somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ওবাইদুল্লাহ ওবাইদ
কৈশোর থেকে সাহিত্য চর্চা করি। সোশ্যাল একটিভিস্ট হয়ে ওঠা স্বপ্ন ছিল না। প্রত্রিকার সম্পাদনা রবের পক্ষ থেকে অনন্য জিম্মাদারি। পত্রিকা চালাতে গিয়ে স্বৈরাচারের একাধিক মামলায় যুক্ত হওয়াটাও খোদা ইচ্ছে। ধর্মকে যেমন ভালোবাসি, তেমনই ধর্মের নামে অধর্মকে চরম ঘৃণা ক

জুলাই বিপ্লব ও দেশের মানুষের মুক্তিতে হেফাজতের ভূমিকা

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


হাসিনা সরকারের স্বৈরতন্ত্রের গোড়ায় বৃহৎ আকারে প্রথম চ্যালেঞ্জ করেছিল ১৩ সনের ৫ মে হেফাজতে ইসলাম। মূলত ২৪ এর স্বাধীনতা যুদ্ধটা হেফাজত ‍শুরু করে ১৩ সনেই। এরপর নানা পরিক্রমায় জেলজুলম, নির্যাতন ও হয়রানি সয়ে যায় দলটি। দলটির কিছু লোক সরকারের দালালিতে যুক্ত হওয়ার পর মজলুম আলেমদের জন্য দুনিয়া আরো সংকোচিত হয়ে আসে। তার ভয়াবহতা চরম আকারে ধারণ করে ২০২১ সনের মোদীর আগমনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে আলেম উলামা ছাত্রতলাবাদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করার মাধ্যমে। এ লড়াই হেফাজত একাই লড়েছে। একাই ভুগেছে সব যন্ত্রণা।

এরপর সরকারের উপর যতবার মানুষ অতিষ্ঠ হত, তাকিয়ে থাকত হেফাজত কখন কী বলে না বলে। কিছু না বললেও এই হেফাজতের উপর মানুষ ক্ষুব্ধ হত। হয়ত ভালবাসত বেশি। সেই ভালবাসার অধিকারে চাওয়াটাও একটু বেশি থাকত। কিন্তু অনেক সময় পরিস্থিতির কারণে চুপ থাকার কারণে শুনতে হয় নানা কথা। যেন জালিম মুক্তির সকল দায়িত্ব কেবল হেফাজত নিয়েছে। তবুও হেফাজতে সময়ে সময়ে বারবার এ জাতিকে জাগ্রত করে গেছে নিরলসভাবে। দীর্ঘ সময় যার কাণ্ডারির ভূমিকায় ছিলেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী রহ.।

দীর্ঘ এগার বছর পর আবারও এলো সেই ক্ষণ। এবার প্রথম জেগেছে ছাত্র-জনতা। তাদের সাথে সঙ্গ দিতে ভুল করেনি হেফাজত। জেগেছে দেশের সর্বস্থরের জনগণ। এই আন্দোলনে জাতির বহুদিনের প্রত্যাশার পূরণ হয়। একতাবদ্ধ হওয়ার জন্য হেফাজত এত বছর আহ্বান করলেও জাতি অবশেষে তার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করল। সেই তের সন থেকে আজ পর্যন্ত স্বৈরচার বিরোধী আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছেন, যারা আহত হয়েছেন, যারা জেল জুলুম ও মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন তাদের কৃতজ্ঞতা আদায় করে শেষ করা যাবে না। সকলকে মহান আল্লাহ উত্তম বদলা দান করুক।
হাসিনা সরকারের স্বৈরতন্ত্রের গোড়ায় বৃহৎ আকারে প্রথম চ্যালেঞ্জ করেছিল ১৩ সনের ৫ মে হেফাজতে ইসলাম। মূলত ২৪ এর স্বাধীনতা যুদ্ধটা হেফাজত ‍শুরু করে ১৩ সনেই। এরপর নানা পরিক্রমায় জেলজুলম, নির্যাতন ও হয়রানি সয়ে যায় দলটি। দলটির কিছু লোক সরকারের দালালিতে যুক্ত হওয়ার পর মজলুম আলেমদের জন্য দুনিয়া আরো সংকোচিত হয়ে আসে। তার ভয়াবহতা চরম আকারে ধারণ করে ২০২১ সনের মোদীর আগমনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে আলেম উলামা ছাত্রতলাবাদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করার মাধ্যমে। এ লড়াই হেফাজত একাই লড়েছে। একাই ভুগেছে সব যন্ত্রণা।

এরপর সরকারের উপর যতবার মানুষ অতিষ্ঠ হত, তাকিয়ে থাকত হেফাজত কখন কী বলে না বলে। কিছু না বললেও এই হেফাজতের উপর মানুষ ক্ষুব্ধ হত। হয়ত ভালবাসত বেশি। সেই ভালবাসার অধিকারে চাওয়াটাও একটু বেশি থাকত। কিন্তু অনেক সময় পরিস্থিতির কারণে চুপ থাকার কারণে শুনতে হয় নানা কথা। যেন জালিম মুক্তির সকল দায়িত্ব কেবল হেফাজত নিয়েছে। তবুও হেফাজতে সময়ে সময়ে বারবার এ জাতিকে জাগ্রত করে গেছে নিরলসভাবে। দীর্ঘ সময় যার কাণ্ডারির ভূমিকায় ছিলেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী রহ.।

দীর্ঘ এগার বছর পর আবারও এলো সেই ক্ষণ। এবার প্রথম জেগেছে ছাত্র-জনতা। তাদের সাথে সঙ্গ দিতে ভুল করেনি হেফাজত। জেগেছে দেশের সর্বস্থরের জনগণ। এই আন্দোলনে জাতির বহুদিনের প্রত্যাশার পূরণ হয়। একতাবদ্ধ হওয়ার জন্য হেফাজত এত বছর আহ্বান করলেও জাতি অবশেষে তার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করল। সেই তের সন থেকে আজ পর্যন্ত স্বৈরচার বিরোধী আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছেন, যারা আহত হয়েছেন, যারা জেল জুলুম ও মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন তাদের কৃতজ্ঞতা আদায় করে শেষ করা যাবে না। সকলকে মহান আল্লাহ উত্তম বদলা দান করুক।

সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩৫
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×