somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খালেদার বাড়ী বেদখল উপলক্ষে

২১ শে নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১৩ নভেম্বর। তখন আনুমানিক ছ’টা বাজে। অডঙ খাগড়াছড়ির নিউজিল্যান্ডের পথ ধরে সান্ধ্যকালীন পায়চারির জন্যে বেরিয়েছে।দু’দিকে চোখ জুড়ানো ধানক্ষেত।সোনালী ধানের শীষে বাতাসের ঝিলিমিলি।হাঁটতে বেশ ভালো লাগছে।হঠাৎ মুঠোফোন বেজে উঠল।
:হ্যালো অডঙ বলছিস? রাঙামাটি থেকে থেকে পাগানা বলছি।
:তা তো দেখতে পাচ্ছি। বল, কী করতে পারি?
পাগানা অডঙ’র বাল্যবন্ধু।একটু পাগলাটে স্বভাবের।তবে বিভিন্ন বিষয়ে খবরাখবর রাখে। সাধারণ জ্ঞানের বই পড়তো।ইদানিং এনজিওতে চাকরী করার সুবাদে সমাজসংগঠন, সমাজতত্ত্ব, সমাজ উন্নয়ন, আদিবাসী উন্নয়ন দর্শন, গ্রামীণ অর্থনীতি, রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়ে নিয়মিত খোঁজখবর রাখে।বেশ পড়ালেখা করে। সে বললো,
:জানিস, এইমাত্র খবর পেলাম, খালেদাকে নাকি তার বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।সন্ধ্যায় বা রাতে টিভির সংবাদ দেখতে ভুলিস না।এটা এক ঐতিহাসিক মুহুর্ত।
:এ কী! কীভাবে জানলি খালেদাকে তার বাড়ী উচ্ছেদ করা হয়েছে? এটা কীভাবে সম্ভব? সে তো দেশনেত্রী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, এবং বর্তমানে বিরোধীদলীয় নেত্রী।
অডঙ গড়গড় করে অবিশ্বাসের সুরে কথাগুলো বললো। অবশ্য কয়েকদিন আগে এটর্নি জেনারেল সাহেব বলে দিয়েছেন, আপিল বিভাগে খালেদার মামলার রায় স্থগিত করা হয়নি। তাই ১২ নভেম্বরের মধ্যে খালেদা বাড়ী না ছাড়লে আদালত অবমাননা হবে।সরকার ইচ্ছা করলে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করতে পারে। তাহলে কী সরকার হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করতে গিয়ে খালেদাকে উচ্ছেদ করছে! অডঙ’কে বেশি ভাবার সুযোগ না দিয়ে পাগানা বললো,
:হ্যাঁ ভাই, এ দেশে সবই সম্ভব! সব সম্ভবের দেশ!বিশ্বাস না হলে মোবইলে নম্বর টিপে নিউজ আপডেট শোন অথবা টিভি অন করে নিউজ হেডলাইন দেখ। খালেদা সংবাদ সম্মেলন করবেন।বিএনপি আগামীকাল সারাদেশব্যাপী হরতাল ডেকেছে।মানে খালেদার বাড়ি বেদখল উদযাপন উপলক্ষে আগামীকাল জাতীয় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আরামে সময় কাটাতে পারবি। তুই তো বইপোকা, বই পড়তে পারবি আরামে।শুভ হোক তোর ছুটির দিন। এখন একটু তাড়া আছে। পরে কথা হবে বলে পাগানা ফোনটা কেটে দিলো।
অডঙ মনে মনে বললো, মাস্টারের কী আর ছুটি। রুটিনবদ্ধ জীবন, মাস্টারির জীবন। প্রাচুর্য না থাকলেও নিরিবিলিতে জীবন কাটে।দিন কাটে কচিকাঁচা ছেলেমেয়েদের সাথে।সন্ধ্যাবেলায় অবসর সময়টাতে পায়চারি করে সময় কাটানো যায়।প্রতিদিনকার মত আজকেও ব্যতিক্রম হয়নি। অডঙ পায়চারি করতে বেরিয়েছে নিউজিল্যান্ডে। অনেক তরুণ-তরুণী হাঁটছে।কেউ কেউ মোটর বাইক হাঁকিয়ে বোঁ বোঁ করে পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে। কেউ কেউ ক্রিং ক্রিং করে সাইকেল চালাচ্ছে। অডঙ মনে মনে ভাবছে, পাগানা তো কোন দল করে না, আওয়ামীলীগ তো দূরের কথা।খালেদার বাড়ী বেদখল নিয়ে তার এত আগ্রহ কেন? ভাবতে ভাবতে অডঙ বাসায় ফিরছিল।


ফিরতি পথে অডঙ সিস্টেম রেস্টুরেন্ট-এ ঢুকলো কিছু খাবার কেনার জন্যে।তার পরিবার রাঙামাটিতে বেড়াতে গেছে।রাতের খাবার রান্না করা হয়নি। রেস্টুরেন্ট-এ ঢুকামাত্র অডঙ দেখতে পেলো দেঙা, রাঙাচোগা, ধরপুনো, বেঙা, শিয়েল্ল্যা ও তেনদ্রেঙ’কে।ওরা ছয়বন্ধু।রেস্টুরেন্টের এককোনায় একটা টেবিলে মোমবাতির আলোর পাশে পাঁচজন বসে আছে।আর দেঙা সিস্টেম দা’র সাথে, মানে সিস্টেম রেস্টুরেন্টের মালিকের সাথে কথা বলছে।রেস্টুরেন্টের মালিকের নাম জানা নেই, তবে কখনো জানাও হয়নি।রেস্টুরেন্টের নাম অনুসারে সবাই তাকে সিস্টেম দা’ বলে ডাকে।কাউন্টারে এগিয়ে গিয়ে অডঙ বললো,
:সিস্টেম দা, আজকে রাতের জন্যে কী কী খাবার আছে?
:আরে অডঙ দা, কোত্থেকে? রাতের খাবার বুঝি রান্না হয়নি? বৌদি কোথায়?
:পরিবারের সবাই রাঙামাটি বেড়াতে গেছে।কঠিন চীবরদান পর্যন্ত ওখানে থাকবে।
:তাই? তাহলে তো ভালই হলো। আসেন আমাদের সাথে ডিনারে যোগ দিন।ঐ যে ওরা ওখানে আছে।দেঙা বললো।
অডঙ উত্তর দেওয়ার আগেই ওপাশে থাকা পাঁচজন একসঙ্গে চিৎকার করে উঠল,
:নমস্কার, নমস্কার অডঙ দা।রাঙাচোগা, ধরপুনো, বেঙা, শিয়েল্ল্যা ও তেনদ্রেঙ টেবিল থেকে উঠে এসে অডঙের সাথে করমর্দন করলো।
:কী ব্যাপার তোমরা এখানে? অডঙ জিজ্ঞেস করলো।
:না, মানে, আমরা আজ এখানে ডিনার করতে এলাম। আজকে একটা বিশেষ দিন।উদযাপন করার মতো।
:বুঝলাম না। বিশেষ দিন মানে?
:আরে অডঙ’দা, আজকে খালেদা জিয়া তার বাড়ী থেকে উচ্ছেদ হয়ে গেছে। সেও এখন আমাদের মত বাস্তুহারা। তারমত একজন ব্যক্তিকে আমাদের দলে পেয়ে আমরা দিবসটাকে উদযাপন না করে কী থাকতে পারি? গড়গড় করে দেঙা কথাগুলো বলে গেল।
:ও বুঝতে পেরেছি। তো পার্টির জন্যে কী কী আয়োজন চলছে?
:জুম্মদের কী আর আছে বলেন? দোচুয়ানি ছাড়া। সাথে আছে কোক-স্প্রাইট আর কিছু ডায়েট, যা পাওয়া যায় এখানে।আসেন দিনটাকে একটু স্মরণীয় করে রাখি, দেঙা বললো।
:না, এখন দোচুয়ানি খাওয়ার অভ্যাস নেই।
:না, আমরা বেশি খাই না।মাঝে মাঝে খাই। দিনের কর্মক্লান্তি শেষে এক পেগ পেটে পুরলে বেশ আরাম লাগে।ভালো ঘুম হয়।ভালো স্বপ্ন নিয়ে ঘুমুতে পারি।
:না, না, আমি খাওয়া নিয়ে বলছি না। পরিমিত খেলে তাতে আপত্তির কিছুই নেই।বিদেশীরা রেড ওয়াইন, বিয়ার, হুইস্কি, ভদকা ইত্যাদি নানা পদের নানা নামের পানীয় বানায়, খায়।প্রতিদিন খায়।কোন কোনটাতে অ্যালকোহলের মাত্রা বেশি, আর কোন কোনটাতে একটু কম। যার যেটা ভালো লাগে, সে সেটা খায়।আমাদের জুম্মরা যদি দোচুয়ানিটাকে একটু মোডিফাই করে বিভিন্ন রকমভাবে বানাতে পারতো তাহলে বোধয় তৈরীকারকরা অর্থনৈতিকভাবে আরো একটু লাভবান হতো।
:আরে দাদারা, এসব কথা এখন বাদ দেন।আগে খাবার নিই, খেতে খেতে গল্প করতে পারবো।বললো ধরপুনো।
বোধয় ধরপুনোর একটু বেশি ক্ষিধে পেয়েছে। সে অপেক্ষা করতে পারছে না। সে সিস্টেম দা’কে ডাকতে লাগলো
:সিস্টেম দা, কই কী কী খাবার আছে, তাড়াতাড়ি বের করে দিন তো।
:আরে চিন্তা কইরেন না, সব সিস্টেম আছে। সিস্টেম হয়ে যাচ্ছে।
সিস্টেম রেস্টুরেন্টের মালিকের প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ‘সিস্টেম’ শব্দটা প্রয়োগ করার একটা অভ্যাস আছে।সে কারণে রেস্টুরেন্টের নামটাও সিস্টেম হয়ে গেছে। সে তৎপর হয়ে রুমের ভিতরে ঢুকল। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বের হয়ে এসে বলল,
:দাদা, এখন সব রেডি। তবে আপনাদের এই মেইনরুমে দোচুয়ানি খেতে দিতে পারবো না। আরো কাস্টমার আসছে। আপনারা একটু ভেতরে যান।
আর কথা না বাড়িয়ে দেঙা অডঙ’কে হাত ধরে ভেতরে নিয়ে গেল।
: অডঙ’দা, আপনার দোচুয়ানি না খেলেও চলবে। কিছুক্ষণ আমাদের সঙ্গ দিন। অনেকদিন পর দেখা হলো আপনার সাথে।কর্মব্যস্ততায় খুব একটা দেখা হয় না। আপনি মাষ্টার মানুষ। আপনার পায়খানা প্রস্রাব করতেও এদিক-ওদিক তাকাতে হয় পাছে আপনার কোন ছাত্র-ছাত্রী দেখে ফেলে, যেটা আমাদের করতে হয় না।আমরা মুক্ত মানুষ। মন যা চায় তা করি। আসেন একটু আলাপ করি।


বিদ্যূত নেই। আসে আর যায়। দিনে কতবার বিদ্যূত আসা-যাওয়া করে তার কোন হিসেব নেই।ছোট্ট একটা টেবিল।দুইপাশে দুটো মোমবাতি। ক্যান্ডললাইট ডিনার। পরিবেশটা একটু নিরিবিলি।সিস্টেম দা ট্রেতে অনেক খাবার নিয়ে এলো। আপ্রেং (মারমা পদ্ধতিতে রান্না সবজি), মুরগীর বুনা ও ফ্রাই, টাকি মাছের শিকা, কলাপাতায় মোড়ানো কাচকি মাছ এবং আলাদা একটি পিরিচে লবন ও কিছু কাঁচামরিচ। দোচুয়ানির সাথে ডায়েট হিসেবে ঝাল করে রান্না মুরগীর ডানা, নলা ও গিলাকলিজা।টেবিলের একপাশে এক লিটারওয়ালা একটা ঠান্ডা স্প্রাইটের বোতল।তেনদ্রেঙ দোচুয়ানির বোতলটা ব্যাগ থেকে বের করলো।জানা গেল, সিস্টেম দা সাধারণত রেস্টুরেন্টে দোচুয়ানি বিক্রি করে না।নিজেদের উদ্যোগে বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। মাতাল হওয়া পর্যন্ত পান করতে দেওয়া হয় না।দেঙা’রা বাইরে থেকে এক বোতল স্বচ্ছ দোচুয়ানি নিয়ে এসেছে।
তেনদ্রেঙ কোন কথা না বলে ট্রে থেকে ছয়টা গ্লাস হাতে নিলো। ঢক্ ঢক্ করে দোচুয়ানি ঢেলে নিল আর সাথে স্প্রাইট মিশালো। অডঙ দোচুয়ানি খায় না বলে তার জন্যে একটা কোক এনে দেওয়া হলো।
:নেতা, এখন তুই শুরু কর।তেনদ্রেঙ দেঙা’কে উদ্দেশ্য করে বললো।
দেঙা ওদের দলনেতা। ওর কথা সবাই মান্য করে।বয়সে ও শারিরীক গড়নে অন্যদের চেয়ে তাকে একটু বয়স্ক বলে মনে হয়। সবার বয়স কাছাকাছি, সমসাময়িক।সবার বয়স ৩০ - ৩৫ বছরের মধ্যে হবে।
:অডঙ’দা, আপনার কোকটাও হাতে নেন, দেঙা বললো।
এরপর দেঙা সবার গ্লাস একটা ট্রেতে নিল। জন্মদিন পালনের মত করে ছোট একটা মোমবাতি জ্বালালো। ট্রেটা সবার মাথা বরাবর উঁচু করে ধরলো। অনেকটা চাকমা বৈদ্যরা যেভাবে দেবতার উদ্দেশ্যে মন্ত্রপাঠ করে ঠিক সেরকম ভঙ্গি করে দেঙা উঠে দাঁড়াল।এহ্ হেম্ করে গলাটা ঝেরে নিয়ে বললো,
:বন্ধুরা, তোদের স্মরণে আছে, মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৮০ সালে রামগড়, তবলছড়ি, অযোধ্যা, ফেনীকূল ও গোমতীকূল (মাটিরাঙ্গায়)সহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় লক্ষ লক্ষ ধারিত্* সেটেলার বাঙাল ঢুকিয়েছিল।সেই ধারিত সেটেলাররা আর্মি, বিডিআর ও ভিডিপি’দের সহায়তায় ১৯৮১ সালে মাটিরাঙ্গা-বেলছড়িতে রাতের অন্ধকারে চাকমা ও ত্রিপুরাদের গ্রামে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।অনেক মা-বাপ, ভাইবোন প্রাণ হারিয়েছিল।গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছিল।সেই পাপের ফলের জন্যে জিয়াকে ঐ বছরই প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়েছিল জীবন দিয়ে।আর জিয়া’র সেই পাপের অবশিষ্ট এখনো খালেদাকে ভোগ করতে হচ্ছে। জরুরী অবস্থার সময় জেলে পুড়তে হলো তার দুই সুপুত্রসহ।আজকে ৪০ বছর পর ১ টাকায় কেনা সেনানিবাসের বাড়ী হতে তাকে উচ্ছেদ করা হলো।বুকভরা কান্না নিয়ে খালেদাকে সংবাদ সম্মেলন করতে হলো।খালেদা’র চোখের ‘জাতীয় কান্না’, ‘জাতীয় দু:খ’ দেখতে পেলাম।সেই ‘জাতীয় কান্না’, সেই ‘জাতীয় দু:খ’, এই ‘উপজাতীয় হৃদয়ে’ ছুঁয়ে যেতে পারেনি।আজকে খালেদা বুঝুক ঘর হারানোর মর্মবেদনা।আমরা বলি ভগবান, ওরা বলে আল্লাহ। ভগবান-আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানাই, খালেদা আমরণ বাস্তুহারা থাকুন আমাদের মত করে। খালেদা, আজ তুমি বাস্তুহারা বলে এই অধম ‘উপজাতি বাস্তুহারারা’ নিজেদের জীবন সম্পর্কে একটু উৎসাহিত হচ্ছে। কামনা করছি, উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে আগামী বছর থেকে এই দিনটা জাতীয় বাস্তুহারা দিবস হিসেবে পালিত হোক।চিয়ার্স!চিয়ার্স!চিয়ার্স!
এরপর যার যার গ্লাস হাতে নিয়ে টোকাটুকি করে তিনবার চিয়ার্স বলে পরস্পরকে শুভ কামনা জানিয়ে দোচুয়ানি পান শুরু করলো।চিয়ার্স হোমলেস খালেদা জিয়া!
ব্যাপারটা নিতান্তই ফাজলামীর হলেও অডঙ-এর কাছে মনে হলো এর একটা অন্তর্নিহিত বার্তা আছে। অডঙ অনুধাবন করতে পারছে, ঘটনা অতীত হয়ে গেলেও মানুষের স্মৃতি বেঁচে থাকে, অতীতের বেদনা কোন না কোন মুহুর্তে জেগে উঠে। জিয়া মরে গেছে, কিন্তু তার ‘পাহাড়ী নিশ্চিহ্ন করার নীতি’র কুফল পাহাড়ী জনগণ এখনো প্রতিনিয়ত ভোগ করছে। জীবন উলটপালট হয়ে আছে।তারা হারিয়েছে আপনজন, হারিয়েছে জায়গাজমি, ঘরবাড়ী।এখন কেউ কেউ আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু, কেউ কেউ ভূমিহীন হিসেবে পরিচিত।একেবারে সর্বস্বহারা। তাই অধিকাংশ পাহাড়ীর মনে জিয়ার প্রতি তীব্র ঘৃণা আছে। দোচুয়ানি দিয়ে এই ছয়বন্ধুর খালেদা’র বাড়ী বেদখল দিবস উদযাপনও ঐ ঘৃণার স্বত:উৎসারিত বহি:প্রকাশ। তাদের সীমাহীন দু:খ দুর্দশার জন্যে ওরা জিয়াকে দায়ী করে। তাই সেই জিয়ার অর্ধাঙ্গিনী খালেদার বাড়ী ছাড়ার কান্না তাদের মন ছুঁয়ে যায়নি।
:শিয়েল্যা বললো, কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক কে বলেছে বহুদূর? এখানে, এখানেই। অদৃশ্য দোজকে জিয়া আর বাস্তব দৃশ্যমান দোজকে খালেদা।বাস্তব দোজকের আগুনে জ্বলে পুড়ে মরছে খালেদা।এটা হলো জিয়ার পাপের জন্যে।
:দূর!কী কস?শুধু কী জিয়া পাপ করেছে? খালেদা করেনি?ধরপুনো প্রশ্ন ছুড়লো।
:খালেদা পাপ করেনি একথা বলছি না। খালেদার পাপও অনেক। ৯২-এ ১০ এপ্রিল লোগাং-এর গণহত্যা, ২০ মে রাঙামাটিতে পিসিপি’র (পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের) সম্মেলনে হাঙ্গামা ও দাঙ্গা, ১৭ নভেম্বর ৯৩-এ নানিয়াচরের গণহত্যা আরো কত ঘটনা ঘটিয়েছিলো অঘটনঘটনপটিয়সী খালেদা। এসব গণহত্যা ও দাঙ্গার কথা কীভাবে ভুলি? তার পাপের জন্যে তাকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, ভবিষ্যতেও ভোগ করতে হবে।এক ঢোক দোচুয়ানি গিলে শিয়েল্ল্যা খুব জোর দিয়ে কথাগুলো বললো।
:তেনদ্রেঙ বললো, অডঙ দা এবার আপনিই বলুন, খালেদা’র কীর্তির কথা। ‘৯২-৯৩ সালে আপনারা তো তখন আমাদের বড় ভাই ছিলেন, ছাত্রনেতা ছিলেন।খাগড়াছড়ি গভমেন্ট হাইস্কুলে পড়তাম। সেনাশাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের মিছিলে যোগ দিতাম।লোগাং গণহত্যার প্রতিবাদে লোগাং অভিমুখে দীর্ঘ লং মার্চ করেছিলাম।আবালবৃদ্ধবণিতা সবাই সক্রিয়ভাবে ঐ লং মার্চে অংশগ্রহণ করেছিল। কোন মিটিং মিছিল হলে আপনারা আমাদের ডেকে নিতেন। মিছিলের প্রথম সারিতে আমরাই থাকতাম। ছাত্রনেতাদের অগ্নিঝরা বক্তব্য শুনলে তখন গায়ে শিহরণ জাগতো।জীবন দিতেও প্রস্তুত ছিলাম।এসব স্মৃতি কী ভুলতে পারি?
অডঙ হেলান দেওয়া থেকে সোজা হয়ে বসল। বললো,
:তোমরা যা বলছো তা অত্যন্ত যৌক্তিক। তবে খালেদাকে এভাবে তিরস্কার না করে তার বাড়ী উচ্ছেদ হওয়ার উপলক্ষটাকে আরো মার্জিতভাবে কী সেলিব্রেট করা যেতো না? এখানে বিএনপি’র কর্মীবাহিনী থাকলে তাদের সঙ্গে কী সংঘাত হতে পারতো না?
অডঙ-এর মুখে ‘মার্জিত’ শব্দটা শোনার সাথে সাথে বেঙা হা হা হা করে হেসে উঠল। বললো,
:অডঙ’দা আপনি অনেক ঠান্ডা হয়ে গেছেন।মনে হয়, মাস্টারি করতে করতে অনেক বিনয়ী হয়ে গেছেন। আগে যেই মুখ থেকে অগ্নির স্ফুলিঙ্গ বের হতো, এখন সেই মুখ থেকে শুধু আইস বের হচ্ছে।হা হা হা…ওই সিস্টেম দা!আপনার ফ্রিজে কী আইস আছে?থাকলে একটু দিয়ে যান না, দোচুয়ানিটা একটু ঠান্ডা করে নিই।
হা হা হা করে অডঙ হেসে উঠল। বললো,
:সময়ের সাথে সাথে অনেককিছু বদলে যায়।জীবন আচরণে পেশারও একটা ভূমিকা আছে বৈ কি।যখন ক্লাসরুমে ঢুকি তখন তো আওয়ামীলীগ-বিএনপি, পাহাড়ী-বাঙালি, সেটেলার-অসেটেলার এসব ক্যাটাগরিতে ছাত্র-ছাত্রীদের ভাগ করতে পারি না।সবাই সমান।ছেলেমেয়ের মত।মাস্টারি না করে রাজনীতি করলে বোধয় অগ্নির স্ফুলিঙ্গ বের হতো। তোমরা তো জান, মিছিলের শুরুতে “জ্বালো, জ্বালো, আগুন জ্বালো” বলে স্লোগানের সুর তুলতাম।তখন স্বভাবতই আগুন বের হতো মুখ থেকে।
:দেঙা বললো, অডঙ’দা মাস্টার হিসেবে আপনার ছাত্র-ছাত্রীদের বিনয়, ভদ্রতা, নম্রতা, সহিঞ্চুতা ইত্যাদি বিষয়ে অনেক উপদেশ পরামর্শ দিতে পারেন। ঠিক তেমনিভাবে হাসিনা খালেদারাও আমাদের মত নিরীহ নাগরিকদের কত পরামর্শ-উপদেশ দেয়।কিন্তু তাদের কথাবার্তা, আচার-আচরণ কী রকম?তারা কী জাতীয় নেতৃত্বের রোল মডেল হতে পেরেছে? যেমন দেখুন না, খালেদা’র জন্মদিন পালন। যার জন্মদিন ঠিক নেই, সে কী করে বারবার জন্মদিন পাল্টায়।একনেত্রী শোক পালন করে, আরও একনেত্রী বত্রিশটা দাঁত বের করে হাসে, মোমবাতি’তে ফুঁ দিয়ে, হাততালি দিয়ে জন্ম উৎসব পালন করে।কোথায় ওদের আদর্শ, কোথায় ওদের মার্জিত আচরণ, কোথায় ওদের সংস্কৃত মন?
:ধরপুনো বললো, বাংলাদেশের রাজনীতির কথা বাদ দে!আমরা বিএনপি-আওয়ামী রাজনীতি করি না। তাদের কারোর অধিকারও খর্ব করছি না।খালেদা আজ নিজেই বলেছে, সে বাস্তুহারা। সেও এখন আমাদের দলে।তাই দোচুয়ানি দিয়ে এ বিশেষ দিনটাকে ভালো করে সেলিব্রেট করি। ব্যাস!
অডঙ ধরপুনোকে জিজ্ঞেস করলো
:যার কোটি কোটি টাকা আছে, দামী দামী গাড়ী আছে, তিন তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিল সে কীভাবে বাস্তুহারা হয়?
:আমাদের দুর্ভাগ্য এখানেই।যেই খালেদা বাস্তুহারা শব্দের অর্থ জানেনা, সেই খালেদাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেয়েছিলাম। একবার নয়, তিন তিন বার। যার কোটি কোটি টাকা আছে, যার দামী দামী বাড়ী আছে, গাড়ী আছে, সেই কিনা নিজেকে বাস্তুহারা মনে করে। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ ছিন্নমূল বস্তীবাসী ও বাস্তুহারা লোক আছে যারা ছোট ছোট ঝুপড়িতে মাথা গুঁজিয়ে দিন কাটায়। দু’বেলা দু’মুঠো ভাত খেতে পেলে খুশী হয়। আর সেখানে খালেদা কোটি টাকার মালিক হয়েও একটাকায় কেনা বাড়ীটা বেদখল হওয়ায় কান্নাকাটি করছে। এই খালেদাকে দিয়ে দেশের উন্নয়ন হবে কীভাবে? সত্যি বলতে কী, এ বিষয়গুলো চিন্তা করলে পিত্ত জ্বলে যায়। ধরপুনো গড়গড় করে কথাগুলো বলে গেলো।
ইতোমধ্যে গ্লাসগুলো অর্ধেক খালি হয়ে গেছে। বোতলের অবশিষ্ট অংশটুকু একটু একটু করে সবার গ্লাসে ঢেলে দিল রাঙাচোগা।এতক্ষণ কোন কথা বলেনি। প্রথম মুখ খুললো।বললো,
:চাকমা ভাষায় একটা কথা আছে, “মা-বাবার দোষে সন্তানসন্ততির দু:খ হয়, রাজা-রাণীর দোষে প্রজাদের দুর্ভোগ হয়”।খালেদা তো বাংলাদেশের রাজ-রাণী। এই রাজ-রাণী জ্ঞানী হলে দেশের অনেক সমস্যার সমাধান হতো। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যারও সমাধান হতো।
গল্প করতে করতে প্রায় রাত দশ’টা বেজে গেলো। আড্ডায় প্রসঙ্গের শেষ নেই, উত্তরেরও অভাব নেই। কথারও শেষ নেই। দোচুয়ানির আড্ডায় শুধু খালেদার বাড়ী নয়, আরো অনেক বিষয় চলে এলো।কোন কোন বিষয়ে কার্যকারণ সম্পর্ক মেলানো কঠিন, যেমন কঠিন একজন সত্যিকার সর্বস্বহারা বাস্তুহারার পক্ষে খালেদার কোটি টাকার সাথে তার বাস্তুহারা হওয়ার সম্পর্কের হিসাব মেলানো।


অডঙ বাসায় ফিরল। সিস্টেম রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খেয়ে ফেলেছে। বিদ্যুত আসার সাথে সাথে টিভিতে সংবাদ শিরোনাম দেখে নিল। সত্যি সত্যি খালেদাকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। আগামী কাল দেশব্যাপী হরতাল ডাকা হয়েছে।
কম্পিউটার অন করল।ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে পত্রিকার অনলাইনের সংবাদ শিরোনামগুলোতে একবার চোখ বুলিয়ে নিল।বিএনপি’র মহাসচিবের বক্তব্য অনলাইন সংস্করণে ভেসে আসছে, “নৃশংসতার এমন নজির পৃথিবীতে আর নেই”। তার এ বক্তব্যের বিপরীতে অনেক পাঠক মন্তব্য দিয়েছেন। মুসা সরকার নামে জনৈক পাঠক মন্তব্য দিয়েছেন,
:পাকিস্তানের ১৯৭১-এর ভয়াবহ, গণহত্যা, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট নারীশিশু হত্যাসহ ৩ নভেম্বর জেল হত্যা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এসবের চেয়েও নৃশংস!!!
অডঙও মুসা সরকারের সাথে যোগ করতে চাইল,
: খালেদা’র বাড়ী থেকে উচ্ছেদ হওয়ার ঘটনা কী পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত ৯২-এর লোগাং গণহত্যা, ৯৩-এ নানিয়াচরের গণহত্যার চেয়েও নৃশংস?
এ প্রশ্ন টাইপ করার সঙ্গে সঙ্গে অডঙের মনে একটু খটকা লাগলো, এ প্রশ্ন কার উদ্দেশ্যে? মানসিকভাবে দেলোয়ার সুষ্ঠু তো? অসুস্থ মনে নৃশংসতার সংজ্ঞা কেমন হতে পারে?
অডঙ পাঠকদের মন্তব্য পড়তে লাগলো। মন্তব্য পড়ে বুঝা যাচ্ছে তিন শ্রেনীর পাঠক আছে: আওয়ামী সমর্থিত, বিএনপি সমর্থিত ও দলনিরপেক্ষ।এসব পাঠকদের মন্তব্যের মধ্যে কোন আদিবাসী পাঠককে চিহ্নিত করা গেলো না।
ফেসবুকে সাইন-ইন করলো অডঙ। এখানে অনেক বন্ধু আছে। চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, বাঙালি আরো অনেক জাতির লোক। অডঙ ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখলো,
:খালেদা বাড়ী থেকে উচ্ছেদ। কার কী প্রতিক্রিয়া?
ঘন্টা দু’একের মধ্যে অনেক বন্ধুবান্ধবী হাজির। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলো হলো কার্বারী জগদাঙ, শিবচরণ, উগুলুক্ক্যা, মরত্ত্যুঅ, শিমলা, সেদামপানজা, জুরিথুম, শক্তিমান ও বিধান ।তারা একে একে মন্তব্য লিখে গেল।
কার্বারী: এইটা কী আর! সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ব্যাপার।
শিবচরণ:কর্মের ফল, না যায় খন্ডন।ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ইত্যাদি পাপের জন্যে খালেদাকে বুড়ো বয়সে যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে। কোথায় গেল ক্ষমতা, কোথায় গেল টাকা? এখন ধর্মকথা বিশ্বাস করতে হচ্ছে।
উগুলুক্ক্যা: চাকমা ভাষায় লিখলো, “খালেদা নোনেই গালেত্তে” (খালেদা প্রেমিক/প্রেমিকার মত একটু আদর পাওয়ার প্রত্যাশায় মান অভিমান করছে)। কী আর হবে! হরতালে সুখ আছে। ১৬ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষের পরম সুখ।আহা!কী সুখ!
শিবচরণ: পাহাড়ীদের সংখ্যালঘু করার মাস্টারপ্ল্যানার হলো জিয়া। লক্ষ লক্ষ অনুপ্রবেশকারী ঢুকিয়ে অগণিত পাহাড়ী জুম্মনরনারীকে উদ্বাস্তু বানিয়েছিল জিয়া। যার পাপের ফল এখন খালেদা ভোগ করছে, ভবিষ্যতেও করতে হবে।
মরত্ত্যুঅ: কথায় বলে, “পাপে বাপরেও ছাড়ে না”।জুম্মল্যান্ডে যে পরিমাণ লোককে জিয়া ঘরছাড়া করেছিল, সেই তুলনায় খালেদার কিছুই হয়নি। তারপরেও তার জন্যে হায়! হায়!
সেদামপানজা: হ্যাঁ ভাই, তার আরো অনেক দু:খ আছে। তার ফেঁকড়ি এখনো কেটে যায়নি।
শিবচরণ: ঈদের আগে খালেদার মাথায় বাজ পড়েছে।
সেদামপানজা: না ভাই, বাজ না, পেরেক পড়েছে।মানে মাথায় পেরেক ঢুকেছে। হা হা হা!!!
বিধান: বেচারি! সে তো চোরের মা।তার ছেলেরা চোর। চুরির দায়ে জেলে যেতে হয়েছিলো। এখন খালেদা পুত্রহীন হয়ে আছে। তার উপর ঘরছাড়া!খালেদার গোদের উপর বিষফোঁড়া। তারপরেও খালেদাকে ঈদের শুভেচ্ছা।
সেদামপানজা: হোমলেস খালেদাকে অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদমোবারক!
জুরিথুম: গৃহহীন খালেদা এবার ঈদমোবারক বলতেও সুখ পাবে না।
শিমলা: হা হা হা! বেচারি।
শক্তিমান: সে তো জুম্মদেরকে অনেক বিজু সুখে উদযাপন করতে দেয়নি। তার ফল এখন তাকে ভোগ করতে হচ্ছে। বুড়ি এবারে বুঝুক দু:খ কেমন লাগে! হা হা হা। এরচেয়ে কী আর তৃপ্তি হতে পারে?
বুজ্জ্যা: খালেদা নিজেরে গৃহহীন বললে কী হবে?গত নির্বাচনের আগে জানা গেছে, সেনানিবাসের বাড়ী ছাড়াও গুলশান ও সাভারে তার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি আছে।নগদ ও স্থায়ী জামানত হিসেবে টাকার পরিমাণ ৩ কোটির উপর।একজন গৃহহীনের যদি এই পরিমাণ টাকা থাকে, গৃহওয়ালাদের সম্পত্তির পরিমাণ কত হতে পারে?
আবালা: ও রে বাপ রে! আমি অংকে কাঁচা। এত পরিমাণ টাকা আমি ক্যালকুলেটর টিপেও হিসেব করতে পারবো না।তবে মনে হয়, খালেদা খুবই কিপটে, না হলে মানসিকভাবে খ্যাপাটে। না হলে, নিজেরে ক্যান বাস্তুহারা মনে করে?
আরো অনেক মন্তব্য ছিল। সেই মন্তব্যগুলো পড়তে পড়তে রাত প্রায় ১.০০ টা বেজে গেল। ঘুমুতে হবে। শোওয়ার আগে পানি খাওয়া অডঙ-এর প্রতিদিনের অভ্যাস। কিচেন থেকে এক গ্লাস পানি আনতে গেল। এসে দেখে ফেসবুক নোটিফিকেশনে লাল দেখাচ্ছে। ক্লিক। দেখে, রস্যআজু হাজির। সে মন্তব্য দিয়েছে,
:ওহ! নাতি-নাতনিরা এত রাতে কী গল্প করছো? আমার কথা খাসা।খালেদা হলো বাস্তুহারা!খালেদার আছে কোটি কোটি পাইস। কথায় কথায় বলে ট্রু লাইস। ইটস অ্যা গ্রেট ভাইস।হো হো হো!আমি শুধু হাসবো আর হাসবো। হো হো হো!

চোখে ঘুম নেমে আসছে। অডঙ কম্পিউটার অফ করে দিল। ভার্চুয়াল জগত থেকে বাস্তব জগতে ফিরে এলো। মশারি টানিয়ে শুয়ে পড়লো।ঘুমটা কেটে গেছে।এপাশ ওপাশ করছে। আর চোখের সামনে ভাসছে রস্যআজুর ফোকলা দাঁতের হাসি হো হো হো।
হো হো হো! রস্যআজু তুমি হাসতে থাক।আগামীকাল খালেদার গৃহহারা উপলক্ষে জাতীয় ছুটির দিন।

**************
*ধারিত চাকমা ভাষার শব্দ যার অর্থ রাক্ষস বা রাক্ষুসে।

সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×