somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজ মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গণী ওসমানীর ২৯ মৃত্যুবার্ষিকী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী আজকের তরুণ সমাজ মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এই মহান বীরের কথা কয়জনে জানি বা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আজ খুব মনে পড়ছে জেনারেল ওসমানীর সেই ঐতিহাসিক উক্তি- যখন তুখোড় ট্যালেন্ট বাংগালী ছেলে ওসমানীকে জেনারেল রেঙ্ক দিতে বাধ্য হয়ে পাকি জেনারেল তাচ্ছিল্য করে বলেছিল ‘তোমার হাইট যেখানে রিকয়ারমেন্টের থেকে কম সেখানে কীভাবে সাহস কর জেনারেল রেঙ্ক নিতে?’
ওসমানী সোজা তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলেছিল- ‘Napoleon was two inches lower than me!!’

সেই জেনারেলের চেহারা তখন কেমন হয়েছিল কল্পনা করে খুশীতে গর্বে যে আমরা উদ্দীপ্ত হয়ে উঠি।

আজ মরহুম বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর ২৯তম মৃত্যু বার্ষিকী। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৮৪ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি লন্ডনের সেন্টপল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলার এই বীর। ২০ ফেব্রুয়ারি সামরিক মর্যাদায় তাঁর ইচ্ছায় তাঁকে শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়। তিনি এখানেই শায়িত।



মরহুম বঙ্গবীর আতাউল গণি ওসমানী এমন এক ব্যক্তিত্ব, যিনি তাঁর জীবন কর্মকালীন এবং চিন্তা-ভাবনা দেশ ও জাতির জন্য উত্সর্গ করে অমর হয়ে রয়েছেন এ দেশবাসীর হৃদয়ে।
খান বাহাদুর মফিজুর রহমান ও জুবেদা খাতুনের দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ছেলে ওসমানী ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর পিতার কর্মস্থল সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক স্থায়ী নিবাস সিলেট থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে বালাগঞ্জ থানার দয়ামীর নামক স্থানে।
পিতার চাকরির সূত্রে তাঁর শৈশব-কৈশোর কেটেছে বিভিন্ন জায়গায়। তাই কিছুদিন পর বদলির আদেশ নিয়ে সুনামগঞ্জ থেকে চলে যেতে হয় গোহাটিতে৷ আর সেখানেই ওসমানীর প্রাথমিক শিক্ষার শুরু হয়৷ তিনি ১৯২৩ সালে 'কটনস্ স্কুল অব আসাম'-এ ভর্তি হন ৷ অসাধারণ মেধাবী ও বহু গুণের অধিকারী বালক ওসমানী স্কুলের প্রত্যেক পরীক্ষায় প্রথম হতেন৷ ১৯৩২ সালে ওসমানী সিলেট গভর্নমেন্ট পাইলট স্কুলে ভর্তি হন৷ ত‍কালীন সময়ে সিলেটের এই স্কুলটি 'ক্যালকাটা ইউনিভর্সিটির' অধীনে ছিল৷ ১৯৩৪ সালে সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন অসাধারণ কৃতিত্বের সাথে৷ সমগ্র ব্রিটিশ ভারতে তিনি প্রথম স্থান লাভ করেন৷ এই অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ব্রিটিশ সরকার এম. এ. জি. ওসমানীকে প্রাইওটোরিয়া পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করে। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন ১৯৩৮ সালে।তিনি নিজ মেধা বলে ১৯৩৯ সালে ক্যাডেট হিসেবে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। তারপর ১৯৪০ সালে ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমি দেরাদুন থেকে সামরিক শিক্ষা শেষ করে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মিতে কমিশন অফিসার হিসেবে নিয়োজিত হন। নিজ কীর্তি ও কার্যকলাপের মাধ্যমে যোগ্যতা প্রদর্শন করে ১৯৪১ সালেই দ্রুত পদোন্নতি লাভ করে ক্যাপ্টেন ও ১৯৪২ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে মেজর পদে উন্নীত হন। এত অল্প বয়সে এ পদের মর্যাদা এর আগে আর কোনো সেনা অফিসারের ভাগ্যে জুটেনি। এটা এক বিরল সম্মান।



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে ওসমানী বিভিন্ন রণাঙ্গনে অত্যন্ত বীরত্ব, ত্যাগ, সাহস ও রণনৈপুণ্যের পরিচয় দেন। এরই মধ্যে তিনি ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে আইসিএস ক্যাডারে নিযুক্তি লাভ করেন। কিন্তু জওহরলাল নেহরু কর্তৃক আমন্ত্রিত হয়েও তিনি কূটনৈতিক পদ গ্রহণের প্রস্তাব বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেন।

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর তিনি পাকিস্তানে পাক সেনাবাহিনীর গঠন কাজে শরিক হন। এ সময় তিনি দক্ষতা, সাহসিকতা ও ধৈর্যের সঙ্গে কর্তব্য পালন করে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত হন। জেনারেল ওসমানী বিভিন্ন বিভাগে সমন্বয়, কার্যনীতি, অধীনস্থ বিভাগের অফিসার আমলাদের নিয়োগ, পরিকল্পনা ইত্যাদি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৮ সালে তিনি পিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। ওসমানী এ সময় থেকে বিভিন্ন ব্রিগেডের ট্রেনিং টিমের ভারপ্রাপ্ত অফিসার নিযুক্ত হন এবং বিভিন্ন সেনাদলকে যুদ্ধক্ষেত্রের কৌশল শিক্ষাদানে তত্সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থা, যুদ্ধ প্রস্তুতি, পরিচালনা সম্পর্কে উন্নত প্রণালী অবহিত করান।


চট্টগ্রাম সেনানিবাসের প্রতিষ্ঠাতা ওসমানী ১৯৫১ থেকে ’৫৫ সালের ভেতর বিভিন্ন সময়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, যশোরসহ এ অঞ্চলের সেনানিবাসগুলোর স্টেশন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ সালের মে মাসে কর্নেল পদে উন্নীত হন এবং দেশ রক্ষা পরিকল্পনা ও সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ের সংযোজন কাজে আত্মনিয়োগ করেন। এ সময় তিনি সেন্টো ও সিয়াটোর বিভিন্ন বৈঠকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৬১ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রতিনিধি ও মুখপাত্র মনোনীত হন। ১৯৬৪ সালের সামরিক বিভাগের আধুনিক ব্যবস্থা এবং বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন মূল্যায়নের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং ক্ষেপণাস্ত্র, গোলন্দাজ, সাঁজোয়া, পদাতিক বাহিনী ও বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষের অস্ত্রের বিপক্ষে নিরাপত্তা বাহিনী এবং পেন্টাগনে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। ১৯৬৫ সালে ওসমানী পাক-ভারত যুদ্ধে পশ্চিম রণাঙ্গনে ডেপুটি ডাইরেক্টর অব মিলিটারি অপারেশন হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করে কৃতিত্বের পরিচয় দেন। তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দুটি ব্যাটালিয়নের স্থলে ৬টি ব্যাটালিয়ন গঠন করেন। অনেক প্রতিরোধ ও প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েও তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উন্নয়ন এবং সেনাবাহিনীতে বাঙালি সৈন্যের কোটা বৃদ্ধির ব্যাপারে সফলকাম হন।
পাক সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের আগে ওসমানী তত্কালীন সর্বাধিনায়ক জেনারেল ইয়াহিয়ার কাছে পাকিস্তানের বাঙালি সৈন্যদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানকল্পে সুচিন্তিত ও বিস্তারিত সুপারিশমালা প্রদান করেন।


১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে পাকিস্তান থেকে স্বাধীন করার জন্যে স্বাধীনতা শুরু হয়। এই সময় সাধারণ মানুষ, ছাত্র, আনসার, পুলিশ, ইপিআর এবং বাঙালি সেনাসহ সব বাহিনীর লোক নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ওসমানী অত্যন্ত ধৈর্য, দক্ষতা, সতর্কতার সঙ্গে জাতির এ বিপর্যয়ের সময় মুক্তিবাহিনীর নেতৃত্ব দেন। অসীম সাহস, বীরত্ব ও দক্ষতার জন্য ১৯৭১ সালে ১২ এপ্রিল ওসমানীকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। রণনীতির কৌশল হিসেবে প্রথমেই তিনি সমগ্র বাংলাদেশকে ভৌগোলিক অবস্থা বিবেচনা করে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে নেন এবং বিচক্ষণতার সাথে সেক্টরগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন৷ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দক্ষতা এবং সংখ্যা বিবেচনা করে ওসমানীর রণকৌশল ছিল প্রথমে শত্রুকে নিজেদের ছাউনিতে আটকে রাখা এবং তাদেরকে যোগাযোগের সবগুলো মাধ্যম হতে বিছিন্ন করে রাখা৷ মে মাসের পর তাঁর মনে হয় প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কমসংখ্যক সৈন্য নিয়ে শত্রুকে ছাউনিতে আটকে রাখা গেলেও ধ্বংস করা সম্ভব নয়৷ এ বিষয়টি তিনি সরকারকে জানিয়ে যুদ্ধে কৌশলগত পরিবর্তন করে প্রাক্তন ইপিআর এর বাঙালি সদস্য, আনসার, মোজাহেদ, পুলিশ বাহিনী ও যুবকদের নিয়ে একটি গণবাহিনী বা গেরিলাবাহিনী গঠন করেন।
মুক্তির সংগ্রামে এম, এ. জি. ওসমানীর হাতে কোনো নৌবাহিনী ছিল না। তবে নিয়মিত নৌবাহিনীর কিছু অফিসার এম. এ. জি. ওসমানীর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতেন৷ তাছাড়া ফ্রান্সের জলাভূমিতে থাকা পাকিস্তানের ডুবোজাহাজের কিছু সংখ্যক কর্মীও মুক্তিবাহিনীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন৷ কিছুদিন পর এম. এ. জি. ওসমানী তাদের এবং কিছু সংখ্যক গেরিলা যুবক নিয়ে একটি নৌ-কমান্ডো বাহিনী গঠন করেন। আগস্টের মাঝামাঝিতে তাঁরা নদীপথে শত্রুর চলাচল প্রায় রুদ্ধ করে দেন। নৌবাহিনী গঠনের ফলে একটা বড় ধরনের সংকটের অবসান হলেও দেশ স্বাধীন হবার আগে আগে আরও একটা সঙ্কট এম. এ. জি. ওসমানী অনুভব করেন। সেটা হচ্ছে তাঁর হাতে কোনো বিমানবাহিনী ছিল না। শেষের দিকে দুটি হেলিকপ্টার, ও একটি অটার আর তাঁর নিজের চলাচলের জন্য একটি ডাকোটা নিয়ে ছোট্ট একটি বিমানবাহিনী গঠন করেছিলেন তিনি৷
পাকিস্তানী বাহিনী ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী অনুপস্থিত ছিলেন।



আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে কেন ওসমানী উপস্থিত ছিলেন না বা থাকতে পারেননি তার সুস্পষ্ট ও গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা তার পক্ষ থেকে কোনো দিন পাওয়া যায়নি। তাঁর অনুপস্থিতি পরবর্তীতে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এটিকে "দুঃখজনক" বিষয় হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সে সময় জেনারেল ওসমানী মুক্ত এলাকা সিলেটে অবস্থার করছিলেন এবং ভারতীয় সামরিক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়েছে তাঁকে ঢাকায় আনার জন্য প্রেরিত হেলিকপ্টারটি ভুল পথে চলে গিয়েছিল।
জেনারেল ওসমানীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও রণকৌশল অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে দুর্ধর্ষ পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর। বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী আজ আমাদের মধ্যে নেই। মৃত্যু সবার জন্যই অনিবার্য। কাজেই তাঁর বেলায়ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, গণতন্ত্রের আপোষহীন সৈনিক, আজীবন গণতন্ত্রী, সংকল্পে অটল, নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক, পরমতসহিষ্ণু, সততা, কর্মনিষ্ঠা ও সময়ানুবর্তিতার আদর্শ পুরুষ আতাউল গণি ওসমানী কখনও কোন ধরনের লোভ-লালসার শিকার হননি। স্পর্শ করতে পারেনি কোন অসাধু পন্থা। দেশে গণতন্ত্রের বিকাশই ছিল তার আজীবন এক সাধনা। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন এবং জাতির সংকটময় মুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হয়ে দেশকে আশু ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। জাতির সংকটময় মুহূর্তে তার মত জাতীয় নেতা বাংলাদেশে বড় বেশি প্রয়োজন।


আমাদের মুক্তির জন্য, আমাদের স্বাধীনতার জন্য, আমাদের জাতিসত্তার মর্যাদার জন্য যারা আত্মোসর্গের ইতিহাস সৃষ্টি করে গেছেন আমরা তাদের জন্য কি করতে পেরেছি? যে ওসমানী সময়ানুবর্তিতা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ধারক ও বাহক ছিলেন, যিনি মূল্যবোধ সৃষ্টির অনুকূলে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন—যিনি নিজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাতির ক্রান্তিলগ্নে বৃহত্তর স্বার্থে, সার্বিক কল্যাণের জন্য শতবাধা-বিপত্তিকে উপেক্ষা করে এগিয়ে এসেছেন বেঁচে থাকার শেষ দিন পর্যন্ত, তাঁর জন্য মৃত্যুর পর আমরা কি করতে পেরেছি? তাঁর মহান আদর্শকে, তাঁর জীবনের শিক্ষণীয় দৃষ্টান্তগুলোকে আমরা যদি কিছুমাত্র অনুসরণ করতে পারি এবং নিজের জীবনে তাঁর অমূল্য আদর্শের সামান্যতম প্রতিফলন ঘটাতে পারি তবেই তাঁর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন সম্ভব হতে পারে।

১৯টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×