বরে বিশ্বাস না থাকার কারণে উনি এসব পড়েন না। বরং তিনি অত্যন্ত খুশু খুজু (মানে মনোযোগ) সহকারে বসে বসে ব্লগ সমূহ পড়ে থাকেন।
আপনারাও যদি উনার মতো কাজ কম্ম ফেলে সারাদিন ব্লগের সকল পোস্ট পড়েন তাহলে ব্লগে সবার মাঝে পরিচিত হয়ে উঠবেন, এতে সহজেই সফলতা আসবে।

তিনি একজন জ্ঞানী
রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে তিনি যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন। তাই ছোটখাটো কিছু বানান ভুল করলেও লিখতে উনি কখনো আঁটকে যান না।
এই বিশেষ গুনের কারণে হরদম তিনি লিখে যেতে পারেন।

অন্য ব্লগারদের প্রতি তিনি আন্তরিক
এটা অনস্বীকার্য! এই বিশেষ গুণটি ব্লগে একমাত্র উনার মাঝেই দেখা যায়। অন্য ব্লগারদের সাথে স্বভাবগত কারণে উনার ক্যাচাল লাগলেও সকল ব্লগারের প্রতি উনার এক ধরনের কেমন যেন আন্তরিকতা আছে। উনাকে দিনরাত হেনস্তা করত কিছু ব্লগার, মাঝে মাঝে এসকল ব্লগারের রিপোর্টে উনি ব্যান পর্যন্ত খেয়ে গিয়েছিলেন। অথচ আশ্চর্যের ব্যপার, ওরা যখন জেনারেল পদ পেয়ে গিয়েছিল তিনিই আবার ব্লগের মডুদের কাছে উনাদের জন্য সুপারিশ করেন। কিংবা কেউ ব্যান খেয়ে গেলে উনিই আফসোস করতেন।
এই গুণটি আমাদের সকল ব্লগারের মাঝেই থাকা উচিৎ!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫১
৩৭টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×