কুয়ালামপুর-লাংকাউই-পেনাং
গল্প লিখব বলেই ব্লগ শুরু করেছি। তবে গল্প প্রকাশের আগে, একটু বরফ গলিয়ে নেয়ার জন্যই এই পোষ্ট। ভ্রমণ ব্লগে কোথায় কিভাবে যাবেন কি খাবেন কোথায় থাকবেন ইত্যাদি অনেক কিছু প্রচুর আছে। তাই ওই রাস্তায় না গিয়ে কোথায় গিয়ে স্বদেশী ভাইদের কেমন দেখলাম, সেদেশের মানুষ ও সমাজের ব্যাপারেই বা কি উপলব্ধি হল সে আঙ্গিকেই লিখছি।
কাজের সুবাদে বিচিত্র সব দেশ ও জনপদে যাওয়া হয়েছে। আর হয়েছে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা। আজ শুরু করছি প্রথমবারের মালেশিয়া ভ্রমণ দিয়ে।
ঢাকা থেকে মালেয়শিয়ান এয়ার লাইনের ফ্লাইট নিয়ে সরাসরি লাঙকাউই। মাঝখানে অবশ্য কুয়ালালাম পুরে ফ্লাইট বদলাতে হয়েছে। তবে তখন আর ইমিগ্রেশন হয়নি। পরিচিত সবাই ভয় দেখিয়েছে মালেশিয়া এয়ারর্পোটে বাংলাদেশী পাসপোর্ট দেখলে অনেক হয়রানি করবে। তাই এয়ার এশিয়ার ফ্লাইট না নিয়ে এমএইচ এর ফ্লাইট নেয়া। আশা যদি নিজেদের ফ্লাইটের যাত্রী দেখে একটু খাতির করে। এ্মএইচ-৩৭০ আকাশে হারিয়ে যাওয়ার মাস খানেক পরের সময় তখন। ওই ঘটনার পরে নাকি মালেশিয়ান এয়ারলাইনের যাত্রী অনেক কমে গিয়েছিল সেই সাথে ভাড়াও কম। ফ্লাইটের জানলা থেকে লাংকাউই এর অসাধারণ রূপ দেখে বিমোহিত হয়ে গেলাম।
আমার একটি কেউকেটা ক্লায়েন্ট মালেয়শিয়ার একটি ডিষ্ট্রিক্ট-এ তারকা রিসোর্ট ওপেন করবেন। তার হয়ে অন্য অনেক দেশে কাজ করেছি কিন্তু মালেশিয়ায় তখনও কিছু করা হয়নি। তিনি নিজেই অফার করলেন তার কাজটি শুরু করার আগে সেদেশের জনপ্রিয় তিনটি টুরিস্ট স্পটের হোটেল রিসোর্ট গুলো একটু দেখে নিতে। যেন তার কাজটি সেরকম মানের কিংবা তার চেয়ে ভাল হয়। আর সঙ্গী কাম গাইড হিসেবে তার কর্মী কুমিল্লার এক দেশী ভাইকে ধরিয়ে দিলেন।
তো ইমিগ্রেশনে নেমেই দেখি আমার আগে সিরিয়ালে থাকা দু্ই চাইনিজকে রীতিমত পুলিশী জেরা চলছে। ব্যাপার খোজ নিতে যানা গেল ওই দুই ব্যাক্তি কোন হোটেল বুক না করেই চলে এসেছেন। চাইনিজদের ভিসা অন এরাইভাল থাকলেও ভিসা ফর্মে কোথায় থাকবেন লিখতে হয়। দুই ভদ্রলোক হোটেল বুক করেন নি তাই কিছু লিখতেও পারছেন না। আবার ইমিগ্রেশন অফিসার সেটি ছাড়া তাদের এরাইভাল সীল ও দিতে পারছেন না। অনেকক্ষন বকবক করে কিভাবে যেন দুই চাইনিজ অনলাইনে হোটেলবুক করলেন। তার পর তাদের মুক্তি মিলল।
এদিকে আমার চিন্তায় চিকন ঘাম নামছে। আমার সঙ্গী ভাইটি বলেছিলেন। ওসব অনলাইন ফনলাইন অনেক টাকা নিবে ভাই। আমার সাথে চলেন পৌছে সরাসরি হোটেল পছন্দ করে যেটা ভাল সেটা নিব। বীচের ধারে বাংলো নিয়ে থাকব। তাই আমিও হোটেল বুক না করেই চলে এসেছি। আমাদের দেশের পাসপোর্টে তখন ষ্টীকার ভিসা নিয়ে যেতে হত। এর একটি সুবিধা হল হোটেল প্রিবুকড থাকা বাধ্যতামূলক নয়। তবে ইমিগ্রেশন অফিসার চাইলে হয়রানি করতে পারেন। তাই দুরুদুরু বুকে ইমিগ্রেশন অফিসারকে পাসপোর্ট আর বোর্ডিং কার্ড দিলাম। তিনি জানতে চাইলেন তোমার হোটেলের ঠিকানা কি? আমি নিরীহ সুরে বল্লাম যে আমি লাংকাউই এই প্রথম এলাম। ছবিতে দেখে কোন লোকেশনে কোন হোটেলে থাকা ভাল হবে বুঝে উঠতে পারিনি। তাই নিজে গিয়ে পছন্দ হয় এমন একটি হোটেল বুকিং দিব। আমার গোবেচারা অভিনয় শতভাগ ভাল হয়েছে মনে হল। উনি আর কথা বারালেন না। বল্লেন তোমার রিটার্ন টিকেট দেখি। আমি দেখালাম। তিনিও আমার পাসর্পোটে সীল মেরে দিলেন। ওয়েলকাম টু লাঙকাউই। সব মিলিয়ে ৫ মিনিটেরও কম সময়ে ইমিগ্রেশন পার করে নিজেকে বিজয়ী মনে হতে লাগল।
এখানে একটি কথা বলে রাখি। এরপর বহুবার মালেশিয়া যাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, যেকোন কারণেই হোক মালেশিয়ান ইমিগ্রেশন শুধু বাংলাদেশী বলেই নয় যেকোন দেশের পাসপোর্টের ক্ষেত্রেই রিটার্ন টিকিট দেখতে চায় এবং বিনাবাক্য ব্যয়ে তা দেখিয়ে দেয়াই মঙ্গলজনক। অনেক পরে একবার জরুরী ভিত্তিতে মালেশিয়া যাবার জন্য স্টীকার ভিসা না নিয়ে স্বল্প সময়ে ই-ভিসা নেয়ার প্রয়োজনে বারিধারা মালেশিয়ান এ্যমবাসীতে যেতে হয়েছিল। আমার আগের সিরিয়াল ছিল চটরপটর ইংরেজী বলা হাফ প্যান্ট পরা এক ভিনদেশী। ইমিগ্রেশন অফিসার ওর কাজগপত্র হাতে নিয়ে বল্ল প্লীজ তোমার রিটার্ণ টিকেটি দেখাও। সেই ভদ্রলোক ইয়ো ইয়ো টাইপের অনেক কিছু ব্ল্ল। কিন্তু অফিসার অনড়। শেষ পর্যন্ত রেগে মেগে ওকে গেটলস্ট বলে দিল। আমার প্রথম মালেশিয়া ইমিগ্রেশেনর মতই এই ভদ্রলোককেও একটি শতভাগ গোবেচারা হাসি দিলাম। উনি সব দেখে বল্ল রিটার্ন টিকেট দাও, আমি দিলাম। উনি বল্লেন ফ্যামিলি নিয়ে যাচ্ছ না কেন। আমি বল্লাম এইবার সময় কম। তবে ফ্যামিলি নিয়ে মালেশিয়া যাবার ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে। উনি একটি হাসি দিয়ে বল্লেন অবশ্যই যাবে অনেক মজা পাবে তাহলে। তুমি চলে যাও। ভিসা তোমার ই-মেইলে চলে যাবে। তুমি ডাউনলোড করে নিও। আমি ধন্যবাদ জানিয়ে চলে এলাম। এরপর অনেকবার যাওয়া হয়েছে এখনও হচ্ছে। প্রথম দিকের এই অভিজ্ঞতাগুলো ভাল কাজে লেগেছে।
খুশি মনে ইমিগ্রেশনতো পার হলাম তখনও জানতাম না বিড়ম্বনার মাত্র শুরু। এবার হোটেল খোজার পালা। পানতাই চেনাং নামের বীচের কাছেই আমাদের থাকার প্ল্যান ছিল। ঠিক বীচের উপরেই কুটিরের পাশাপাশি অদ্ভুত সুন্দর অনেকগুলো রুম থাকলেও তার কোনটিই খালি নেই। দুটি ফ্লাইট পাল্টিয়ে প্রায় সারা রাতের জার্নি করে ক্লান্ত শরীর নিয়ে তপ্ত রোদের মধ্যে প্রাণ ওষ্ঠাগত এর মধ্যে কিছুটা বড় একটি কটেজে গিয়ে আমার সঙ্গী ভাইটি কি কি আলাপ করে আমাকে জানালেন হোটেল পাওয়া গেছে। রুম বুক করে এখানে লাগেজ রেখে আমরা খাবার খেতে যেতে পারি। আমরা ফিরে আসতে আসতে হোটেল রুম ক্লীন করে তৈরি থাকবে। বেশ ভাল প্রস্তাব।
প্রসঙ্গত আমাদের ভ্রমণের যাবতীয় খরচ বাবদ ক্লায়েন্ট যথেস্ট অর্থ আমাকে অগ্রীম প্রদান করেছিলেন। এবং এরপরও কোন বাড়তি খরচ হলে তা আমি মেটাব এবং পরে উনি বিল পে করে দিবেন সেইমত কথা হয়েছে। সঙ্গী হিসেবে তিনি উনার ফার্মের একজন চায়নিজ আর্কিটেক্ট কিংবা খুটিনাটি কাজ করা এই দেশি ভাইটিকে অফার করলেন। একেতো দেশী ভাই তার উপর খুব মিশুক আর সরল মনের দেখে আমি তার সাথেই ভ্রমণ করা পছন্দ করলাম। তাছাড়া তিনি বেশ কবছর ধরে এদেশে কাজের প্রয়োজনে আছেন তার জানা শোনাও নিশ্চয় ভাল হবে আর তিনি নিজেই গাড়ী ড্রাইভিং করতে পারবেন সব মিলিয়ে একটি আনন্দময় ভ্রমণই আমি আশা করেছিলাম।
আনন্দ পালিয়ে যন্ত্রণার শুরু হল খেতে গিয়ে- খাবার দেখতে তো ভালই লাগে কিন্তু মুখে দিলে না লবন না মিষ্টি কেমন এক অদ্ভুত স্বাদ। বেশ কয়েক রকমের খাবার কিনে বাদ দিতে দিতে অবশেষে পেলাম ষ্টারবাকস্। তিনি বল্লেন স্টারবাকস্ এর কেক আর স্যান্ডইউচ আমার পছন্দ হবে।
স্টারবাকস্ এর ব্যানানা কেক আর স্যান্ডউইচ সত্যিই মজার ছিল আর সাথে কফি। তবে এত লম্বা একটা জার্নি করে এই খাবারে পেটে বিদ্রোহ ঘোষণা করবে বলে আগেই জানিয়ে দিলো। কোনমতে মুখে কিছু দিয়ে ছুটলাম আমার হোটেলে। উদ্দেশ্য একটু রেস্ট নিব। কামরায় আমাকে রেখে উনি যাবেন গাড়ী ভাড়া করতে। যাতে আমরা ড্রাইভ করে পুরো দ্বীপটি ঘুরে দেখতে পারি।
তা হোটেলে এসে কিছুক্ষণের মধ্যেই উনি বাংলিশ ভাষায় তুমুল ঝগড়া শুরু করে দিলেন হোটেল ম্যানেজারের সাথে। ব্যাপারকি জানতে চাইলে বল্লেন যে বীচের উপর থাকব মনে করে যে বাংলোটাইপ হোটেলটি বুক করলাম সেটা নাকি এই হোটেলের অফিস। আর থাকার রুম প্রধান সড়ক পেড়িয়ে। এখানে বসে শুধু সকালের নাস্তা করা যাবে। আমরা ভেবেছিলাম দোতলা এই বড় কটেজটি হয়ত নীচতলা রেষ্টুরেন্ট ও অফিস আর উপরে থাকার কামরা। আমি উনাকে বল্লাম আমি টাকা দেয়ার আগেই এই বিষয়টি আপনার পরিস্কার করে নেয়া উচিত ছিল। এখনতো উনারা আর টাকা ফেরত দিবেন না। যাই হোক চলুন রুমে যাই। রুমে যেয়ে আরেকটি ধাক্কা নীচতলায় রুম হওয়ায় বাইরে থেকে বাজে গন্ধ আসছিল। তবে এসিরুম হওয়ায় জানালা বন্ধ করে এসি চালিয়ে বাথরুমে গিয়ে দেখি এক অদ্ভুদ আয়োজন। লম্বা একটি পাইপের মাধ্যমে বসানো শাওয়ারটি নাকি বাথরুমের পুশ শাওয়ার এবং একই সাথে গোসলের জন্য হেড শাওয়ার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য দেয়া হয়েছে। এমন অদ্ভুত আয়োজন আগে পরে আর কোথাও দেখি নি। রীতিমত মনটাই খারাপ হয়ে গেল।
আমি বাইরে বেড়ানো বাদ দিয়ে শুয়ে পড়ার চেষ্টা করলাম। বেশ অনেকক্ষণ পরে আমার সঙ্গীটি এসে জানালো যে উনি গাড়ী ভাড়া করেছেন। আমরা চাইলে এখনই দ্বীপ দেখার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পরতে পারি। তবে আমার আর ইচ্ছে হল না। আমি বেশ রূড় ভাবেই জানালাম তিনি একা চাইলে যেতে পারেন আমি একটু রেস্ট নিব। ততক্ষণে মেজাজ বেশ চড়ে গেছে।
সন্ধ্যার কাছাকাছি আবার এসে উনি বল্লেন এখন পানতাই বীচে যাওয়া উচিত। সন্ধ্যার পড়তি আলোতে বীচ নাকি খুব সুন্দর দেখায়। বীচে যাই না যাই আমার ক্ষিদে পেয়েছে তাই বাইরে যেতেই হবে। আবার বেড়িয়ে পড়লাম। পথে যেতে উনি আমাকে এটা সেটা দেখিয়ে বিভিন্ন জিনিসের বর্ণনা দিতে লাগলেন। আমার বিরক্তি আর ক্ষুদায় কিছুই ভাল লাগছিলোনা। এর আগে শুধু নেপাল, ভারত দেখা হয়েছে। সেখানের খাবার কিছুটা ভিন্ন স্বাদের হলেও খাওয়া যায়। আমার ধারণা ছিল এখানের খাবারও সেরকম কিছুই হবে। তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের এই ভিন দেশী খাবারগুলোর সাথে আমার মুখ আসলে মানিয়ে নিতে পারেনি তখন। ঝাল মনে করে যেটা কিনি দেখি সেটা মিষ্টি। মিষ্টি মনে করে যেটা কিনি সেটা স্বাদহীন অথবা মারাত্মক রকম দারচিনির ফ্লেভার দেয়া। উনাকে দেখলাম যাই কিনি গপাগপ খেয়ে নিচ্ছেন। আমি চেষ্টা করেও পারছিনা। পরে কাছাকাছি একটা ম্যাকডোনাল্ডস্ এর ডেজার্ট কিয়স্ক থেকে পেস্ট্রি কিনে খেলাম। ক্ষুদা আর বিরক্তিতে আমি হোটেলে ফিরতে চাইলাম।
ইতিমধ্যে তিনি বেশ বুঝতে পেরেছেন আমি কোন ব্যাপারেই কমর্ফোটেবল ফীল করছি না। পথে যেতে যেতে আমাকে বল্লেন আসেন ভাই আপনার মুড একটু ভাল করি। কাছেই থাকা একটি স্পায় নিয়ে আমাকে বল্লেন চলেন দুইজনে একটু মাসাজ নিয়ে নেই। জার্নির ক্লান্তি চলে যাবে। আমি বল্লাম যে আমি আগ্রহী নই। আসলে মাসাজ নেয়ায় আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু উনার সাথে সব ব্যাপারেই যেমন একের পর এক ঝামেলা হচ্ছে সেটা ভেবে আমি বিরক্তির চরমে পৌছে গেছি। উনি স্পা সেন্টারে বসা এক তন্বী তরুনী দেখিয়ে বল্লেন, দেখেন এরকম সুন্দরী একটি মেয়ে আপনাকে মাসাজ দিচ্ছে ভাবতেই তে সুরসুরি লাগার কথা। কাজের সুবাদে ধান্ধাবাজ আর ধুরন্ধর নানা রকম মানুষ নিয়েই আমাকে কাজ করতে হয়েছে। সেই সুবাদে কম বেশী মানুষ চেনার কৌশল কিছুটা আমার জানাও আছে। মেয়েটির চোখে চোখে তাকিয়ে আমি সঙ্গীটিকে বল্লাম ভাই এই মেয়ে কিছুতেই আমাদের মাসাজ করবে না। উনি বল্লেন করবেনা মানে কি? অবশ্যই করবে আপনার ভাই আছে না। আমি নিজে গিয়ে কথা বলে আসছি। আমাকে সেখানেই দাড় করিয়ে উনি মেয়েটি সাথে কথা বলতে গেলেন। যথারীতি বাংলিশে কিছুক্ষণ হেসে হেসে দুজনে গল্পও করলেন। ফিরে এসে আমাকে বল্লেন দেখেন সেটিং করে ফেল্লাম, চলেন। তবে একটা কথা, আমিও একটু মাসাজ নিতে চাই এই কথাটা বসকে বলবেন না ভাই। আমি বল্লাম নেন সমস্যা নেই। উনি যারপরনাই খুশি হয়ে আমাকে একটি কামরা দেখিয়ে বল্লেন আপনার পাশের কামরাই আমি আছি চিন্তা করবেন না জামা পাল্টে টাওয়েল পরে নেন। আমি কামরায় যেয়ে ওয়াশরুম শেষ করে মাত্র বসেছি। পাশের কামরা থেকে যথারীতি উনার বাংলিশে চেচামেচী ভেসে আসার শব্দ শুনতে পেয়ে বাইরে আসলাম। উনি আমাকে টেনে নিয়ে যেতে যেতে বাংমালয়ী ভাষার উত্তেজিত হয়ে কিছু বলতে বলতে জোড় করে আমাকে নিয়ে বাইরে আসলেন।
আমি বল্লাম কি হয়েছে ভাই ? উনি বল্লেন কেমন বাটপার দেখেন।এই মেয়েতো ম্যানেজার। আর ম্যাসাজ করবে হিজড়া!!
---------------
আজ এপর্যন্তই থাক। আপনাদের ভাল লাগলে যাত্রার পরববর্তী অংশও শেয়ার করা ইচ্ছা আছে। বানান কিংবা লেখার ভুল ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন দয়া কর ভাল থাকবেন সবাই।