somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইমরান খান নিয়াজি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের জন্য এক অশনি সংকেত।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কে এই ইমরান খান নিয়াজি?
ইমরান খান নিয়াজি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের জন্য এক অশনি সংকেত।

১৯৭১ সাল

২৫ মার্চ রাত। বাংলার ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যার মূল রূপকার ইমরানের চাচা জেনারেল নিয়াজিকে ঢাকায় রেখে ইমরান খান নিয়াজি প্লেনে ওঠেন। ৭১ এর বিভিষিকা সৃষ্টিকারী জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে একই প্লেনে চড়ে তিনি ইসলামাবাদ যান।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বিভৎস হায়েনা নিয়াজি ছুঁচো হয়ে আত্মসমর্পণে বাধ্য হন। ইমরান খান নিয়াজির পুরো পরিবার ক্রোধে নিজেদের চুল ছিঁড়তে থাকে। ওরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একের পর এক চক্রান্ত করতে থাকে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘটাতে সক্ষম হয় নানা ভয়াবহ ঘটনা। কারণ

‘সব দেশেরই আর্মি থাকে।
কিন্তু একমাত্র পাকিস্তান আর্মিরই একটি দেশ আছে।’

সেই আর্মিরই ক্রিড়নক এই নিয়াজি জুনিয়র ইমরান খান।

ইমরান খান নিয়াজি বড় ক্রিকেটার। তার চেয়েও বড় প্লেবয়। বালক বয়স থেকেই সে ধূর্ত কৌশলে মেয়েদের পটানোর ওস্তাদ। অসংখ্য নারী ও পুরুষের সংগে তাঁর যৌন সম্পর্কের কথা মানুষ জানেন। এমনকি তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের নারী সদস্যরা তাঁর বিছানায় না গেলে পদ পাননা। এই সমস্ত কারণে তিন স্ত্রীর কেউই তাঁর সংগে টিকতে পারেননি।

১৯৮০ সাল

পাকিস্তান ক্রিকেট দল বাংলাদেশে আসে ফ্রেইন্ডলি ক্রিকেট খেলতে। প্লেবয় ক্রিকেটার ইমরান খান নিয়াজির ভক্ত অতি উৎসাহী তরুণীরা তাঁদেরকে স্বাগত জানাতে এয়ারপোর্টে যান। তাঁরা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ফুলের মালা দিতে এগিয়ে গেলে ওরা তা ছিড়ে ফেলেন। শুরু থেকেই তাঁরা সমস্ত বাঙালীদেরকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে নানা কুৎসিত কথা বলতে থাকেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সম্মানিত নেতারা এগিয়ে গেলে তাঁরা সালামের জবাবে “নমস্তে” বলে সালাম প্রত্যাখ্যান করেন। ক্রমেই তাদের বিদ্রূপ ঘৃনা সমস্ত বাঙালীদের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়। চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে তা আরো প্রকট আকারে প্রকাশ পায়। খেলার মাঝে চা বিরতির সময় কিছু অতি সাধারণ নিরিহ বাঙালী ‘মছুয়া’ মানে ওদের গাল, ‘মাছ খেকো বাঙালী’ যুবক নীরবে ওদের ড্রেসিং রূমে ঢুকে পড়লে তাঁরা যথারীতি নোংরা গালাগাল শুরু করে। ব্যাস শুরু হয় গেরিলা কায়দার মার। তাতে পাকিস্তান দলের স্পিনার ইকবাল কাসেমের হাত ভেঙে যায়।ইমরান খান নিয়াজিসহ প্রায় সবাই আহত হন। খেলা ওখানেই শেষ হয়ে যায়। ইমরান খান নিয়াজি তাঁর চাচা জেনারেল নিয়াজির মত আবারো আহত চিতাবাঘের মত ফুসতে থাকেন।

১৯৮৬ সাল

শ্রীলংকাতে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ক্রিকেট যুদ্ধ। ওদের ক্যাপ্টেন ইমরান খান নিয়াজি বাঙালীদেরকে এতই ঘৃনা করেন যে বাংলাদেশের ক্যাপ্টেনের সঙ্গেঁ দাড়িয়ে টস করতেও অস্বীকার করেন।

১৯৯৬ সাল

কট্টর তালেবান পন্থি ইমরান তেহরিক-ই-ইনসাফ তৈরী করেন এবং বাংলাদেশ পন্থি সাজার প্রতারণা করেন। কিন্তু মুখোশ খুব দ্রুত খুলে যায়। তাঁর চাচা বাংলাদেশে যে ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছেন তা সব ” ঝুট হ্যায়” বলে জোর প্রোপাগান্ডা করতে থাকেন।

২০০২ সাল

ইমরান খান নিয়াজি ইউনিসেফ এর শুভেচ্ছা দূত হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। ইউনিসেফ তখন আমার একক জাদু প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল হোটেল সোনারগাঁওএ। আমার ‘বাক্সেবন্দি’ জাদুতে তিনিও মঞ্চে উঠে এলেন। প্রাণপণ চেষ্টা করেও তিনি আমায় ফাঁদে ফেলতে পারলেননা। অন্য সবাই আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়লেন। কিন্তু তিনি এটাকে পরাজয় হিসেবে নিলেন। মুখে কোন হাসি বা প্রশংসা ছিলনা। পরে ফটো সাংবাদিকদের তোলা ছবিতেও তা ধরা পড়েছে। এখানে তেমনি একটা ছবি দিলাম। আমি হাসছি, তিনি গম্ভীর।


সোনারগাঁও হোটেলে

২০১২ সাল

বাংলাদেশ যুদ্ধাপরাধীদের দন্ড কার্য্যকর করা শুরু করলে ইমরানের বিভৎস দাঁত নখ বেরিয়ে পড়ে। তাঁর চাচা জেনারেল নিয়াজিসহ সব যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে জোর প্রচারে নামেন। পাকিস্তান পার্লামেন্টে নিন্দা প্রস্তাব আনেন। এমনকি সরাসরি মিথ্যা ও অপপ্রচারে ভরা অভিযোগ করে বাংলাদেশ সরকারের কাছে তীব্র নিন্দা জানান।

২০১৫ সাল

বাংলাদেশের ক্রিকেট দল পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করে হারিয়ে দিলে ইমরান উন্মাদের মত চিৎকার করে উঠলেন,”অকল্পনীয়” ( unimaginable)!

২০১৭ সাল

ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করে। ইমরান ঘৃনার সঙ্গে বলেন, ” বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠে চ্যাম্পিয়ন ট্রফির সৌন্দর্য্যই নষ্ট করে দিয়েছে। ”

২০১৮ সাল

ইমরান রাজনীতির পাতানো খেলায়ও এবার জয়ী হন। ব্যর্থ রাষ্ট্র পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পুতুল সরকার যে ক’টা দিন মসনদে থাকবে ততদিন বাংলাদেশকে যে এক হাত নেওয়ার চেষ্টা চালাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

লেখা: জুয়েল আইচ, মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রখ্যাত জাদুশিল্পী
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮
২৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×